রোদপোড়া, বৃষ্টিভেজা যে-কৃষক জানে বানভাসি
জানে খলখলে জলে ভাসমান খোড়ো চার আর
মহিষ, মুনিষ, আর শিশুদের কথা, বারংবার
হারায় তৈজসপত্র, হারায় ফসল রাশি রাশি,
তারই মতো শুনি পুনরায় দূর দিগন্তের বাঁশি,
ধানের মঞ্জুরী হয়ে জ্বলে ভবিষ্যৎ রিক্ত মাঠে;
আবার নিজস্ব স্বপ্নে দেখি আমি নক্শাময় খাটে
শুয়ে আছি একা দয়িতার পাশে সঙ্গমপ্রত্যাশী!
যদিও নাস্তিক আমি, তবু প্রার্থনায় নতজানু
এ প্রহরে, করি উচ্চারণ, চিরকাল যেন থাকে
স্বপ্নের পালক তার শরীরের ঋদ্ধ বাঁকে বাঁকে
প্রিয় কিছু স্মৃতির মতন। সেই নারী আয়ুষ্মতী
হোক, যার ওষ্ঠে আমার আয়ুর অণু পরমাণু
রেখেছি গচ্ছিত, ভাবি না সে সতী না অসতী!