1 of 2

স্ট্রেঞ্জার – ১৪

চোদ্দ

পুরনো ফোর্ড পিকআপ চালিয়ে চিটিমাচা ছেড়ে সরে যাচ্ছে রানা। ভাল করেই জানে, বেশিক্ষণ নিরাপদ থাকবে না এই হাইওয়ে। লিয যে বাড়িতে থাকত, এরই ভেতর সে এলাকা কর্ডন করেছে ট্রুপাররা। আটকে দেবে বেরোবার সব পথ সার্চ করা হবে প্রতিটি বাড়ি, গাড়ি। আগামী একঘণ্টার ভেতর গোটা স্টেট জুড়ে শুরু হবে ম্যান-হান্ট। হোটেল, মোটেল ও হাসপাতালে খুঁজবে ওকে পুলিশবাহিনী।

ভোরের আগেই স্থানীয় টিভি স্টেশন থেকে প্রচারিত হবে সেইবার দিয়ে গেঁথে মানুষ খুনের কাহিনী। সকালে নাস্তার সঙ্গে দৈনিক পত্রিকার খবর গোগ্রাসে গিলবে সাধারণ মানুষ। জানবে, কত নিষ্ঠুরভাবে খুন করা হয়েছে লিয বাউয়ারকে। দুপুরের মধ্যেই প্যারিশের সবাই হয়ে উঠবে আতঙ্কিত— আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভয়ঙ্কর এক বিদেশি খুনি! যার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র আছে, জানালার কাছ থেকে চোখ রাখবে বাড়ির সদর দরজার ওপর। অচেনা কাউকে দেখলেই ‘বুম’! আর মাঝ দুপুরের ভেতর পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। দেখলেই রানাকে গুলি করে মারবে লুইযিয়ানার সশস্ত্র যে-কোনও নাগরিক।

অবশ্য, দুপুর পর্যন্ত হাঁটাচলার সাধ্য রানার থাকবে কি না, তা ভিন্ন প্রসঙ্গ। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে ও। গাড়ির সিটে জমছে রক্ত। চুইয়ে নামছে মেঝের ম্যাটিঙে। অ্যাক্সেলারেটর ও ব্রেক প্যাডেলের ওপর পিছলে যাচ্ছে রক্ত- ভেজা জুতো। তবে এখনও টনটনে ব্যথার কারণে সজাগ রয়েছে রানা। গভীর মনোযোগ স্টিয়ারিং হুইলের ওপর।

কিছুক্ষণ পর মেইন রোড থেকে পাহাড়ি সরু এক কাঁচা রাস্তায় নামল রানা। একটা ব্যাপারে খুশি। লুইযিয়ানার বেশিরভাগ গাড়ি ফোর-হুইল-ড্রাইভ। সাসপেনশন ও চাকা শক্তপোক্ত। এবড়োখেবড়ো, রুক্ষ পাহাড়ি এলাকায় চলতে বাধা নেই। ভাঙাচোরা, কাঁচা পথে নাচতে নাচতে চলেছে ফোর্ড পিকআপ। গত মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টির হয়েছে বলে একধারে গভীর নালা। একটু পর রাস্তা ছেড়ে জঙ্গলের ভেতর ঢুকল রানা। অবশ্য থামতে হলো সিকি মাইলের মত গিয়েই।

আর এগোবার উপায় নেই।

গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট নিভিয়ে ইঞ্জিন বন্ধ করল রানা। দরজা খুলে রক্তমাখা সিট থেকে নেমে পড়ল। পুরো দশ মিনিট চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল পিকআপের গায়ে হেলান দিয়ে। টিকটিক শব্দে শীতল হচ্ছে তপ্ত ধাতু, এ ছাড়া জঙ্গলে রয়েছে শুধু প্রাকৃতিক স্বাভাবিক সব আওয়াজ।

রক্তমাখা শার্টের ওপর দিয়ে পেটের ক্ষত চেপে ধরল রানা। অনেক কষ্টে সাবধানে উঠল পিকআপের পেছনে। ওখানে জং ধরা, পুরনো একটা লোহার ক্রেট দেখেছে। ওটার ঢাকনি খুলে দেখল, পিকআপের সৌখিন মালিক ওখানে জড়ো করেছে বেশকিছু দরকারি যন্ত্রপাতি। ওই লোক শিকারি অথবা অভিযান-প্রিয় কেউ হবে। পাহাড়ে-জঙ্গলে ক্যাম্প করার অভ্যাস আছে লোকটার। ক্রেটের ভেতর টুক- টাক ইঞ্জিন মেরামত ও চাকা পাল্টানোর যন্ত্রপাতির সঙ্গে রয়েছে নতুন একটা হ্যাক-স’, ছোট ধারালো কুঠার, কয়েকটা সবুজ রঙের ক্যানভাসের তারপুলিন আর হালকা কিন্তু শক্ত দড়ির একটা বাণ্ডিল। লোহাকাটা করাত, কুঠার, তেরপল, দড়ি আর একটা প্লায়ার্স নিল ও এখান থেকে। এবার ড্রাইভারের গ্লাভস বক্স ঘেঁটে রানা পেল ডলি পার্টনের অটোগ্রাফ দেয়া একটা ছবি, এক রোল গ্যাফার টেপ ও লেবেল ছাড়া কোয়ার্টার সাইযের মদের একটা বোতল। মদটুকু পানির মত স্বচ্ছ। গন্ধ শুঁকে রানার মনে হলো ঘরে তৈরি অবৈধ মাল— চাঁদ থেকে একপাক ঘুরে আসার জন্যে যথেষ্ট কড়া জিনিস ওটা। ডলি পার্টনের ছবি ওর কোনও কাজে লাগবে না। টেপ আর মদের বোতল গ্লাভস কমপার্টমেন্ট থেকে বের করে নিল রানা।

এখন চাই পূর্ণ-বিশ্রাম। তবে তার আগে আছে জরুরি কিছু কাজ। এই পিকআপ ট্রাকের ঝলমলে কমলা রঙ ঢাকতে না পারলে সহজেই আকাশ থেকে পুলিশ হেলিকপ্টারের পাইলটের নজরে পড়ে যাবে।

বড় দুটো তারপুলিন খুলে পিকআপের ওপর বিছিয়ে তিন জায়গায় ভালভাবে দড়ি বাঁধল রানা। চট্ করে হাওয়ার তোড়ে উড়বে না এখন তারপুলিন। এরপরের আধঘণ্টা গাছ থেকে পাতাভরা ডাল কাটার কষ্টকর কাজে ব্যয় করল রানা। এতই দক্ষভাবে পিকআপটাকে ঢাকল, পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় টের পাবে না সতর্ক কোন হরিণও। গাড়িটা লুকিয়ে রেখে প্লায়ার্স, করাত, কুঠার আর দড়ি রাখল নিজের ব্যাগের ভেতর। ব্যাগের ওপরে থাকল ভাঁজ করা ছোট দুটো তারপুলিন। এবার একটু বিশ্রাম নিয়ে ব্যাগ কাঁধে তুলে রওনা হলো আহত রানা।

ঘন জঙ্গলের মাঝ দিয়ে যেতে গিয়ে মনে হলো, পৌঁছে গেছে স্রেফ নরকে। প্রতি পদক্ষেপে পেটের ক্ষতে টান খেয়ে লাগছে তীক্ষ্ণ ব্যথা। গভীর অরণ্যে পুরো এক মাইল হাঁটল রানা। তারপর বুঝল, যে-কোনও সময়ে এখন জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়বে। শেকড়সহ উপড়ে পড়া বিশাল এক ওক গাছের সামনে থামল। আগে যেখানে ছিল ওটার গুঁড়ি, সেখানে এখন মাটির বুকে গভীর গর্ত। অনায়াসেই ওখানে লুকিয়ে থাকতে পারবে যে-কেউ।

কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতেই হবে, ভাবল রানা। শেকড় সরিয়ে ঢুকল গর্তের ভেতর। চাদরের মত করে ভেজা মাটিতে বিছাল ছোট তারপুলিন। গুহার ভেতর পচা পাতা ও ছোট জানোয়ারের গায়ের গন্ধ। এ নিয়ে কিছু বলার নেই, এর চেয়ে ঢের খারাপ জায়গায় থেকেছে রানা।

ছোট টর্চটা জ্বেলে খুলল জ্যাকেট ও রক্তাক্ত শার্ট। বাতির আলোয় দেখল পেটের ক্ষত। ওটা থেকে এখনও টপটপ করে রক্ত পড়ছে। তবে প্রথমে যতটা ভেবেছে, তার চেয়ে অগভীরভাবে মাংস চিরেছে ছোরাটা। পাঁজরের নিচ থেকে নাভি পর্যন্ত নেমেছে পাঁচ ইঞ্চি দীর্ঘ ক্ষত।

পাহাড়-জঙ্গলে যে-কোনও সময়ে খোলা জখমে শুরু ইনফেকশন। তবে ভরসার কথা হচ্ছে, রানার ই সিস্টেম ভাল। তার ওপর, অফিস থেকে নিয়মিত শরার চেকআপ করানো হয় বলে আপ-টু ডেট আছে টিটেনাসের ইঞ্জেকশন। অবশ্য বড় ধরনের ঝামেলা করতে পারে রক্তহীনতা। হাত-পায়ে আঘাত পেলে ভালভাবে ওটা বেঁধে নিতে পারত রানা। হয়তো থেমেও যেত রক্ত পড়া। কিন্তু পেটের ক্ষত অন্য জিনিস। নিজের চোখে দেখেছে রক্তশূন্যতায় কীভাবে মরে মানুষ। জানে, আধ লিটার রক্ত হারালে কমে আসবে সচেতনতা। একলিটার হারিয়ে বসলে বাড়তে থাকবে হৃৎপিণ্ডের গতি ও শ্বাসপ্রশ্বাস। এই মুহূর্তে ঠিক সেটাই ঘটছে ওর ক্ষেত্রে। শরীর থেকে আরও আধ লিটার রক্ত বেরিয়ে গেলে জ্ঞান হারাবে ও। দুই দশমিক দুই লিটার বা চার পাইণ্টের মত রক্ত ঝরলে ঘনিয়ে আসবে অবধারিত মৃত্যুঘুম

ম্যাগলাইট টর্চের আলোয় ভাল করে দেখে শা পরিষ্কার একটা অংশ ফড়াৎ করে ছিঁড়ল রানা। ওটা ব্যবহার করবে ক্ষত মুছে নেয়ার জন্যে। কড়া মদের বোতলটা খুলল। অ্যালকোহলে ভিজিয়ে নিল কাপড়টা। চেপে ধরল ক্ষতের ওপর। ওরেব্বাপ! জ্বলুনি কাকে বলে! ভীষণ যন্ত্রণায় গাল- ভুরু-কপাল-চোখ কুঁচকে গেল ওর। কিন্তু থামছে না কিছুতেই, ক্রমাগত ঝরে চলেছে রক্ত। মুছলেও ক্ষত থেকে দরদর করে বেরোচ্ছে অবিরল। না, এভাবে থামবে না রক্ত- স্রোত। ক্ষতটা খারাপ ধরনের। মনে হচ্ছে, কোনও ধর্মনি কেটেছে।

বাঁচতে হলে এখন একটাই কাজ করতে হবে। যেমন করে হোক বুজিয়ে দিতে হবে ক্ষত। তাতে যদি থামে কাটা পড়া রক্তনালীর ক্ষরণ। তবে ঠিকভাবে কাজটা শেষ করতে হলে ওর চাই গনগনে আগুন। সেই আগুনে গরম করতে হবে ধাতব কিছু। জিনিসটা হতে পারে ছোরা বা কুড়ালের মত কিছু। তবে লাইটারের আগুনে একঘণ্টা কুঠারটা ধরে থাকলেও যথেষ্ট গরম হবে না ধাতু। ততক্ষণে রক্তক্ষরণে মারা পড়বে ও। গুহা থেকে বেরিয়ে আগুন জ্বালতে পারে। কিন্তু সেটা খুবই বিপজ্জনক কাজ হবে। কমলা রঙের গাড়ির চেয়েও বেশি দৃষ্টি আকর্ষণ করবে ধোঁয়া। কয়েকমাইল দূর থেকেও দেখা যাবে, এদিকে আগুন জ্বেলেছে কেউ।

অবশ্য ক্ষত বুজে দেয়ার অন্য উপায় আছে। বেল্ট থেকে রিভলভার নিয়ে ওটার সিলিণ্ডার খুলল রানা। খরচ হয়েছে একটা বুলেট। রয়ে গেছে আরও পাঁচটা। রিভলভারের নল ওপরে তাক করতেই সিলিণ্ডার থেকে ওর কোলে ঝরে পড়ল নাক বোঁচা বড়সড় ম্যাগনাম কার্ট্রিজগুলো। ফায়ার করা হলে এসব বুলেট তৈরি করবে প্রচণ্ড কেমিকেল ফোর্স। ফলে ঠেকিয়ে দেয়া যাবে তেড়ে আসা গ্রিজলি ভালুককেও।

ব্যাগ থেকে নিয়ে লোহা-কাটা করাতটা পরখ করল রানা। যথেষ্ট ধার আছে ব্লেডে। তা ছাড়া পিতল সবসময়েই লোহার চেয়ে নরম। কিন্তু পিচ্ছিল পিতলের গায়ে দাগ বসাতে পারবে কি না সন্দেহ আছে ওর। যা-ই হোক, চেষ্টা তো করে দেখতেই হবে।

ছোট কুঠারটা পাশের মাটিতে রাখল রানা। হাঁটুর পাশে থাকল বুলেটগুলো। ঠিক করেছে বুটের সোলের একপাশ ব্যবহার করবে কাটিং বেঞ্চ হিসেবে। কার্ট্রিজের মাঝামাঝি জায়গায় বসিয়ে নিল করাতের দাঁত।

পিছলে যাচ্ছে বলে প্রথমে কঠিনই হলো খোলের গায়ে করাতের দাঁত বসানো। তবে একবার অগভীর একটা খাঁজ তৈরি করার পর সহজ হয়ে গেল কাজ। গভীরভাবে কাটতে শুরু করতেই রানার বুটের পাশে জমতে লাগল পিতলের খুদে সব গুঁড়ো। গুলির চার ভাগের তিন ভাগ কাটার পর সহজেই মুচড়ে জিনিসটা দু’টুকরো করল রানা। সাবধানে ভেতরের পাউডার ঢেলে রাখল কুঠারের ফলার সমতল জায়গায়।

কার্ট্রিজে রয়েছে প্রচণ্ড গতি ও তাপ তৈরির জন্যে কালচে ধূসর নাইট্রোসেলিউলোয মিশ্রিত পাউডার। এটা পুরনো আমলের গান পাউডার নয়। ব্যবহার হয়নি গন্ধক, কয়লা, পটাসিয়াম বা সোডিয়াম নাইট্রেট। সেকালে মুহূর্তে ভয়ঙ্কর আগুন তৈরি করে চেম্বার ও ব্যারেলে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করত গান পাউডার। পুড়ে ছিটকে বেরোত সাদা ধোঁয়া। গন্ধ ছিল পচা ডিমের মত। গুলি বেরোবার সময় চেম্বার ও ব্যারেলে লেগে যেত বাজে কালো ময়লা। ফলে কিছুক্ষণ গুলির পর চেম্বার বা ব্যারেল বিস্ফোরণের ভয় থাকত। সেই তুলনায় ঢের আধুনিক জিনিস নাইট্রোসেলিউলোয় পাউডার। মাত্র দুই থেকে তিন সেকেণ্ডে এতই দ্রুত জ্বলবে, ধোঁয়া যেমন কম হবে, ময়লাও তৈরি হবে অতি সামান্য। ওটা আবিষ্কার না হলে বর্তমানের অটোমেটিক ওয়েপন বা মেশিন গান তৈরি করা ছিল অসম্ভব। বেশিরভাগ মানুষ জানে না, গত উনিশ শতকের শেষদিকে পুরনো গান পাউডার বাদ দিয়ে নতুন এই পাউডার আবিষ্কার করা আসলে ছিল মানব-সভ্যতার সবচেয়ে বড় বিপর্যয়। কালচে ধূসর এই পাউডারের গুণে অস্ত্রের ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান জগতে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ।

ব্যস্ত হয়ে নিজের কাজ করছে রানা। ম্যাগলাইটের উজ্জ্বল আলোয় বিশ মিনিট উবু হয়ে করাত চালাবার পর পাঁচ গুলির পেট থেকে বের হয়ে এল সমস্ত গান পাউড়ার। সব কুড়ালের সমতল অংশে রাখল রানা। এবার লাইটার দিয়ে জ্বেলে নেবে নাইট্রো পাউডার। শুকনো জিনিসটা রক্তভেজা ক্ষতর ওপর ঢাললে আগুন জ্বলার আগেই নষ্ট হবে পাউডার। শুধু তা-ই নয়, রক্তে মিশে যাবে নানান ধরনের বিষাক্ত কেমিকেল। এ থেকে বাঁচতে হলে ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা সহ্য করতেই হবে ওকে।

চরম ব্যথার জন্যে নিজেকে তৈরি করল ও। আনমনে বলল, ‘উপায় নেই! একটু সহ্য করো, রানা, লক্ষ্মী সোনা!’

বড় করে ক’বার শ্বাস নিল রানা। তারপর সাবধানে তুলল কুঠারটা। ফলার চ্যাপ্টা অংশে আছে কালচে ধূসর গুঁড়ো। পকেট থেকে লাইটার নিয়ে আগুন দিল হ্যাচেটের ওপরের কালো ছোট্ট স্তূপে।

লাইটারের কমলা শিখা বারুদ স্পর্শ করতেই হঠাৎ দেখা দিল বিদ্যুতের মত সাদা ঝিলিক। সাপের মত ফুঁসে উঠে রানার চোখ ধাঁধিয়ে দিল জ্বলন্ত পাউডার। ওই শিখা তিন-চার ইঞ্চি উঁচু। চুলোর আগুনের চেয়ে অনেক উত্তপ্ত। আরও একটু জ্বলেই দপ করে নিভে যাবে এই নরকের আগুন। অবশ্য তার আগেই হ্যাচেটের চ্যাপ্টা উত্তপ্ত দিক পেটের রক্তভেজা ক্ষতে চেপে ধরল রানা।

উহ্!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *