ঋগ্বেদ ১০।১৩১

ঋগ্বেদ ১০।১৩১
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৩১
অশ্বিদ্বয় ও ইন্দ্র দেবতা। সুকৃতি ঋষি।

১। হে শত্ৰুপরাভবকারী ইন্দ্র! সম্মুখের দিকে, অথবা পশ্চাৎ দিকে যে সকল শত্রু আছে, উত্তরে, অথবা দক্ষিণে যাহারা আছে, সকলকেই দূরীভূত কর। হে বীর! আমরা যেন তোমার নিকট বিশিষ্ট সুখলাভ করিয়া আনন্দিত হইতে পারি।

২। যাহাদিগের ক্ষেত্রে যব জন্মিয়াছে, তাহারা যেমন পৃথক পৃথক করিয়া ক্রমশঃ সেই যব অনেক বারে কৰ্ত্তন করে, তদ্রুপ হে ইন্দ্র! যাহারা যজ্ঞানুষ্ঠান সহকারে নমঃ শব্দ প্রয়োগ না করে, অর্থাৎ যাহারা পুণ্য কর্মের অনুষ্ঠানে বিমুখ, তাহাদিগের ভোজনের সামগ্রী এখনই নষ্ট করিয়া দাও।

৩। যে শকটে একমাত্র পশু যোজিত আছে, তাহা কখনও যথাসময়ে গন্তব্য স্থানে উপস্থিত হইতে পারে না। যুদ্ধের সময় তাহা দ্বারা অন্ন লাভ করা যায় না। যাহারা গো, অশ্ব, অন্ন কামনা করেন, সেই বুদ্ধিমানগণ ঐ কারণে ইন্দ্রের বন্ধুত্বের জন্য লালায়িত হয়েন। অর্থাৎ ইন্দ্রের সহায় না হইলে ঐ ঐ অভিলাষ সিদ্ধ হয় না ।

৪। হে কল্যাণমূৰ্ত্তি অশ্বিদ্বয়! যখন নমুচির সহিত যুদ্ধ উপস্থিত হয়, তখন তোমরা উভয়ে মিলিত হইয়া চমৎকার সোম পান করিতে করিতে ইন্দ্রের কর্মে তাঁহাকে রক্ষা করিয়াছিলে।

৫। হে অশ্বিদ্বয়! যেরূপ পিতা মাতা পুত্রকে রক্ষা করে, তদ্রুপ তোমরা চমৎকার সোম পান করতঃ নিজ শক্তি ও অদ্ভুত কাৰ্য্য সমূহদ্বারা ইন্দ্রকে রক্ষা করিয়াছিলে। হে ইন্দ্র! স্বরস্বতী দেবী তোমার নিকটে ছিলেন।

৬ ও ৭। ইন্দ্র উত্তম ত্রাণকর্তা, ধনশালী, সর্বজ্ঞ, তিনি রক্ষা করিয়া সুখদায়ী হউন। শত্ৰুদিগকে নিবারণ পূর্বক তিনি অভয় দান করুন। আমরা যেন উত্তম ক্ষমতার অধিকারী হই। সেই যজ্ঞভাগগ্রাহী ইন্ত্রের নিকট যেন আমরা প্রসাদভাজন হই। তিনি যেন আমাদিগের প্রতি উত্তমরূপ সন্তুষ্ট থাকেন। তিনি উৎকৃষ্ট ত্রাণকর্তা ও ধনশালী। সেই ইন্দ্র যেন, কি দূরবর্তী, কি নিকটবর্তী সকল শত্রুকে আমাদিগের দৃষ্টিপথের বহির্ভূত করিয়া দেন।