মৃত্যুর বাড়িতে ছিলো লোকজন, ছিলে তুমি-
ফিসফাস, আয়াতের সুর লোবানের ঘ্রাণময়
ধোঁয়ার মতন উড়ছিলো খুব পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে,
চাটাই অপেক্ষমান বারান্দায়, নিশ্চুপ বরফ।
দেখি, দরজায় তুমি। তোমার হৃদয় শোকভূমি,
যেন জনহীন দ্বীপ, থেকে গেছে এখানে সময়,
হঠাৎ পাশের ঘরে শিশু ওঠে বিষম চেঁচিয়ে,
দেয়ালে দেয়ালে মৃত্যু লেখে কত অদ্ভত হরফ।
মৃত্যুর বাড়িতে মৃত্যু শুয়েছিলো খাটে কি একাকী।
তোমার চুড়ির শব্দ বাজে, তার খুলি ফুঁড়ে জাগে
রজনীগন্ধার গুচ্ছ, তোমার দৃষ্টির ঝরনা তার
নিঃস্পন্দ শরীরে আনে চাঞ্চল্য বিস্মৃত নগরীর।
মৃত্যুর বাড়িতে আমি তোমার দিকেই চেয়ে থাকি,
শোকের আড়ালে মন কী রহস্যময় অনুরাগে।
প্রেমিকের প্রেতাত্মার মতো একা ঘোরে বারবার
তোমাকেই ঘিরে, গায় গান, মৃত্যু পাথর-বধির।