ঋগ্বেদ ১০।০৫০

ঋগ্বেদ ১০।০৫০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ৫০
ঋষিও দেবতা পূর্ববৎ।

১। হে যজমান! তোমার প্রভূত পরিমাণ যজ্ঞীয় অন্ন দেখিয়া ইন্দ্র আনন্দিত হইতেছেন; তিনি সকলের নেতা, সকলের সৃষ্টিকর্তা, তাহাকে অর্চনা কর। তিনি সেই ইন্দ্র, যাহার আশ্চর্য শক্তি, বিপুল কীর্তি এবং সুখ সম্পত্তির বিষয় দ্যুলোক ও ভূলোক প্রশংসা করিয়া থাকে।  

২। সেই ইন্দ্র সকলের নিকট স্তবের ভাগী, সকলের প্রভু, তিনি বন্ধুর ন্যায় মনুষ্যের হিতকারী; মাদৃশ ব্যক্তির সর্বদাই তাঁহার সেবা করা উচিত। হে বীর! হে শিষ্টপালনকর্তা! সর্বপ্রকার গুরুতর কার্যের সময় ও বলসাধ্য ব্যাপারের সময় এবং মেঘ হইতে বৃষ্টিবারি লাভের জন্য তোমার স্তব করা হইয়া থাকে।

৩। হে ইন্দ্র! সেই সমস্ত ভাগ্যবান্ ব্যক্তি কে? যারা তোমার নিকট অন্ন ও ধন ও সুখসম্পত্তি পাইবার অধিকারী? তাহারা কে? যাঁহারা তোমাকে অসুৰ্য বল দিবার জন্য সোমরস প্রেরণ করেন? যাঁহারা নিজের উর্বরা ভূমিতে বৃষ্টিবারি পাইবার জন্য এবং পুরষ্কার পাইবার জন্য সোমরস প্রেরণ করেন?।

৪। হে ইন্দ্র! তুমি যজ্ঞ অনুষ্ঠানের দ্বারা মহৎ হইয়াছ, তুমি সকল যজ্ঞেই যজ্ঞভাগ পাইবার অধিকারী হইয়াছ, তুমি সকল যুদ্ধে প্রধান প্রধান শত্রুর ধ্বংসকৰ্ত্তা হইয়াছ। হে অখিল ব্ৰহ্মাণ্ড দর্শনকারী! তুমি সৰ্ব্ব শ্রেষ্ঠ মন্ত্রস্বরূপ হইয়াছ।

৫। তুমি সর্বশ্রেষ্ঠ, অতএব যজ্ঞকর্তাদিগকে শীঘ্র রক্ষা কর। মনুষ্যগণ অবগত আছে যে, তোমার নিকট মহতী রক্ষা প্রাপ্ত হওয়া যায়। তুমি জরারহিত হও এবং শীঘ্র বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হও; এই সমস্ত সোমযাগ যাহাতে শীঘ্র সম্পন্ন হয়, তাহা কর।

৬। হে বলের পুত্র, অর্থাৎ হে বলশালি! এই যে সমস্ত সোমবাগ, তুমি নিজে ধারণ করিয়া থাক, সে গুলি যাহাতে শীঘ্র সম্পন্ন হয়, তাহা তুমি কর। তোমার নিকট চমৎকার আশ্রয় পাবার জন্য এই সোমপাত্র, এই সম্পত্তি, এই যজ্ঞ ও মন্ত্র ও পবিত্রবাক্য উদ্যত হইয়াছে।

৭। হে মেধাবি! যে সকল স্তোত্রপরায়ণ স্তোতাগণ, তুমি নানা প্রকার ধন দিবে বলিয়া একত্র হইয়া তোমার নিমিত্ত সোমবাগ করে, সোমস্বরূপ অন্ন প্রস্তুত হইবার পর যখন আমোদ আহ্লাদ উপস্থিত হয়, তখন যেন তাহারা স্তুতি স্বরূপ উপায় দ্বারা সুখলাভে অধিকারী হয়।