তোমাকে বিশ্বাস করে আমি এ শহরে ইচ্ছেমতো
আশাস্পৃষ্ট, হতাশা দংশিত
মানুষের ভিড়ে
হেঁটে যেতে চাই,
বাসার স্টপেজ ছেড়ে নিঃসঙ্গতা বয়ে
বাসের পিঞ্জরে বসে চাঁদ আর বিবাগী মেঘের
কানামাছি খেলা দেখে
মাইল মাইল দুরে চলে যেতে চাই।
যখন নিভৃতে টেলিফোনের মুখের মতো ফুল
শূন্যতাকে মোহন সাজায়,
তোমার মুখের দ্রিকে চেয়ে
আমার বিশ্বাস ফোটে সহজ মোটিফে।
যখন পাখির কণ্ঠে সুরের পরাগ ঝরে যায়,
তোমার উদ্দেশে
আমার বিশ্বাস
আলাপ এবং জোড়ে দীপ্যমান। যখন নদীতে
রূপালী মুকুট প’রে নাচে ঢেউগুলি
আমার বিশ্বাস রাজর্ষির মতো পথ হাঁটে একা।
অথচ আমার বিশ্বাসের কণাগুলি
তোমার ধারালো
ঝকঝকে দাঁতের দেয়ালে,
লালিম মাড়িতে, দশ আঙুলের নখে
পায়ের পাতায় লেগে আছে বিয়েবাড়ির ছড়ানো
বাসি খাবারের মতো।
একদা যে-হাত বিশ্বাসের পদ্ম দিয়েছিলো তুলে
আমার এ-হাতে,
যে-কোনো মুহূর্তে তার ক্যামোফ্লেজ-করা
ফণা ঝাঁঝাঁ উল্লসিত হতে পারে জেনেও তাকেই ছুঁতে চাই।