ঋগ্বেদ ১০।০৬০

ঋগ্বেদ ১০।০৬০
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ৬০
রাজা অসমাতি, প্রভৃতি দেবতা। বন্ধু, প্রভৃতি ঋষি।

১। অসমাতি রাজার অধিকৃত প্রদেশ অতি উজ্জ্বল, মহৎ মহৎ লোকে ঐ প্রদেশের প্রশংসা করে, আমরা নমস্কারপরায়ণ হইয়া সেই দেশে গমন করিলাম।

২। অসমাতি রাজা বিপক্ষ সংহার করেন, তাহার মূর্তি অতি উজ্জণ, রথে আরোহণ করিলে যেরূপ অনেক অভিপ্রায় সিদ্ধ করা যায়, তদ্রুপ তাহার নিকট গমন করিলে অনেক মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। তিনি ভজেরথ নামক রাজার বংশে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন। তিনি শিষ্টের পালনকর্তা।

৩। তিনি হস্তে তরবারি ধারণ করুন, আর না করুন, তাহার এরূপ বলবীৰ্য্য যে, সিংহ যেমন মহিষদিগকে অতিশায়িত করে, তদ্রুপ তিনি তাবৎ লোককে অতিশায়িত করেন।

৪। ধনশালী ও শত্রুসংহারকারী ইক্ষাকু রাজা সেই প্রদেশের রক্ষা কার্যে নিযুক্ত আছে। পঞ্চ জনপদের মনুষ্য যেন স্বর্গসুখভোগ করে।

৫। হে ইন্দ্র! তুমি যেমন সর্বলোকের দৃষ্টির সুবিধার জন্য আকাশে সূৰ্য্যকে রাখিয়া দিয়াছি, তদ্রুপ তুমি রথারূঢ় অসমাতি রাজার অনুগামী হইবার জন্য বীরবর্গকে নিযুক্ত কর।

৬। হে রাজন! অগস্ত্যের দৌহিত্রদিগের জন্য লোহিত বা দুই ঘোটক রথে যোজনা কর। যে সকল ব্যবসায়ী নিতান্ত কৃপণ, কখন দান করে না, তাহাদিগের সকলকে পরাভব কর।

৭। এই যে অগ্নি আসিয়াছেন, ইনি মাতাস্বরূপ, পিতাস্বরূপ, প্রাণ পাইবার স্বরূপ। হে সুবন্ধু! তোমার এই শরীর রহিয়াছে, তুমি ইহাতে আগমন কর, ইহার মধ্যে প্রবেশ কর।

৮। যেন রথ ধারণ করিবার জন্য রজ্জুদ্বারা যুগ কাষ্ঠ রথে বন্ধন করে, তদ্রুপ এই অগ্নি তোমার মনকে ধারণ করিয়াছেন, তাহাতে তুমি জীবিত ও কল্যাণসম্পন্ন হইবে, তোমার মৃত্যু অবস্থা অপগত হইবে।

৯। যেমন এই বিস্তীর্ণ পৃথিবী প্রকাণ্ড প্রকাণ্ড বৃক্ষদিগকে ধারণ করিয়া আছেন, তদ্রুপ এই অগ্নি, (ইত্যাদি পূৰ্ব্বঋকের শেষ ভাগ)।

১০। বিবস্বানের পুত্র যমের নিকট হইতে আমি সুবন্ধুর মন আহরণ করিয়াছি। ইহাতে সে জীবিত ও কল্যাণসম্পন্ন হইবে, তাহার মৃত্যু অবস্থা অপগত হইবে।

১১। বায়ু নীচের দিকে বহন করে, সূৰ্য্য উপর হইতে নীচের দিকে উত্তাপ দেন। গাভীর দুগ্ধ নীচের দিকে দোহন করা যায়, তদ্রুপ হে সুবন্ধু! তোমার অকল্যাণ নীচে গমন করুক (১)।

১২। আমার এই হস্ত কি সৌভাগ্যশালী, ইহা অত্যন্ত সৌভাগ্যশালী, ইহা সকলের পক্ষে ঔষধস্বরূপ, ইহার স্পর্শে কল্যাণ হয়।

————

(১) ৭ হইতে ১১ ঋকে সুবন্ধুর মৃত্যুর কথা।