ভ্রমণে আমরা

যাচ্ছেন সজ্জন বৃক্ষময় মাঠে; পাখি
তার কাঁধ ছুঁয়ে
বুকে ঝাপসা নীল
একটু সকাল নিয়ে কোমল রুপালি ফের কোথায় এখন।
কুকুর গাছের ছায়া শুঁকে শুঁকে দূরে
কেমন সবুজ হয়। হ্রদের অত্যন্ত কাছে উঁচু
লিণ্ডেন গাছের
পাতার আড়ালে
দ্বাদশ শতকী ক্যাথিড্রাল উদ্‌ভাসিত।

এখানে কী টুকরো খোঁজা, ক্ষ্যাপা নিজেকেই বলি,
এখানে হ্রদের তীরে? বেলাশেষে মৃদু তরঙ্গিত
বেগুনি তরল জল চাইকোভস্কির সুর হয়ে ঝরে
কখনও আবার কম্পমান
নাৎসি কামানের বীভৎস ধমকে-
আইকন ক্ষণে ক্ষণে শিহরিত, মাতৃক্রোড়ে শিশু
যীশুর শরীরে ফের ওরা
ঠোকে অন্ধ কালো
বর্বর পেরেক।
ধ্বংস হৃতস্বস্থ্য কুকুরের মতো কুণ্ডলী পাকিয়ে
পড়ে থাকে, ভলোকভ তরল রুপালি বয়ে যায়
বাসময় লোক, ঐ ফুটপাতে হাঁটছে আমার বোন,
ভাই কাজে যায়, হাতে ব্যাগ।
আমার ছেলেটা
খবরের কাগজের টুপি পরে উৎসুক তাকায়
এবং আমার মেয়ে, ফ্রক-পরা কপালে চুলের
ঝিলিমিলি, খাচ্ছে নিরিবিলি
ছায়ায় আইসক্রিম নভগ্রডে। পার্কে
বন্ধু পড়ছেন বই। এখানে আমরা
কেউ কারো পর নই, যদিও ভ্রমণে পরবাসী।