ঋগ্বেদ ১০।০৮০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ৮০
অগ্নি দেবতা। বৈশ্বানর অগ্নি ঋষি।
১। অগ্নি এরূপ ঘোটক দান করেন, যাহাতে আরোহণপূর্বক শত্রুর অন্ন লুণ্ঠনপূর্বক আমরা গৃহ পরিপূর্ণ করি। অগ্নি যে পুত্র প্রদান করেন, সে কর্ম তৎপর হইয়া যশস্বী হয়। অগ্নি দ্যুলোক ও ভূলোককে শোভাময় করিয়া বিচরণ করেন। অগ্নি নারীকে বহুবীরপ্রসবিনী করেন।
২। অগ্নিকার্য্যের উপযোগী সমিৎকাষ্ঠ কল্যাণকর হউক। অগ্নি প্রকান্ড দ্যাবাপৃথিবীতে প্রবেশ করিয়াছেন। অগ্নিই এক ব্যক্তিকে যুদ্ধে যাইবার সাহস প্রদান করেন। অগ্নি মহৎ মহৎ অভিলাষ সকল দয়া করিয়া পূর্ণ করেন।
৩। অগ্নি জরৎকর্ণ নামক ব্যক্তিকে রক্ষা করিয়াছিলেন। অগ্নিই জরুথ নামক শত্রুকে জলের মধ্য হইতে নির্গত করিয়াদগ্ধ করিয়াছেন। যখন প্রতপ্ত কুণ্ডের মধ্যে অত্রি পতিত হয়েন, তখন অগ্নিই তাহাকে উদ্ধার করেন। অগ্নি সুমেধ ঋষিকে সন্তানবান করিয়াছিলেন।
৪। অগ্নি পুত্রস্বরূপ মহামূল্য পদার্থ দান করেন, অগ্নি ঋষিকে সহস্র দান করেন, অগ্নি হোমের দ্রব্য লইয়া স্বর্গে দেবতাদিগের মধ্যে ছড়াইয়া দেন, অগ্নির বৃহৎ বৃহৎ অনেক স্থান আছে।
৫। ঋষিগণ স্তবের দ্বারা অগ্নিকে আহ্বান করেন, বিপদগ্রস্ত পথিকগণ অগ্নিকে আহবান করেন, আকাশে উড্ডীয়মান পক্ষীরা অগ্নিকে আহ্বান করে, অগ্নি এক সহস্র গাভী বেষ্টন করিয়া থাকেন।
৬। মনুষ্যজাতীয় প্রজাবৰ্গ অগ্নিকে স্তব করে, নহুষের সন্তান মনুষ্যগণও তাহাই করেন। গন্ধর্বদিগের নিকটও অগ্নি যজ্ঞকালে স্তব প্রাপ্ত হয়েন। অগ্নির গতি যেন ঘৃতের মধ্যে নিমগ্ন রহিয়াছে।
৭। ঋভুগণ অগ্নির জন্য বৈদিক স্তব রচনা করিয়াছেন। হে অগ্নি! তোমার এই সুরচিত বৃহৎ স্তব পাঠ করিলাম। হে যুবা অগ্নি! এই স্তবকারীকে রক্ষা কর। বিস্তর সম্পত্তি আনিয়া দাও।