কুন্তী – ৪

কুন্তী আর সূর্যের প্রথম মিলন কাহিনীটি আমি সবিস্তারে শোনালাম। এর কারণ এই নয় যে কুমারী অবস্থায় সূর্যের সঙ্গে কুন্তীর সঙ্গম-রসের রগরগে বর্ণনা দিয়ে অল্পস্বল্প পাঠকের চিত্ত-বিনোদন করায় আমার বড় মোহ আছে। এই বিস্তারটুকু আমার কাছে এই জন্য প্রয়োজনীয় যে, অনেকেই কুন্তীকে খুব দোষারোপ করে থাকেন। পরবর্তী সময়ে ভাগ্যহত কর্ণের যন্ত্রণা যত বাড়তে থাকে এই দোষারোপও ততই বাড়তে থাকে। এই বর্ণনার মাধ্যমে আমি কুন্তীর নাচার অবস্থাটা বোঝাতে চেয়েছি।

আরও কারণ আছে। সেটা মনস্তত্ত্বের পরিসর। পূর্বে কৃষ্ণের কাছে কুন্তী অনুযোগ করেছিলেন—আমি বাপের বাড়িতেও সুখ পাইনি। শ্বশুরবাড়িতেও নয়—সেই অনুযোগের নিরিখে আমরা লক্ষ করেছি মহারাজ কুন্তিভোজ তাঁকে দত্তক নিলেও সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করতে পারেননি। কুন্তীও তাঁর মধ্যে সার্থক পিতাটিকে খুঁজে পাননি। কুন্তীর মানসিক জটিলতা আরও বেড়েছে আরও একটা কারণে। আমার ধারণা—ভোজবাড়িতে এসে কুন্তী একটি পালক পিতা পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু মা পাননি। সেই দত্তক নেওয়ার মুহূর্ত থেকে এখনও পর্যন্ত মহারাজ কুন্তিভোজের রানির উল্লেখ কোথাও নেই। কুন্তী যেভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই ভোজগৃহের সর্বময়ী কর্ত্রীটি হয়ে উঠেছিলেন, তাতে এই সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়। প্রথম যৌবনবতী কন্যাকে দুর্বাসার মতো অতিথি-সেবায় নিযুক্ত করার সময়েও কুন্তিভোজ প্রৌঢ়া জননীর মতো কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। এবং আজ এই বিধিবহির্ভূত মিলনের পরেও কুন্তীকে আমরা বিপন্ন হয়ে খুঁজতে দেখিনি জননীর আশ্রয়। ভাবে বুঝি, কুন্তিভোজের স্ত্রী বুঝি পূর্বেই স্বর্গত হয়েছিলেন।

দশ মাস কেটে গেল, কুন্তীর প্রচ্ছন্ন গর্ভের কথা কেউ টেরই পেল না। যে বাড়িতে জননীর অস্তিত্ব আছে, সে বাড়িতে এই প্রচ্ছন্নতা কি সম্ভব? কুন্তীর গর্ভের আকার শুধু প্রতিপদের চাঁদের আকার থেকে ক্রমে বিবর্ধিত হল। কিন্তু কেউ টেরটি পেল না। কারণ তিনি থাকতেন মেয়েদের থাকবার জায়গায় এবং গর্ভের আকার লুকিয়ে রাখার অভ্যাস তিনি করেছিলেন নিপুণভাবে। অন্তঃপুরের এক ধাত্রীকন্যা ছাড়া—হয়তো গর্ভমুক্তির জন্য তাকেই রেখেছিলেন কুন্তী—সে ছাড়া দ্বিতীয় কেউ টের পেল না কুন্তীর কুমারী-গর্ভের কথা।

যথা সময়ে কূন্তীর পুত্র জন্মাল। গায়ে সোনার বর্ম, কানে সোনার কুণ্ডল, দেখতে ঠিক সূর্যের মতো—যথাস্য পিতরং তথা। প্রথম পুত্র জন্মের আনন্দে উৎসব করা হল না, মঙ্গল-শঙ্খ বাজল না, চিৎকার করে কেউ ঘোষণা করল না—রাজবাড়িতে ছেলে হয়েছে। সমাজে নিজের সম্মান রাখার তাগিদে কুন্তী ধাত্রীকন্যার সঙ্গে পরামর্শ করে একটি বেতের পেটিকার মধ্যে ভাল করে মোম লেপে দিলেন যাতে পেটিকা জলের মধ্যে ভাসলেও তাতে জল না ঢোকে। সেই পেটিকার মধ্যে সুন্দর কাপড় পেতে দিয়ে কুন্তী শুইয়ে দিলেন শিশু পুত্রকে। পেটিকার মুখ ঢেকে সদ্য-জননী কুন্তী চললেন সন্ধ্যার অন্ধকারে বাড়ির উপকণ্ঠে অশ্ব-নদীর দিকে। একদিকে কুমারীত্ব প্রতিষ্ঠার সামাজিক দায়, অন্যদিকে পুত্রস্নেহ—এই দুই বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ায় মাতৃস্নেহই কিন্তু বড় হয়ে উঠল কুন্তীর মনে। মহাভারতের কবি মন্তব্য করেছেন—কুমারী মেয়ে গর্ভধারণ করে পুত্রের জন্য বিলাপ করছে—এটা ঠিক নয় জেনেও কুন্তী তাঁর মাতৃ-হৃদয়ের ক্রন্দন রুদ্ধ করতে পারেননি। ভীষণ ভীষণ কেঁদেছেন তিনি, কেঁদেছেন পুত্রস্নেহে—পুত্রস্নেহেন রাজেন্দ্র করুণং পর্যদেবয়ৎ।

হ্যাঁ, পুত্রকে তিনি ভাসিয়েই দিয়েছেন অশ্বনদীর জলে। সাধারণে বলতেই পারেন—কেন, এতই যদি পুত্রস্নেহ তবে কেন সব অপমান লজ্জা ঠেলে দিয়ে, কেন তিনি ঘোষণা করলেন না—কুমারীর লজ্জার থেকেও পুত্রস্নেহ আমার কাছে বড়। আমি বলব—সমালোচনার প্রান্তে দাঁড়িয়ে বলা যায় অনেক কিছু, কিন্তু কেউ কি কুন্তীর মনস্তত্ত্বের ধার দিয়ে গেছেন? মনে রাখা দরকার—যে রমণী নিজেই নিজের কাছে করুণার পাত্র, তাঁর করুণার পরিমাপ করতে চাইছি আমরা।

আমি আগেই বলেছি—শৈশবে আপন পিতা-মাতার স্নেহরসে বঞ্চিত হয়ে যে রমণী অন্যের ঘরে প্রতিপালিত হল, যাঁকে যে কোনও বিপন্ন মুহূর্তে তাঁর পালক পিতা বলেন—তুমি আর্য শূরের মেয়ে, ভুলে যেয়ো না তুমি মহামতি বসুদেবের বোন—সেই রমণীর কাছে মর্মান্তিক পুত্রস্নেহের থেকেও কুমারীত্ব বড়। যাঁরা দত্তক নেন, তাঁদের মনস্তত্ত্ব কি কখনও বিচার করে দেখেছেন? যে পিতা-মাতা দত্তক নিলেন, সেই ছেলে বা মেয়ে যদি ভবিষ্যতে সুপুত্র বা গুণবতী রমণী হয়, তবে সমস্তটাই সেই পালক পিতা বা মাতার পালনের গুণ, কিন্তু দৈববশে সেই ছেলে বা মেয়ে যদি কুপুত্র বা দুশ্চরিত্রা হয়, তবে সব দোষটাই গিয়ে পড়বে বীজী পিতা অথবা গর্ভধারিণী মায়ের ওপর। পালক পিতা-মাতার অন্তর্দাহ আড়ালে বলতে চাইবে—অমন বাপ-মায়ের মেয়ে, বংশের দোষ যাবে কোথায়?

বরিষ্ঠ বংশের মেয়ে অন্য বাড়িতে প্রতিপালিত হয়ে কুন্তী পিতা-মাতার নাম ডোবাতে চাননি। তাই কুমারীত্ব এবং কন্যাপুত্রের দ্বৈরথে কুমারীর সুনাম তাঁর কাছে বড় হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে যে পুত্র কঠিন কাব্যময়তায় বলে উঠবে—যে ফিরালো মাতৃস্নেহপাশ। তাহারে দিতেছ মাতঃ, রাজ্যের আশ্বাস—সে পুত্র কি জানে—শৈশবে তার মা কতটুকু মাতৃস্নেহ লাভ করেছে! কঠিন মনস্তত্ত্বের শিকার হয়েই কুন্তী কুন্তিভোজের বাড়িতে এসেছেন, এখন তিনি আরও কঠিনতর মনস্তত্ত্বের শিকার হয়ে যাবেন, যখন সদ্য-জননীর গর্ভ-ছেঁচা পুত্রটিকে ভাসিয়ে দিতে হল অশ্বনদীর জলে।

কতই না কল্পনা ছিল। সে যেন আপনারই মতো দেখতে হয়। আপনার মতো চেহারা, আপনার মতো শক্তি, আপনার মতো তেজ, আর আপনারই মতো সত্ত্বগুণ—ত্বদ্‌ বীর্যরূপসত্ত্বৌজা ধর্মযুক্তো ভবেৎ স চ—কুন্তী শুধু এই চেয়েছিলেন। কিন্তু আজকে ভাগ্যের তাড়নায় কুমারীত্বের প্রাধান্যে প্রথম-জাত পুত্রকে ভাসিয়ে দিতে হল জলে। জননীর আর্দ্রতায় কুন্তীর বুক ভেঙে কান্না এল। নির্জন নদী তীরে আকাশ-বাতাসের উদ্দেশে জানাতে হল জননীর উদ্বেগ—

বাছা আমার! দ্যুলোক-ভূলোকে যত প্রাণী আছে, তারা যেন তোমাকে বাঁচিয়ে রাখে—স্বস্তি তে’স্তু অন্তরীক্ষেভ্য পার্থিবেভ্যশ্চ পুত্ৰক। যে জলে তোমায় ঠেলে দিয়েছি, সেই জলচর প্রাণীরা যেন ক্ষতি না করে তোমার। তোমার যাবার পথে মঙ্গল হোক তোমার।

বাছা! জলের রাজা বরুণ তোমায় রক্ষা করুন জলে, আকাশে রক্ষা করুন সর্বত্রগামী বায়ু।

বাছা! যিনি দিব্য-বিধানে আমার কোলে দিয়েছিলেন তোমাকে, তোমার সেই তেজস্বী পিতা তোমায় সর্বত্র রক্ষা করুন—পিতা ত্বাং পাতু সর্বত্র তপনস্তপতাং বরঃ।

সমস্ত দেবতার আশীবাদ যাচনা করেও কুন্তী জননীর যন্ত্রণা এড়াতে পারলেন না একটুও। কবচ-কুণ্ডলের সুরক্ষায় কর্ণের যে মৃত্যু হবে না, সেটা তিনি জানতেন। কিন্তু এমন সুন্দর শিশুপুত্রটিকে কোলে চেপে না ধরে, তাকে যে বিসর্জন দিতে হচ্ছে,—এই ব্যথার থেকেও আরও কঠিন এক ঈর্ষাকাতর অনুভূতি তাঁকে পীড়িত করতে লাগল। পুত্র-স্নেহের আরও এক অন্যতর রূপ এই ঈর্ষা। কুন্তী তখনও কাঁদছেন, আর ধরে আছেন তাঁর পরান-পুতলির পেটিকাটি। মুখে বলছেন—বাছা! বিদেশ-বিভুঁয়ে যেখানেই বেঁচে থাক তুমি, তোমার এই সহজাত বর্ম দেখে তোমায় ঠিক চিনতে পারব আমি। ধন্য তোমার পিতা, যিনি সহস্র কিরণ-চক্ষুতে নদীর মধ্যেও তোমাকে দেখতে পাবেন। বাছা! ধন্য সেই মা যিনি তোমাকে পুত্র-কল্পনায় কোলে তুলে নেবেন, তোমার মুখে দেবেন স্নেহস্রুত স্তন্যপান। এই শিশু বয়সেই এমন তেজস্বী চেহারা, এই দিব্য বর্ম, এই কুণ্ডল, এই পদ্ম-পাতার মতো চোখ, এই চাঁচর কেশ—যে মা তোমাকে পাবেন, তিনি কি কোনওদিন কোনও সুখস্বপ্নেও এমন একটি পুত্রের মুখচ্ছবি কল্পনা করতে পেরেছিলেন? বাছা! তুমি যখন মাটিতে হামাগুড়ি দেবে, ধূলায় ধূসর হবে তোমার শিশু-শরীর, তুমি কথা বলবে কলকল করে, আধো আধো ভাষায়—অব্যক্ত কল-বাক্যানি বদন্তং রেণুগুণ্ঠিতম্‌—সেদিন তোমায় আমি দেখতে পাব না, দেখবেন পুণ্যবতী অন্য কোনও মা। বাছা! বাছা! যখন তুমি বড় হবে, বন্য সিংহের তেজ আসবে তোমার শরীরে সেদিনও আমি তোমায় দেখতে পাব না। দেখবেন অন্য কোনও জননী।

কুন্তী অনেক কাঁদলেন। প্রথম জাত পুত্রের ভবিষ্যৎ মুখচ্ছবি যতই স্পষ্ট হতে থাকল তাঁর মনে, তাঁর কষ্টও তত বাড়তে লাগল। মা হওয়ার পর প্রথম সন্তানের বিয়োগ-দুঃখ একজন মাকে যতখানি যন্ত্রণা দিতে পারে, কুন্তী ঠিক সেই যন্ত্রণাই পেলেন। তবু তাঁকে ভাসিয়ে দিতে হল তাঁর শিশুপুত্রটিকে। হাজারো কান্নাকাটির পর রাতও যখন অর্ধেক হয়ে গেল, তখন কঠিন বাস্তব তাঁকে ফিরিয়ে আনল ঘরে। এত রাত হয়ে গেছে, তবু মেয়ে ঘরে নেই—এ কথা যদি কোনওভাবে পিতা কুন্তিভোজের কানে যায়, তবে বহুতর অনর্থ ঘটতে পারে। কুন্তী ফিরে এলেন কাঁদতে কাঁদতে। মনে রইল পুত্র-শোকার্তা জননীর কামনা—আবার কবে দেখতে পাব আমার প্রথম সন্তানকে—পুত্রদর্শনলালসা। কুন্তী জানেন—কর্ণের মৃত্যু অসম্ভব; কিন্তু ছেলে বেঁচে আছে, অথচ তার জন্য জননীর স্নেহ-কর্তব্যগুলি করা হল না, তাকে কোনওদিন বলা যাবে না—ওরে তুই আমারই ছেলে—এই স্বাধিকারহীনতার গ্লানি কুন্তীকে কেবলই কষ্ট দিতে থাকল।

আসলে আমরা কেউই পুত্রের জন্য পুত্রকে ভালবাসি না, নিজেকে ভালোবাসার কারণেই আমরা পুত্রকে ভালবাসি। উপনিষদ তাই বলে—ন বা অরে গার্গি পুত্রস্য কামায় পুত্রঃ প্রিয়ো ভবতি আত্মনস্তু কামায় পুত্রঃ প্রিয়ো ভবতি।

পুত্রকে জলে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগে কুন্তীকে যাঁরা দোষী সাব্যস্ত করতে চান, তাঁদের আমি কয়েকটি কথা হয়তো কষ্টেসৃষ্টে বোঝাতে পেরেছি। এক, শৈশবে পুতুল-খেলার সময় যে বালিকাকে ‘সানন্দে’ দত্তক দেওয়া হয়েছিল কুন্তিভোজের কাছে, সেই বালিকা পালক-পিতার মধ্যে সাধারণ্যে পরিচিত স্নেহময় পিতাকে খুঁজে পাননি। শৈশবে মায়ের স্নেহ, যা একটি শিশুর মনোভূমি তৈরি করে অনন্ত সরসতায়, সঠিক সাবলীলতায়, সেই স্নেহ কুন্তী জন্মদাতা পিতার গৃহে তো পেলেনই না, কুন্তিভোজের গৃহেও পাননি।

দুই। ভোজগৃহের অন্যতর পরিবেশে বালিকা নিজেকে খাপ খাওয়াতে খাওয়াতে যেদিন যৌবনবতী হয়ে উঠলেন, সেই যৌবনের মধ্যে বিকার এনে দিল দুর্বাসার মন্ত্র। যৌবনের প্রথম শিহরণে কুমারীর দূরত্বে থেকে পুরুষকে একটু দেখা, একটু ছোঁয়া, আধেক পাওয়া, আধেক না-পাওয়ার রহস্য উপভোগ করা তাঁর হল না। তিনি পুরুষ বশীকরণের কাম-মন্ত্র শিখে হঠাৎই দেব-পুরুষকে ডেকে বসলেন সদ্যোযুবতীর কৌতুকে; কিন্তু সেই কৌতুকের শাস্তি হল প্রৌঢ়া রমণীর স্থূলতায়, ভাষায়, সঙ্গমে।

তিন। একটি সন্তান জন্মাল। তাকেও জলে ভাসিয়ে দিতে হল পিতা, পরিবার এবং সমাজের মুখ চেয়ে। জন্মদাতা পিতার সানন্দ দত্তক-দানে তিনি কাঁদতে পারেননি, আজ প্রথম জাত পুত্রকে ভাসিয়ে দিয়েও তিনি সোচ্চারে কাঁদতে পারলেন না, নিজের মনোকষ্ট কোনও প্রিয়জনের কাছে বলতে পারলেন না। শৈশব এবং প্রথম যৌবনের দুই ধরনের অবরুদ্ধ শোক কুন্তীর মনোজগৎ তৈরি করেছিল এমনই এক গভীরতর মিশ্রক্রিয়ায়, যাতে মহাকাব্যের কবি তাঁকে আরও বহুতর কষ্টের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছিলেন। কুন্তীকে যদি বুঝতেই হয়, তবে শৈশবে তাঁর পিতা-মাতার স্নেহ বঞ্চনা এবং নবযৌবনের আরম্ভেই তাঁর অনীপ্সিত কৌতুক-সঙ্গমে তথা সন্তান-ত্যাগের নিরুদ্ধ বেদনা—এই তিনের বিচিত্র বিষমান্বয়ের নিরিখেই তাঁকে দেখতে হবে, নচেৎ তাঁর চরিত্র-বিশ্লেষণে ভুল হবে, তাঁর চরিত্রে আসবে অনর্থক আরোপ, যা মহাকাব্যের কবির হৃদয় না বোঝার সামিল।