রাস্তার সকল বাতি নিভে গেলে গভীর নিশীথে,
পৃষ্ঠপোষকতাহীন জ্বলে নেভে জোনাকির ঝাঁক,
দুলিয়ে স্বপ্নিল পাখা মেঘ চিরে সফেদ বোররাক
সপ্ত আসমান থেকে আসে নেমে এই সমাধিতে,
স্তব্ধ ঘাসমাটি ভিন্ন মানে পায় খুরের সংগীতে।
মাটিতে লুকানো যিনি স্বপ্নভস্মবৎ, তাঁরই নাম
দুরন্ত বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
এখানে ফেরেশ্তা আসে কিছু নক্ষত্র ছিটিয়ে দিতে।
যখন ভোরের আলো বীণার ঝংকার হয়ে কাঁপে
মিনারে মাটিতে আর মানুষ চলার শব্দ ফোটে
পুনরায়, পুলিশ বাজায় বাঁশি কর্তব্যবশত,
কবির কবর কোনো দুঃখবাদী কবিতার মতো
কিছু রুক্ষ, ম্লান, কিছু খুব দ্যুতিময় হয়ে ওঠে।
কে উদাসী বাঁশিতে তুলছে তান মন্থর বিলাপে?