এইতো চুয়ান্ন হলো, স্বাস্থ্য মোটামুটি
ভালো, ছুটোছুটি
এখনো করতে পারি খুব বেশি না হাঁপিয়ে, সিঁড়ি
বেয়ে উঠি নামি রোজ। তেমন বিচ্ছিরি
কোনো রোগ নেই, বলা যায়, শরীরে আমার। মানে,
বস্তুত চলেছি আমি জোয়ারের টানে।
ভাবি না ভাটার কথা আপাতত। এখনো তো কেউ
কেউ, ওরা সতেজ তরুণ, বলে, ‘তারুণ্যের ঢেউ
খেলিয়ে সত্তায় আজো দিব্যি আছেন হে কবি; সত্যি
আপনাকে দেখে চোখে কেমন সবুজ রঙ ফোটে। এক রত্তি
তোষামুদে চতুর অত্যুক্তি নেই ওদের কথায়
ভেবে আমি তৃপ্তির রোদ্দুরে বসি সুস্মিত মুদ্রায়।
যুকৃৎ তুখোড় আজো, যা কিছু পাঠাই নিত্য জঠরে হজম
হয় সবই রীতিমতো; যম
অসৌজন্যমূলক দ্রূকুটি হেনে ঈশ্বরের স্তব্ধতার মতো
প্রাচীনতা নিয়ে হাসে, করে পায়চারি ইতস্তত,
ঈগলদৃষ্টিতে খোঁজে খালি
আমার ধ্বস্ত এ অস্তিত্বের ত্র্যাকিলিসের গোড়ালি।