সূর্য নিবাসিত রাজার মতন দিয়েছে গা ঢাকা,
সন্ধ্যা ঝুঁকে আছে বারান্দায়,
টেলিফোন বেজে ওঠে আরো একবার।
হ্যালো, হ্যালো জ্বীহাঁ,
ম্যাসিভ ত্র্যাটাক।
সিঁড়িতে প্রবীণ ফিসফিসে গলা, কাশি,
মেঝেতে জুতোর শব্দ। টেলিফোন বাজে,
এই তো দু’ঘন্টা আগে বিকেলে ক্লিনিকে।
এলভিস প্রিসলী দেয়ালে
নিঃশব্দ সঙ্গীতে কী রঙিন,
চির তারুণ্যের
আভা স্তব্ধ মুখে।
ধোঁয়াচ্ছে তিনটি সিগারেট,
টেলিফোন বেজে ওঠে আর্ত
পাখির চিৎকারের মতো।
হ্যালো, হ্যালো কিছু শোনা যাচ্ছে না, বলুন-
হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি, দুই ছেলে এক মেয়ে।
টেবিলে ছড়ানো বই, ম্যাগাজিন, শূন্য প্লেট, দূর থেকে ভেসে
আসে লালনের গান ‘খাঁচায় ভিতর’…
গাড়ি বারান্দায়
প্রচ্ছন্ন আলাপ- কী যে হলো ইদানীং
কী বেয়াড়া দিনকাল,
এই বয়সেই।
আঁধারে অচিন পাখি ক্যমনে আসে আয়…
টেলিফোন বাজে, হ্যাল, হ্যালো,
জ্বী, কাল দুপুর দেড়টায় বায়তুল মোকাররমে।
কয়েকটি শরীর এখন ঢেউ, তটে আছড়ানো;
বাড়িটা গুমরে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে বেদনার্ত দেবতার মতো,
একটা বেড়াল অন্ধকার মুড়ি দিয়ে
শুয়ে আছে নিস্তব্ধ টিভির কাছে। টেলিফোন বাজে,
বেজে যায়,
যায়…