ঋগ্বেদ ১০।০৫৪

ঋগ্বেদ ১০।০৫৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ৫৪
ইন্দ্র দেবতা। বৃহদুকথ ঋষি।

১। হে ধনশালী ইন্দ্র! তোমার সেই মহতী কীৰ্ত্তি আমি বর্ণনা করিতেছি। যখন দ্যাবাপৃথিবী ভীত হইয়া তোমাকে ডাকিলেন, তখন তুমি, দেবতাদিগকে রক্ষা করিলে, দাসজাতিকে সংহার করিলে; একজন প্রজা, অর্থাৎ যজমানকে বলপ্রদান করিলে।

২। হে ইন্দ্র! তুমি আপন শরীর বৃদ্ধি করিয়া এবং নিজ কার্য সমস্ত ঘোষণা করিতে করিতে যে সকল বলসাধ্য ব্যাপার সম্পন্ন করিলে, সে সকলি মায়া মাত্র, তোমার যুদ্ধ সকলও মায়ামাত্র। একালেত তোমার শত্রু নাই। তবে কি পূর্বকালে ছিল? তাহাও সম্ভব নয়।

৩। আমাদিগের পূর্বতন কোন ঋষিই বা তোমার অখিল মহিমা অন্ত পাইয়াছিল? তুমি আপন দেহ হইতে তোমার পিতামাতাকে এক সঙ্গে উৎপাদন করিয়াছিলে (১)।

৪। তুমি মহান্! তোমার চারি অসুৰ্য দুর্ধর্ষ শরীর আছে। হে ধনশালী! তুমি সেই শরীর সকল গ্রহণ পূর্বক তোমার গুরুতর কাৰ্য সকল নির্বাহ কর।

৫। কি প্রকাশ, কি অপ্রকাশ, সর্ব প্রকার অসাধারণ সম্পত্তি তুমি অধিকার কর। হে ইন্দ্র! আমার অভিলাষ পূর্ণ কর, তুমিই দান করিবার আজ্ঞা কর, তুমিই নিজে দান কর।

৬। যিনি জ্যোতির্ময় পদার্থে জ্যোতিঃ সংস্থাপন করিয়াছেন, যিনি মধু দিয়া সোমরস প্রভৃতি মধুর বস্তু সকল সৃষ্টি করিয়াছেন, তাহার উদ্দেশে বৃহৎ উকথ, নামক বেদমন্ত্র রচনাকর্তা এই চমৎকার ওজস্বি স্তব উচ্চারণ করিলেন।

(১) “Indra is praised for having made heaven and earth; and then, when the poet remembers that heaven and earth had been praised else where as the parents of the gods, and more specially as the parents of Indra, he does not hesitate for a moment, but says, ‘What poets living before us have reached the end of all thy greatness? For thou hast indeed begotten thy father and thy mother logether from thy own body’.”-Max Muller’s India, What can il teach us? (1883), p. 161.