ঋগ্বেদ ০৯।০৯১
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৯১
পবমান সোম দেবতা। কশ্যপ ঋষি।
১। বুদ্ধিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ ও সুপণ্ডিত সোমকে প্রেরণ করা হইল, যেরূপ যুদ্ধস্থলে রথচক্রের শব্দ হয়, তদ্রূপ তিনি শব্দ করিলেন। দশ ভগিনী মিলিয়া উর্ধে ধাবিত পবিত্রের উপর অগ্নি তুল্য সেই সোমকে এমনিভাবে ঢালিতেছে, যেন তিনি স্বীয় আধারে গিয়া পড়েন।
২। নহুষ সন্তানেরা উত্তম স্তব পাঠ করিতে করিতে সোমকে প্রস্তুত করিলেন, এখন ইনি স্বর্গবাসীদিগের নিকট যাইবেন। ইনি অমৃত, মরণ ধৰ্ম্মশীল মনুষ্যগণ ইহাকে মেষলোম ও গোচৰ্ম্ম ও জলের দ্বারা শোধন করিতেছে, ইনি যজ্ঞে যাইতেছেন।
৩। রস বর্ষণকারী সোম, জল বর্ষণকারী ইন্দ্রের উদ্দেশে ক্ষরিত হইয়া এই উজ্জ্বল গব্য দুগ্ধের দিকে যাইতেছেন। তিনি ঋক প্রাপ্ত হয়েন, তিনি স্তোত্র লাভ করেন, তিনি বীর, ধ্বংসবৰ্জিত সহস্র পথ দিয়া পবিত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্র অতিক্রমপূর্বক যাইতেছেন।
৪। হে সোম! রাক্ষসদিগের পুরী দৃঢ় হইলেও ধ্বংস কর, ক্ষরিত হইয়া তুমি তাহাদিগের অন্ন আচ্ছাদন কর, অর্থাৎ আহরণ করিয়া আমাদিগকে দাও। কি উপরে, কি নিকটে, কি দূরে, যে স্থান হইতে তাহাদিগকে কেহ আনয়ন করে ও তাহাদিগের নেতা হয়, তাহাকে এমনি ছেদন কর, যে তাহার প্রাণ বিনষ্ট হইয়া যায়।
৫। হে সর্বলোকের প্রার্থনীয় সোম! আমি নবীন লোক, আমি তোমার উত্তমরূপ স্তব করিয়াছি, যেরূপ প্রাচীন লোকদিগকে তুমি পথ দেখাইয়া দিয়াছ, তদ্রুপ আমাকেও প্রাচীন পথ সমস্ত দেখাইয়া দাও। তোমার এতাদৃশ যে সকল প্রকাণ্ড অংশ আছে, যা বিপক্ষেরা সহ্য করিতে পারে না, যাহা বিপক্ষদিগকে সংহার করে, হে বহকর্মকারী, বহুশব্দকারী সোম! আমরা যেন সেই সমস্ত অংশ প্রাপ্ত হই।
৬। হে সোম! তুমি শোধিত হইতেছ, আমাদিগকে জল, স্বর্গ ও গোধন ও বহুসংখ্যক পুত্রপৌত্র দাও। আমাদিগের ক্ষেত্রের মঙ্গল কর। আমাদিগের আকাশের গ্রহনক্ষত্র যেন জাজ্বল্যমান থাকে। আমরা যেন চিরকাল সূর্যের আলোক প্রাপ্ত হই।