ঋগ্বেদ ০৯।১০০

ঋগ্বেদ ০৯।১০০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ১০০
ঋষি ও দেবতা পূর্ববৎ।

১। দুর্ধর্ষ পুরোহিতগণ ইন্দ্রের প্রীতিপ্রদ রমণীয় সোমকে স্তব করিতেছেন। ইনি যেন প্রথম বয়সের সন্তান, ইহাকে জননীরা স্নেহভরে লেহন করিতেছেন।

২। হে সোম! তুমি শোধিত হইতেছ, প্রচুর ধন পরিপূর্ণ করিয়া দাও। দাতা ব্যক্তির ভবনে তুমি সর্বপ্রকার ধন সমর্পণ করিয়া থাক।

৩। যেরূপ মেঘ বৃষ্টি করে, তুমি তদ্রূপ চমৎকার স্তব রচনা কর। হে সোম! তুমি স্বর্গীয় ও পৃথিবীস্থ দুই প্রকার ধন বিতরণ কর।

৪। যেরূপ যুদ্ধজয়ী ব্যক্তির ঘোটক চতুর্দিকে ধাবিত হয়, তদ্রূপ হে সোম! নিষ্পীড়নের পর তোমার ধারাগুলি মেষলোমময় পবিত্র অতিক্রমপূর্বক ধাবিত হইতেছে।

৫। হে কবি সোম! তুমি, ইন্দ্র ও মিত্র ও বরুণের পানের জন্য প্রস্তুত হইয়াছ, তুমি ধারারূপে ক্ষরিত হও, তাহাতে আমাদিগের কর্ম সম্পন্ন হইবেক, আমরা বলশালী হইব।

৬। হে সোম! তোমাকে প্রস্তুত করা হইয়াছে, তোমার তুল্য অন্নদাতা কেহ নাই। তোমার ন্যায় মধুর কিছুই নাই। ইন্দ্র, বিষ্ণু ও তাবৎ দেবতা জন্য, ধারারূপে পবিত্রের উপর ক্ষরিত হও।

৭। যে সময় তোমাকে রাখিয়া দেওয়া হয়, সেই সময়ে, যেমন গাভীগণ সদ্যোজাত বৎসকে স্নেহভরে লেহন করে, তদ্রূপ তোমাকে তোমার দুর্ধর্ষ জননীরা (অর্থাৎ যে জলে সোমরস ঢালিয়া দেওয়া হয় সেইজল) তোমাকে লেহন করিতেছে।

৮। হে ক্ষরণশীল! তুমি বিচিত্র কিরণ ধারণপূর্বক প্রচুর অন্ন আহরণ করিতে যাইতেছ। দাতা ব্যক্তির ভবনের তাবৎ অন্ধকার তুমি নিজবলে নষ্ট করিয়া থাক।

৯। তোমার কাৰ্য কি মহৎ। তুমি আকাশ ও পৃথিবীকে ধারণ করিয়া আছ। হে ক্ষরণশীল! মহত্ব প্রদর্শনপূর্বক তুমি কবচ ধারণ অর্থাৎ যুদ্ধবেশ ধারণ করিয়া থাক।