কাঠের চেয়ারে তিনি বসে আছেন।
তার সামনে কাঠের টেবিল, কাঠের দেরাজ থেকে
এক তাড়া কাগজ বের ক’রে
কাঠপেন্সিল দিয়ে ঘস্ ঘস্ করে কী যেন লিখলেন।
কাঠঠোকরার ধরনের তিনি তাঁর অতীতকে
ঠোকরালেন অনেক্ষণ আর
কাঠের গুঁড়োর মতো কিছু স্মৃতিকণা
ঝরতে থাকলো কাঠের মেঝেতে।
কয়েক ঘণ্টা পর কাঠের সিঁড়ি বেয়ে
তিনি সামলেন, সন্ধ্যালগ্নে প্রবেশ করলেন
তাঁর নিজস্ব কাঠের বাড়িতে। তাঁর
চোখ পড়লো কাঠের দেয়ালে, দেয়ালে ঝোলানো
ছবির কাঠের ফ্রেমে কাঠের আলমারিতে
কাঠের বুকশেল্ফে।
কাঠের ওয়ার্ডরোবে ট্রাউজার আর কোট্ টাই
গচ্ছিত রেখে কাঠের বাথরুমে
চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে হাই তুলে এসে
বসলেন কাঠের চেয়ারে হেলান দিয়ে,
গৃহিনী কেঠো হাসি হেসে স্বামীর দিকে
বাড়িয়ে দিলেন কাঠবাদাম আর বিস্কুটময় কাঠের রেকাবি।
রাত্তিরে তিনি শুতে গেলেন কাঠের খাটে,
তারপর তাঁর স্বপ্নে এলো স্তুপ স্তুপ
কাঠভর্তি এক বিশাল কাঠের জাহাজ এবং তিনি নিজে
ঘুমিয়ে আছেন আলিশান কাঠপ্রসাদে কাঠের মূর্তির মতো!