ঋগ্বেদ ১০।১০০

ঋগ্বেদ ১০।১০০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১০০
বিশ্বেদেবা দেবতা। দুবস্যু ঋষি।

১। হে ইন্দ্র! তোমার সমকক্ষ এই শত্রু সৈন্যকে বধ কর। স্তব গ্রহণ ও সোমপানপূর্বক আমাদিগকে রক্ষা করিবার জন্য জাগরূক হও; আমাদিগের শ্রীবৃদ্ধি বিধান কর। অন্যান্য দেবতার সহিত সবিতা আমাদিগের বিখ্যাত যজ্ঞ রক্ষা করুন। সৰ্বসংগ্ৰাহিণী অদিতি দেবীকে প্রার্থনা করি ।

২। উপস্থিত ঋতুর উপযুক্ত যজ্ঞভাগ যুদ্ধের জন্য বায়ুকে দাও, তিনি বিশুদ্ধ সোমপান করেন, তাহার যাইবার সময় শব্দ হয়। তিনি শুভ্রবর্ণ দুগ্ধের পান ক্রিয়াতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। সৰ্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

৩। আমাদিগের ঋজুতাভিলাষী ও অভিষবকারী যজমানকে দেবসবিতা অন্নদান করুন। যেন সেই পরিপক্ক অন্নদ্বারা দেবগণের অর্চনা করিতে পারি। সর্বসংগ্ৰাহিণী ইত্যাদি।

৪। ইন্দ্র প্রতিদিন আমাদিগের প্রতি প্রসন্ন থাকুন। সোমরাজা আমাদিগের যজ্ঞে অধিষ্ঠিত হউন। বন্ধুগণ যে প্রকার আয়োজন করিয়াছেন, উক্ত কাৰ্য সেই প্রকারে সম্পন্ন হউক। সৰ্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

৫। ইন্দ্র চমৎকার অন্ন দান করিয়া আমাদিগের দেহ রক্ষা করিলেন। হে বৃহস্পতি! তুমি পরমায়ু প্ৰদান করিয়া থাক। যজ্ঞই আমাদিগের গতি, মতি, রক্ষক ও সুখস্বরূপ। সর্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

৬। দেবতাদিগের বল ইন্দ্রই সৃষ্টি করিয়াছেন। গৃহস্থিত অগ্নি দেবতা দিগের স্তব করেন, যজ্ঞ সম্পন্ন করেন, কার্য নির্বাহ করেন। তিনি যজ্ঞের সময় পূজ্য ও রমণীয় এবং অস্মদাদির অতি আত্মীয়। সৰ্ব্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

৭। হে বসুগণ! তোমাদিগের অগোচরে বিশেষ কোন অপরাধ করি নাই অথবা তোমাদিগের সাক্ষাতেও এমন কোন কার্য করি নাই যাহাতে দেবতাদিগের ক্রোধ হয়। হে দেবগণ! আমাদিগকে মিথ্যারূপী করিও না। সৰ্ব্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

৮। যে স্থানে মধুতুল্য সোমরস প্রস্তুত হয় এবং পরে নিস্পীড়নের প্রস্তরকে উত্তমরূপে স্তব করা হয়, সবিতা যেন তথাকার রোগ দূর করেন, পর্বতগণ যেন গুরুতর অনর্থ অধঃপাতিত করেন।

৯। হে বসুগণ! সোম প্রস্তুত হইবার জন্য প্রস্তর উন্নত হউক, তাবৎ শত্রুকে অপ্রকাশভাবে পৃথক পৃথক্ করিয়া দাও। দেব সবিতা রক্ষা করেন, তাহাকে স্তব করা উচিত। সর্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

১০। হে গাভীগণ! তোমরা ঘাসভূমিতে বিচরণপুৰ্ব্বক স্থূল হও, তোমরা যজ্ঞগৃহে দুগ্ধপাত্রে দুগ্ধ দিয়া থাক। তোমাদিগের দেহনির্গত দুগ্ধ সোমরসের ঔষধ স্বরূপ হউক । সৰ্ব্বসংগ্ৰাহিণী, ইত্যাদি।

১১। ইন্দ্র যজ্ঞ পুর্ণ করেন, সকলকে জরাযুক্ত করেন, তিনি যুবা ও সোমযাগকারীদিগকে রক্ষা করেন ও উত্তম স্তব পাইয়া অনুকুল হয়েন। তাহার স্বর্গীয় আপীন পৃথিবীকে অভিষেক করিবার জন্য পরিপূর্ণ আছে। সৰ্বসংগ্রাহিণী, ইত্যাদি।

১২। হে ইন্দ্র! তোমার ঔজ্জ্বল্য চমংকার, তাহা যজ্ঞ পূরণ করে, তাদৃশ ঔজ্জ্বল্য প্রার্থনা করিবার যোগ্য। তোমার দুর্ধর্ষ কাৰ্য সকল স্তবকর্তার অভিলাষ পূর্ণ করে। এই নিমিত্ত দুবস্যু নামক ঋষি অতি সরল রজ্জুদ্বারা গভীর অগ্রভাগ সত্বর আকর্ষণ করিতেছেন।