ঋগ্বেদ ১০।১১৯

ঋগ্বেদ ১০।১১৯
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১১৯
লবরূপী ইন্দ্র দেবতা। তিনিই ঋষি।

১। আমার মানসই এই যে, গো অশ্ব দান করি। আমি অনেক বার সোম পান করিয়াছি।

২। যেমন বায়ু বৃক্ষকে কম্পিত ও উন্নমিত করে, তদ্রুপ সোমরস আমা কর্তৃক পীত হইয়া আমাকে উন্নমিত করিয়াছে। আমি অনেক বার ইত্যাদি।

৩। যেরূপ শীঘ্রগামী ঘোটকেরা রথকে উন্নমিত করিয়া রাখে, তদ্রুপ সোমরসগুলি আমা কর্তৃক পীত হইয়া আমাকে উন্নমিত করিয়া রাখিয়াছে। আমি অনেক বার ইত্যাদি।

৪। যেরূপ গাভী হম্বারবে বৎসের প্রতি যায়, তদ্রুপ স্তব আমার দিকে আসিতেছে। আমি অনেক বার, ইত্যাদি।

৫। যেরূপ ত্বষ্টা (ছুতার) রথের উপরিভাগ নির্মাণ করে, তদ্রুপ আমি মনে মনে স্তব রচনা করিয়াছি, অর্থাৎ স্তোতার মনে উদয় করিয়া দিই। আমি অনেক বার ইত্যাদি।

৬। পঞ্চজনপদের, যে মনুষ্য আছে, তাহারা কেহ কখন আমার দৃষ্টি অতিক্রম করিতে পারে না। আমি অনেক বার, ইত্যাদি।

৭। দুই দ্যাবাপৃথিবী মিলিত হইয়া আমার এক পার্শ্বেরও সমান হইবেক না। আমি অনেকবার, ইত্যাদি।

৮। আমার মহিমা স্বর্গলোককে এবং এই বিস্তীর্ণ পৃথিবীকে অতিক্রম করে। আমি অনেকবার ইত্যাদি।

৯। আমার এরূপ ক্ষমতা যে, যদি বল, তবে এই পৃথিবীকে একস্থান হইতে অন্য স্থানে সরাইয়া রাখিতে পারি। আমি অনেক বার, ইত্যাদি।

১০। এই পৃথিবীকে আমি দগ্ধ করিতে পারি। যে স্থান বল সে স্থান ধ্বংস করিতে পারি। আমি অনেক বার, ইত্যাদি।

১১। আমার এক পাশে আকাশে আছে, আর এক পার্শ্বদেশ নীচের দিকে, অর্থাৎ পৃথিবীতে রাখিয়াছি। আমি অনেক বার, ইত্যাদি।

১২। আমি মহতেরও মহৎ, আমি আকাশের দিকে উঠিয়াছি। আমি অনেকবার ইত্যাদি।

১৩। আমাকে স্তব করে, আমি দেবতাদিগের নিকট হব বহন করি, এবং আমি হব্য গ্রহণপূর্বক চলিয়া যাই। আমি অনেক বার, ইত্যাদি।