মধ্যরাতের মেলায়
জয়দেবের মেলায় আমি কয়েকবারই গেছি, কিন্তু কোনওবারই, আসল মেলা যাকে বলে, আমার দেখা হয়নি। শুনেছি, এই মেলাতে প্রায় ছ’ সাত শো দোকানপাট বসে, নাগরদোলা, সার্কাস ম্যাজিকের তাঁবু, মণিহারি, প্লাস্টিকের খেলনা, পাথরের জিনিসপত্র, নকশা-কাটা মাদুর–এসবই পাওয়া যায়, কিন্তু আমি কোনওদিন চক্ষে দেখিনি সে সব। সিগারেট-দেশলাই ছাড়া কোনও কিছুই সওদা করিনি এই মেলা থেকে।
প্রতিবারই পৌঁছতে-পৌঁছতে রাত এগারোটা সাড়ে-এগারোটা বেজে যায়। তখন দোকানগুলি সব ঘুমন্ত, এদিকে-সেদিকে চাদর বা কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমোচ্ছে কাতারে-কাতারে মানুষ, এবং তাদের গা ঘেঁষাঘেঁষি করে পারিবারিক বন্ধুর মতন, গরু, কুকুর, ছাগল।
কোনওবার গেছি বাসে, কোনওবার বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গাড়িতে। দূর থেকে দেখা যায়, ফুটফুটে অন্ধকারের মধ্যে ছড়ানো-ছিটানো জোনাকির মতন আলো। পাকা রাস্তা ছেড়ে এগোলাম কদমখণ্ডীর শ্মশানঘাটের দিকে। এবড়ো-খেবড়ো মেঠো পথ, কবেকার শুকনো কাদা এখন শুকিয়ে ঢেউ খেলানো পাথর, টর্চ জ্বেলে পথের নিশানা ঠিক করতে হয়। হু-হুঁ করে বইছে উত্তরে বাতাস, কলকাতার তুলনায় এই প্রান্তরটিকে মনে হয় হিমালয়ের একেবারে পায়ের কাছে। প্যান্ট-শার্টের ওপর সোয়েটারেও শীত মানে না, একটা আলোয়ান জড়িয়ে মাথাটাও মুড়ি দিয়ে নিই।
মাঠটা পার হওয়ার পর মোটামুটি একটা আলোয় সাজানো পথ পাওয়া যায়। এর দুপাশে গাদাগাদা মিষ্টির দোকান। আমি প্রত্যেকবারই দেখেছি, শুধু এই মিষ্টির দোকানগুলিই সারারাত জেগে থাকে। উঃ, কত রকমের মিষ্টি। এত বিরাট-বিরাট আকারের চমচম কাঁচাগোল্লা আর কোথাও দেখিনি। রাজভোগগুলির নাম দৈত্যভোগ হওয়া উচিত। একসঙ্গে এত মিষ্টি দেখলে আমার গা গুলোয়। দ্রুত সেই জায়গাটা পার হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। ততক্ষণে গানের সুর কানে আসতে শুরু করেছে।
কদমখণ্ডীর শ্মশানঘাটের আশেপাশে অনেকগুলি বিরাট-বিরাট বটগাছ। অনেকে বলেন, এই সব বটগাছ নাকি পাঁচ-সাতশো বছরের পুরোনো–আশ্চর্য, অবিশ্বাস্য কিছু না, প্রবীণ বৃক্ষ পরিবারে এরা প্রায় ছেলেমানুষই বলতে গেলে, ষোলো হাজার বছরের পুরোনো একটি গাছের মৃত্যুসংবাদে বিভূতিভূষণ শোক প্রকাশ করেছিলেন। অজয় নদীর তীর। ওপাশে বর্ধমান, এপাশে বীরভূম। বীরভূমের এদিকের নদী-তীরবর্তী গ্রামটির নাম কেঁদুলি। জনশ্রুতি, লক্ষণ সেনের আমলে কবি জয়দেব এই গ্রামে জন্মেছিলেন। তা হলে অন্তত আটশো বছর আগেকার কথা–কে জানে সত্যি কি না, আমাদের দেশে ইতিহাস বড় ন্যালাখ্যাপা, প্রমাণ রাখতে ভুলে যায়। তবে ইতিহাসের চেয়ে প্রবাদ প্রসিদ্ধি অনেক সময় বেশি মধুর। মনে পড়ে যায় সেই গল্পটা। জয়দেব গীতগোবিন্দ রচনার সময় এক জায়গায় আটকে গেছেন। ‘সুরগরল খণ্ডনম, মম শিরশি মণ্ডনম–’ এইটুকু লেখার পর পরের লাইনটা আর মাথায় আসছে না। অসমাপ্ত কাব্যের পুঁথি খোলা রেখে কবি গেলেন নদীতে স্নান করতে। ফিরে এসে দেখলেন, তাঁর অসমাপ্ত শ্লোকের নীচে মুক্তাক্ষরে কে যেন পরের লাইনটি লিখে রেখে গেছেন, ‘দেহি পদপল্লব মুদারম’! ভক্তেরা বলে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এসে লিখে গিয়েছিলেন লাইনটা, অন্যদের ধারণা কবির স্ত্রী, কিংবা মতান্তরে রাজনৰ্তকী প্রণয়িণী পদ্মাবতীই গোপন কৌতুকে রচনা করেছিলেন ওই অপূর্ব পংক্তিটি। যাই হোক, ঘটনাটি নিশ্চয়ই শীতকালে ঘটেনি, কারণ, শীতকালে অজয় নদীতে স্নান করা প্রায় অসম্ভব। জল প্রায় নেই বললেই চলে, নোংরা-কাদায় প্যাঁচপেচে। এই নদীটিকে আমি কখনও পছন্দ করতে পারিনি। নদী যদি স্বাস্থ্যবতী না হয়, তা হলে তার সঙ্গে প্রণয় জন্মায় না। ভরা বর্ষায় অজয়কে দেখার সুযোগ হয়নি। ও, আর একটা ভুলও করেছি এতক্ষণ, অজয় তো নদী নয়, নদ, প্রণয়ের প্রশ্নই ওঠে না।
জানি, ওড়িশার একটি জায়গার দাবি আছে, জয়দেবের জন্মস্থান হিসেবে, হয়তো জয়দেব ছিলেন উৎকল রাজের সভাকবি, গীতগোবিন্দ রচিত হয়েছিল সেখানেই, কেননা রাজসভার কাব্যের অনেক চিহ্ন আছে ওই রচনায়, ওড়িশার সমসাময়িক মন্দিরগাত্রের আদিরসের সঙ্গে চরিত্রের মিল আছে এই ভক্তিরসের ছদ্মবেশী আদিরসের কাব্যটির। হয়তো কেঁদুলির ব্যাপারটা পুরোটাই গুজব, তবু একটা বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করেই শত শত বছর ধরে একজন কবির স্মরণে এখানে মেলা জমে ওঠে। শুনেছি, বাংলার খুব পুরোনো মেলার অন্যতম এটি, এবং গঙ্গাসাগর ছাড়া, এত বেশি মানুষ আর কোনও মেলায় আসে না। একজন কবির স্মরণে এই মেলা, তাই এর এমন একটা বৈশিষ্ট্য আছে, যা আর কোথাও নেই।
এই মেলায় নিছক সাধুসন্ন্যাসীরা আসে না, আসে কবি ও গায়কেরা। পৌষসংক্রান্তির দিনে স্বতঃপ্রবৃত্তভাবে দলে-দলে এসে জড়ো হয় আউল, বাউল, সাঁই, কর্তাভজা, দরবেশ, কীর্তনীয়া। কেউ-কেউ আসে গরুর গাড়িতে, অনেকেই পায়ে হেঁটে, বিভিন্ন দিক থেকে, শীর্ণ নদ পেরিয়ে মহা বট গাছগুলির ঝুপসি ঘুপসি অন্ধকারে আস্তানা গেড়ে বসে। তারপর শুরু হয় প্রাণের আনন্দে গান।
মিষ্টির দোকানগুলো পেরিয়ে আসতে-আসতে প্রথম আসরটি থেকে ভেসে আসা গান শুনে মনে হয় নারীকণ্ঠের। ভিড় ঠেলে কাছে গিয়ে দেখলাম, একটি কিশোর, বারো-তেরো বছর বয়েস, এখনও কণ্ঠস্বর ভাঙেনি, রিনরিনে গলায় সে তান তুলেছে :
আজ মোরা জল ভরিতে
দেখে এলাম নবীন গোরা
সে তো হাসে কাঁদে নাচে গায়
থাকে সদা বাউল পারা।…
রাত এখন সাড়ে বারোটা, সেই সময় এই বাচ্চা বাউলটি নেচে-নেচে ঘুরে ঘুরে গাইছে আর একজন ‘বাউল পারা’র কথা, চকচক করছে আর মুখ, তার চোখে যে একটা তীব্র মনোযোগ, ওই বয়েসি আর কোনও ছেলের এমন দেখেছি কি? গানের মধ্যে এমন ডুবে যাওয়া–এর মধ্যেই ছেলেটি শিখল কী করে? গান শেখার চেয়েও এটা যে অনেক শক্ত।
এক আসরে বহুক্ষণ বসে থাকলে অনেক কিছুই দেখা হবে না। এখানে সেখানে বিভিন্ন আসর, ঘুরলেও সব ক’টা শোনা হবে না। এখন মেলার সময় সাময়িকভাবে বিজলী আসে, অনেকেই মাইক্রোফোন ব্যবহার করে। আবার বড় বড় আখড়ার গমগমে মাইকের পাশেই আছে নিরিবিলি ছোটখাটো আখড়া, যেখানে তিরিশ পঞ্চাশজন গোল হয়ে বসে গুনগুন করে গান গাইছে। আপন মনে গান, গানের জন্যই গান।
বাউলের সংখ্যা বেশি হলেও কোথাও-কোথাও জমেছে কীর্তন, কোথাও লালন ফকিরের গান। মনোহর ক্ষ্যাপার আখড়ার পাশেই এবার সবচেয়ে বড় আসর, সেখানে চলেছে পালাকীর্তন, দু-তিনজন একসঙ্গে নেচে-নেচে গাইছে দানখণ্ড। বাবাজি নিজে সেখানে উপস্থিত নেই, তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ, বিশেষ বিশেষ নারী ও পুরুষ ভক্তরা ভেতের ঢুকে আবার নিঃশব্দে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে।
তার পাশেই একটি ছোট আখড়ায় বিনা মাইকে চলছে লালন ফকিরের গান :
একদিন না দেখিলাম তারে
আমার বাড়ির কাছে আরশি নগর
সে এক পরম বিরাজ করে।…
লালন কি জাত চিনলি না মন
শুধু জাতের বড়াই কর…
এরকমভাবে একে-একে পার হয়ে যাই কাঙাল ক্ষ্যাপার আখড়া, ঘেঁটরে বাবার আখড়া, জয় ক্ষ্যাপার আশ্রম–আরও কত নাম-না-জানা আশ্রম।
এবার নবীন দাসের সুযোগ্য পুত্র পূর্ণ দাসের আসর বসেনি। গতবারেও দেখেছি বেশ উঁচু করে বাঁধা স্টেজের ওপরে পূর্ণ দাসের বড় আসর; অল্প বয়েসি থেকে থুরথুরে বুড়ো বাউলরাও তাতে অংশ নিয়েছে। পূর্ণ দাস বাবাজি বেশ কয়েকবার বিদেশ ঘুরে আসায়, তাঁর এখন অনেক বিদেশি ভক্ত, গতবার পর্যন্ত দেখেছি, অন্তত দেড়শো দুশো অল্প বয়েসি সাহেব-মেম প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও প্রায় ছিন্নকন্থা পরিধান করে রাত জেগে-জেগে গান শুনছে, কারুর-কারুর পাশে টেপ রেকর্ডার। এবার পূর্ণ দাস আসেনি। সাহেব মেমরাও উধাও, শুধু দুটি টকটকে লাল সোয়েটার পরা শ্বেতাঙ্গিনী, রাত্রির আলেয়ার মতন, যখন-তখন যেখানে-সেখানে দপ করে জ্বলে উঠছে। শহুরে দর্শকদের ভিড়ও এবারের মেলায় বেশ কম। শুনলাম, পূর্ণ দাস তাঁর দলবল নিয়ে আলাদা একটা মেলা করবেন।
এত শীত, তবু খানিকটা পরে শীত বোধ চলে যায়। কয়েক হাজার মানুষের গায়েরও একটা উত্তাপ আছে তো! হাতে ঘড়ি থাকলেও সময় খেয়াল থাকে না . এইসব গানের সুর একটা নেশার মতন। যদিও বাউল গানের বিশেষ সুরবৈচিত্র্য নেই। বড় জোর দু-তিন রকমের ধরতাই। ‘ভোলা মন’ বলে কোথায় তান বিস্তার হবে, তা প্রায় মুখস্থ বলা যায়। কথার বৈচিত্র্যও খুব বেশি নয়। রাধাকৃষ্ণ, নিমাই আর দেহতত্ব, যার উপমা রূপকগুলি এখন বহু ব্যবহৃত। তবু, ওরা যেমন প্রাণের আনন্দে গায়, সেই রকম শুনতে শুনতেও একটা নেশা ধরে যায়।
কোথাও কোথাও ঠিক কবির লড়াই না হলেও পরপর গানের নির্বাচনে একটা নাটক জমে ওঠে। যেমন, একজন গাইল ‘দশটা ইঁদুর, ছ’টা ছুঁচো, আমায় ঘর বাঁধতে দিল না…’ ইত্যাদি, এর পরেই আর একজন উঠে ধরল, ‘কালো বেড়াল কে পুষেছে পাড়ায়’। কিম্বা সেই বহু বিখ্যাত ‘গোলেমালে গোলেমালে পিরিত কোরো না’–এর পরেই আর এক দলের ‘প্রেম করা তো সময় জানে না!’
ঘুরতে-ঘুরতে একটা সরু পথ ধরে আমরা একটা ছোট আস্তানায় এসে হাজির হই। রাত্তিরের তখন তিন প্রহর পেরিয়েছে। এখানে এসে একটা অদ্ভুত দৃশ্য চোখে পড়ে। আসরের শ্রোতারা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, যেখানে বসে ছিল, সেখানেই এখন গড়ানো, জায়গার অভাবে এর গায়ের ওপরে ওর পা, অধিকাংশই দীন দরিদ্র গাঁয়ের মানুষ, বিশেষ কিছু শীত বস্ত্র নেই, নারী ও পুরুষেরা তাই পরনের শাড়ি বা ধুতিটাই মুড়িসুড়ি দিয়ে কুকুরকুণ্ডলী। এই ঘুমন্ত শ্রোতাদের মাঝখানে বসে আসে দুজন বাউল, গেরুয়া আলখাল্লা ও দাড়িতে ঠিক ছবির বাউলের মতন, গুপী যন্ত্র বাজিয়ে গুন গুন করে গান গেয়ে যাচ্ছে। শ্রোতারা কেউ শুনছেনা, তবু গান গেয়ে যাওয়া, এর ব্যাখ্যা আমরা করব কী করে!
আখড়ার দাওয়ায় একজন নীরব সন্ন্যাসী, পাশে চুল্লি জ্বলছে। সাধুবাবা হাতের ইঙ্গিতে আমাদের বসতে বললেন। আমরাও আগুনের লোভে তাঁর পাশেই বসলাম। কাছাকাছি আর একজন মাত্র জাগ্রত ভক্ত, তাঁর হাতে গাঁজার কল্কে, তিনি আমাদের প্রসাদ দিলেন। কল্কেটা নিয়ে দুবার দম দিতেই শরীরটা বেশ চাঙ্গা লাগল। আবার কল্কে সাজা হল, পালাক্রমে তাতে টান দিতে দিতে আমরা সেইখানেই বসে গান শুনলাম আরও অনেকক্ষণ।
এইসব গান কে লিখেছে, সে সুর দিয়েছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তার কোনও ঠিক নেই। সব গানই সকলের সম্পত্তি। মেলার যতগুলো আসরে ঘুরলাম, শুনলাম যত জনের গান, তার মধ্যে আছে যুবক, বৃদ্ধ, কিশোর, নারী–সব জায়গাতেই একটা কথা মনে হয়, এরা কেউই গায়কের মতন গায় না, প্রতিটি গানই যেন নিজের উপলব্ধি। অন্য কারুর না, নিজের গান। না হলে এই তন্ময়তা আসে না–সারারাত ধরে, কোনও রকম পার্থিব প্রাপ্তির আশা না রেখে গান গেয়ে যাওয়া–এর তো আর কোনও মানে নেই। বাউলেরা বিবাগি ঘর-ছাড়া হয়, কিন্তু তাদেরও তো
ক্ষুধা তৃষ্ণা আছে, কে মেটায় সেইসব দাবি। এ-কথা তো অস্বীকার করার উপায় নেই যে এখন অনেক বাউলকে ট্রেনে গান গেয়ে ভিক্ষে করতে হয়। কিন্তু এই মেলায় কোনও বাউল কারুর কাছে কিছু চায় না। তা ছাড়া জয়দেবের মেলাই আমার অভিজ্ঞতায় একমাত্র জায়গা, যেখানে একজনও ভিখিরি দেখিনি আমি।
দূরে বড় বড় আখড়ার মাইকের জোরালো গান সত্বেও এই ছোট্ট আসরে গুনগুন করে গাইছিল একজন মধ্যবয়েসি বাউল :
আহা যাকে পথে করোয়া হাতে
তিন দিনের উপবাসী
দেখলাম গো নিমাই সন্ন্যাসী…
শুনতে-শুনতে মনে হয়, এই সামান্য কথার মধ্যে, ‘তিন দিনের উপবাসী’ এই জায়গাটাতেই বেশ চকিত কবিত্ব আছে, শুধু উপবাসী বলার বদলে তিন দিনের উপবাসী বলায় যে পর্যবেক্ষণের আভাস…। পরক্ষণেই মনে হয়, যে বাউলটি গাইছে, সে নিজেই তিন দিনের উপবাসী নয় তো?
মেলা যখন ছাড়লাম, তখন ভোরের আলো ফুটছে। তখনও বহু আসরের গান থামেনি। এই এক গান-পাগলের মেলা। একটু পরেই আবার চলবে কুঞ্জভঙ্গ গান, দুপুরে ধূলট, তারপর দধিহরিদ্রা। প্রতি বৎসরই মেলা ছেড়ে যাওয়ার সময়, এই তো সব কিছু দেখা হল, অনেক গান শোনা হল, আগামী বছর আর শীতের মধ্যে কষ্ট করে আসব না। যদিও জানি, আবার আসতেই হবে।