[সোর্স না জানা অজানা গল্প]

৪৮. থেকে গেলুম আয়ওয়ায়

পল এঙ্গেলের অনুরোধে আমি কয়েকদিন থেকে গেলুম আয়ওয়ায়। এ যাত্রায় এই প্রথম আমার কোনও সাহেবের আতিথ্য গ্রহণ। গত কয়েক মাস আমি শুধু বাঙালিদের বাড়িতেই কাটিয়েছি নানান জায়গায়, কখনও পুরোনো বন্ধুদের বাড়িতে, কোথাও বা নতুন বন্ধুত্ব পাতিয়ে। আগেরবার যখন আমি এদেশে এসেছিলুম, তখন বেশিরভাগ সময় সাহেবদের সঙ্গেই কাটিয়েছি, বাঙালিদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল খুব কম।

মুখার্জিদাকে সেই রাত্তিরেই খবর দিয়ে দেওয়া হল, পরের দিন গাড়ি পাঠিয়ে সিডার র‍্যাপিডস থেকে আনানো হল আমার সুটকেস। আয়ওয়াতে আমি জায়গা পেলুম ইউনিভার্সিটি গেস্ট হাউসে। মফস্বল শহরের এই ছোট বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথিশালায় ঘর আছে প্রায় ষাট সত্তরটা, ব্যবস্থা প্রায় হোটেলের মতন, তবে আমাকে পয়সা দিতে হবে না এই যা!

আমার চারতলার ঘরের জানলা দিয়ে দেখা যায় আয়ওয়া নদী। এই নদীটি মোটেই দেখতে সুন্দর নয়। কিন্তু একে সুদৃশ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে অনেকভাবে, কিছুদূর অন্তর-অন্তর এক একটা সেতু, প্রত্যেকটিরই গঠন আলাদা, আর দুপাশে লাগানো হয়েছে নানারকম গাছ। উইলো, পপলার, চেরি এই সব গাছ চিনতে পারি, এক-একটা গাছ দেখলে দেবদারু মনে হয়। সেগুলো আসলে সাইপ্রেস। অ্যামস্টারডামে এই সাইপ্রেস গাছ অনেক দেখেছি। ভ্যান গঘের ছবিতেও অহরহ দেখা যায়।

আর আছে নানারকম বুনো ফুল। আমি আগে থেকেই জানি এ দেশে হঠাৎ ঝোঁকের মাথায় বুনো ফুলের গন্ধ খোঁজা নিরাপদ নয়। কী একটা ফুল নাকের কাছে এনে ঘ্রাণ নিলেই হে ফিভার নামে এক উকট জ্বর হবেই। সুতরাং ফুল দেখতে হয় দূর থেকে। অবশ্য ফুলের দিন এখন নয়, এখন সবই বরফে ঢাকা।

আয়ওয়া শহরটিকে বলা চলে যৌবনের শহর। যেহেতু ইউনিভার্সিটিই এখানে প্রধান ব্যাপার, তাই রাস্তায়-ঘাটে, দোকানে-বাজারে, সিনেমা-রেস্তোরাঁয় শুধু তরুণ তরুণী। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা কচিৎ দেখা যায়, আর শিশু তো অতি দুর্লভ বস্তু।

আস্তে-আস্তে কয়েকজন লেখক-লেখিকার সঙ্গে পরিচয় হল। কবিতা সিংহ একদিন আমায় নেমন্তন্ন করে খাওয়ালেন। কবিতাদি আছেন মে ফ্লাওয়ার নামে একটি বিশাল অ্যাপার্টমেন্ট হাউসে, এলসা ক্রস নামে একটি মেক্সিকান কবির সঙ্গে একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাগাভাগি করে। কবিতাদি তাঁর ঘরটা চমৎকার সাজিয়েছেন নদীর ধার থেকে কুড়িয়ে আনা নানারকম গাছের ডাল আর লতাপাতা দিয়ে, নিজের হাতে আঁকা কয়েকটা ছবিও লাগিয়েছেন দেওয়ালে।

কবিতাদির চেহারাটিও এই শীতের দেশে এসে আরও সুন্দর হয়েছে। কাশ্মীরি মেয়েদের মতন একটা পোশাক পরেছেন, তার ওপর নতুন ঝকঝকে ওভারকোট, মাথায় কোঁকড়া-কোঁকড়া চুল, ঠিক যেন মেমসাহেব।

যত্ন করে রান্না করেছেন নানারকম পদ। খেতে বসে কবিতাদি বললেন, তোমায় দেখে কী দারুণ চমকে গিয়েছিলুম, নীলু। তোমায় এখানে দেখতে পাব, আশাই করিনি। তুমি তো একটা উড়নচণ্ডী আমি জানি, পায়ে হেঁটে-হেঁটেই কলকাতা থেকে এই পর্যন্ত চলে এলে নাকি?

আমি বললুম, হেঁটে আসব কেন? যোগবিদ্যা শিখে নিয়েছি তো, তাই আমি এখন ইচ্ছে করলেই হাওয়ায় উড়তে পারি।

কবিতাদি একটু হেসে বললেন, জানো তো সুনীল আর স্বাতীও এখানে এসেছে। ওরা অবশ্য এখন নেই, কোথায় যেন বেড়াতে গেছে।

আমি বললুম, আমার সঙ্গে নিউইয়র্কে একবার দেখা হয়েছিল, তখন ওঁরা আপনার কথা বলেছিলেন। আপনার এখানে কেমন লাগছে, কবিতাদি?

কবিতাদি বললেন, কী ভালো যে লাগছে, তা তোমায় কী বলব। কত দেশের লেখক লেখিকাদের সঙ্গে আলাপ হচ্ছে, কতরকম মানুষ, পল আর হুয়ালিং আশ্চর্য ভালো মানুষ। কী চমৎকার একটা লম্বা ছুটি বলো তো? এটা যেন একটা দৈব উপহার। এ এমন ছুটি, যাতে ইচ্ছে মতন অনেক কাজ করতে ইচ্ছে করে। জানো তো, আমি রোজ লাইব্রেরিতে গিয়ে অনেক কিছু নোট নিই। এমন মন দিয়ে পড়াশুনো করতে পারিনি অনেকদিন। আর একটা দারুণ খবর তোমায় শোনাচ্ছি, নীলু! এখানকার পুরোনো খবরের কাগজ ঘাঁটতে-ঘাঁটতে আমি আবিষ্কার করলুম, রবীন্দ্রনাথ একবার এসেছিলেন এই শহরে। এই খবর আমি আগে কোথাও পড়িনি। কোনও রবীন্দ্র গবেষক জানে না।

আমি বললুম, সত্যিই তো। আমিও এ খবর কখনও শুনিনি। তবে ডিলান টমাস এসেছিলেন শুনেছি। ডিলান টমাসকে কবিতা পড়ার জন্য এখানকার বিশ্ববিদ্যালয় আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, তিনি বদ্ধ মাতাল অবস্থায় ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে আছাড় খেয়ে পড়ে যান। পরদিন সেইরকম মাতাল অবস্থায়ই তাঁকে ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়।

কবিতাদি বললেন, আয়ওয়া জায়গাটা ছোট হলে কী হবে, পৃথিবীর সব দেশের লেখকরা এখানে আসেন। আমার তো ইচ্ছে করে এখানে অনেকদিন থেকে যাই, তবে ছেলেমেয়েদের জন্য মাঝে খুব মন কেমন করে। সপ্তাহে একখানা অন্তত চিঠি না পেলে এমন ছটফট করি…।

কবিতাদির অ্যাপার্টমেন্ট-সঙ্গিনী ভারী অদ্ভুত মেয়ে। ছোট্টখাট্টো মিষ্টি চেহারা, মুখে সব সময় হাসি লেগে আছে, কথা বলে নরম গলায়। মেক্সিকোতে এই এলসা ক্রসের কবি হিসেবে বেশ নাম আছে। ওর সঙ্গেও আলাপ হল। এলসা এরই মধ্যে দুবার বিয়ে ও দুবার ডিভোর্স করেছে, দুটি ছেলেমেয়ে আছে তার। আধুনিক সাহিত্যিকদের মতন এক সময় সে প্রচুর মদ খেত, সিগারেট-গাঁজা টানত। মেক্সিকোতে পিয়োটি নামে আরও একটি মারাত্মক নেশার দ্রব্য আছে, তাও সে চেখে দেখেছে। কিন্তু শুধু অতৃপ্তি আর বিপর্যয়ই পেয়েছে তার বদলে। এখন সে শান্তির সন্ধানে মহারাষ্ট্রীয় গুরু স্বামী মুক্তানন্দের শিষ্যা হয়েছে। এলসা এখন কোনওরকম নেশা করে না, নিরামিষ খায়। তার ঘরে তার গুরুর ছবি, আর শিবঠাকুরের ছবি। শুধু নিজেই সে গুরুর কাছে দীক্ষা নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি, হিন্দুত্ব প্রচারের ব্রতও নিয়েছে। এখানেও সে আধ্যাত্মিক বিষয়ের ক্লাস নেয়।

অমন মিষ্টি একটি মেয়ের সঙ্গে একদিন আলাপের পরেই আমি তাকে এড়িয়ে-এড়িয়ে চলতে লাগলুম, পাছে সে আমাকেও হিন্দু বানিয়ে ফেলে!

প্রায় কুড়িজন লেখক লেখিকা এসেছেন এখানে, তার মধ্যে মূল চিন থেকেই তিন-চারজন। এঁদের মধ্যে প্রধান হলেন মাদাম ডিংলিং। এই মাদাম ডিংলিংকে দেখতে অবিকল আমার দিদিমার মতন। তফাত শুধু এই, ইনি শাড়ি পরেন না, পরেন পাজামা আর কুর্তা। বয়েস প্রায় চুয়াত্তর, শুনেছি শরীরে ক্যানসার রোগ বাসা বেঁধেছে, তবু কী অসাধারণ এঁর জীবনীশক্তি, দিব্যি পায়ে হেঁটে ঘুরে বেড়ান। দেখা হলেই মাথা ঝাঁকিয়ে তুরতুর করে অনেক কথা বলে যান, তার এক বর্ণও আমি বুঝি না। মাদাম ডিংলিং ইংরিজির ই-ও জানেন না। কিন্তু যখন আমার গায়ে ওঁর স্নেহময় হাতখানি রাখেন, তখন একটা আত্মীয়তা টের পাই।

মাদাম ডিংলিং এক সময় বিপ্লবের ডাকে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন, তখন তিনি সতেরো বছরের যুবতি। তারপর তিনি জীবনের ঘূর্ণাবর্তে কত জায়গায় যে গিয়েছেন এবং থেকেছেন তার ঠিক নেই। তিনি ছিলেন মাও সে-তুং ও প্রখ্যাত লেখক লু সুনের বান্ধবী। চিয়াং কাইসেকের আমলে তিনি দীর্ঘকাল জেল খেটেছেন। তারপর চিনের বিপ্লব ঘটে যাওয়ার পর তিনি গণ্য হন প্রথম সারির লেখিকা হিসেবে। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় তাঁকে আবার জেল খাটতে হয়, সে বড় সাংঘাতিক কারাবাস, তিনি যাতে লিখতে না পারেন সেজন্য এক চিলতে কাগজও দেওয়া হয়নি তাঁকে, তাঁকে কাজ দেওয়া হয়েছিল মুরগি পালন করার। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ভুল ভ্রান্তির যাবতীয় দায়দায়িত্ব এখন গ্যাং অব ফোর-এর নামে চালালেও, মাদাম ডিংলিং-এর মতে, মাও সে-তুং-এরও যথেষ্ট দায়িত্ব ছিল। মাদাম ডিংলিং পরিষ্কার ভাষায় বলেন, তাঁর শ্রদ্ধেয় বন্ধু মাও সে-তুং-এর সেই সময়কার ভুলে চিনের অগ্রগতি অন্তত দশ বছর পিছিয়ে গেছে। এই ভুলের সমালোচনা করেছিলেন বলেই তিনি বন্দি হয়েছিলেন।

এখন মাদাম ডিংলিং চিনের প্রধান লেখিকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তাঁর এক একটি বইয়ের প্রথম সংস্করণ ছাপা হয় কয়েক লক্ষ, তিনি কোনও জনসভায় গেলে মানুষের ভিড় ভেঙে পড়ে।

মাদাম ডিংলিং দুবার বিয়ে করেছিলেন। বর্তমানে তিনি এক অবিবাহিত পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে থাকেন। সেই চিনা ভদ্রলোকও এসেছেন এখানে, তিনি খুব ভাঙা-ভাঙা ইংরিজি জানেন। মাদাম ডিংলিং-এর কথা তিনি অনুবাদ করে বুঝিয়ে দেন। ভারতবর্ষের প্রতি মাদাম ডিংলিং-এর খুব শ্রদ্ধা, উনি রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়েছেন ও পছন্দ করেছেন। আরও দু-একজন বাঙালি লেখকের সঙ্গে ওঁর দেখা হয়েছে পিকিং-এ কিন্তু এমনভাবে সেই নাম উচ্চারণ করলেন যে আমি কিছুতেই ধরতে পারলুম না তাঁরা কে। মনোজ বসু, মৈত্রেয়ী দেবী হতে পারেন।

একটা ব্যাপারে আমার খুব মজা লাগছিল, উনি ভারতের প্রসঙ্গ উঠলেই বলেন, উঃ কী প্রাচীন তোমাদের সভ্যতা। তোমাদের গান শুনলেই বোঝা যায় কয়েক হাজার বছরের সাধনা ও ঝংকার মিশে আছে তার মধ্যে।

আমরা মনে করি চিনের সভ্যতাই খুব প্রাচীন, আর চিনেরা মনে করে ভারতীয় সভ্যতা খুব প্রাচীন। মাদাম ডিংলিং কট্টর সাম্যবাদী কিন্তু প্রাচীন ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর বিপুল শ্রদ্ধা।

আমি মাদাম ডিংলিং-র অটোগ্রাফ নিলুম। তারপর বললুম, আপনার ঠিকানাটাও দিন, যদি কোনওদিন চিনে যাই আপনার সঙ্গে দেখা করব। মাদাম ডিংলিং চিনে ভাষায় নাম সই করলেন, তাঁর সঙ্গী তলায় ইংরেজিতে ঠিকানা লিখলেন শুধু বেইজিং। বললেন, বেইজিং-এ গিয়ে যেকোনও লোককে জিগ্যেস করলেই মাদাম ডিংলিং-এর সন্ধান দিয়ে দেবে।

এরপর, মাদাম ডিংলিং ঠিক আমার দিদিমার মতনই ভঙ্গিতে রসিকতা করে বললেন, আমার আয়ু বোধহয় আর বেশিদিন নেই। তবু, তুমি যদি আসো, সেই অপেক্ষায় আমি বেঁচে থাকব।

আর একজন দক্ষিণ আফ্রিকার কালো লেখকের সঙ্গে আলাপ হল, তার নাম সিপো। ঠিক আলাপ বলা যায় না, এক তরফা কথা। সিপো-র মুখে একটা তিক্ততার ছাপ। মধ্যবয়েসি এই শিক্ষিত মানুষটির সর্ব অঙ্গে অপমানের জ্বালা। সব সময় সেটা প্রকাশ না করে পারেন না। শুধু গায়ের রঙের জন্য এঁরা নিজের দেশে থেকে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছেন। সিকো বললেন, সাহিত্য? সাহিত্য আমাদের জীবন মরণের প্রশ্ন। আমরা কালো লোক, তাই আমাদের দেশে আমাদের কোনও কিছু লেখার অধিকার নেই। কোনও বই ছাপলে আমাদের শ্বেতাঙ্গ সরকার সেই বই বাজেয়াপ্ত করে, লেখককে জেলে ভরে, প্রেসের মালিককে শাস্তি দেয়। তবু আমরা লিখে যাচ্ছি।

নাইজিরিয়ার লেখক এনডুবিসির চোখ দুটো সব সময় লাল টকটকে। একদিন সকালবেলা তাকে একজন জিগ্যেস করল, এই সাত সকালেই তুমি নেশা করে বসে আছ? দৈত্যের মতন বলশালী চেহারার মানুষটি শিশুর মতন সরলভাবে হেসে বলল, না। স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশের জেলে আমার পা দুটো বেঁধে উলটো করে ঝুলিয়ে রেখেছিল সারাদিন। সেই থেকে আমার চোখ এরকম হয়ে গেছে। এনডুবিসি এক ফোঁটা মদ্য পান করে না।

আমি হোটেল-মোটেলে খাই বলে কবিতাদি আমায় প্রায়ই নেমন্তন্ন করতে লাগলেন। একদিন তাঁর ঘরে দেখা পেলুম স্থানীয় দুটি বাঙালির। রঞ্জিত চ্যাটার্জি আর রবীন ঘোষাল। দুজনেই যাদবপুরের ছাত্র ছিল। রঞ্জিত বিয়ে করেছে ভাবনা নামে একটি অতি শান্ত ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমতী গুজরাটি মেয়েকে। রঞ্জিত আর রবীন দুজনেই চাকরিও করে আবার পড়াশুনো ও গবেষণা চালাচ্ছে। কবিতাদিকে আর আমাকে পেয়ে এরা আনন্দিত হয়েছে ঠিকই, আবার মনের মধ্যে সর্বক্ষণ একটা অস্বস্তি। ভালো করে আড্ডা দিতেও পারছে না। পরদিন ভোরবেলাই কাজে দৌড়োতে হবে। দুজনেই বারবার বলতে লাগল, আপনারা তো বেশ মজায় আছেন কবিতাদি। আমাদের এরা যে কী খাঁটিয়ে মারে তা জানেন না। একটুও বিশ্রাম নেই, সর্বক্ষণ কাজ, কাজ আর কাজ।

এই কাজ আর ব্যস্ততার কথা আমেরিকার সর্বত্র শোনা যায়। শব্দ দুটো আমার কানে নতুন লাগে। দেশে থাকতে তো এই দুটো শব্দ প্রায় শোনাই যায় না।