ওগো শাহপরান আউলিয়া এই দেশে আসিলায়

ভবসাগরের নাইয়া মিছা গৌরব করো রে

ওগো আল্লার ওলি শাহপরান

ও মনমাঝি রে অকূল সাগরে তোমার নাও

খাজা তোমার নামের ধ্বনি

মন মুসল্লি ভাই শরিয়তে আছ তুমি

আউলিয়া-সরদার করে ভেজিলেন পরোয়ারে

হিংসাখোরগণ বলে এখন আবদুল করিম নেশাখোর

প্রাণের প্রাণ মুর্শিদ আমার মৌলা বক্স নাম যাহার

এয়ার কন্ডিশন মেশিন আছে মায়ের কাছে

মরি হায় হায় রে গুণগান গাই

আউলিয়া ইব্রাহিম মস্তান মোকাম শ্রীপুর

হাসন রাজা ছিলেন একজন মরমি কবি

মুর্শিদের কাছে আমি কেন যাই

মুর্শিদের প্রেমবাজারে কে যাবে রে আয়

লাইলাহা ইল্লাল্লাহ মোহাম্মদ রাসুলুল্লাহ নামের মালা জপ না

সর্বধনে ধনী তুমি আমি যে কাঙাল

বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ প্রশংসা আল্লার

ওহে সর্বশক্তি, দাও আমারে মুক্তি

আল্লাহ গাফুরুর রাহিম নামে ডাকি তোমারে

দয়াল তুমি রাহমান রাহিম

বিশ্বপতি খোদা তোমার মহিমা অপার

দয়াল নাম শুনিয়া আশায় আছি চাইয়া

দয়া করো দয়াল তোমার দয়ার বলে

জন্মিয়া শুনেছি ভবে তুমি আছ

এ জগতে ডাকে তোমায়

তোমার খেলা বুঝে উঠা ভার

ডাকলে দয়া করো বলে

দয়াল বলে ডাকে তোমায় কাঙালে

আমি কী করিব রে প্রাণনাথ তুমি বিনে

নবির ভেদ কে জানতে পারে

আমার মন মজাইয়ারে

এসো ব্যথার ব্যথিত ওগো তুমি আমার সাঁই

মানুষ হয়ে তালাশ করলে মানুষ পায়

সখি কুঞ্জ সাজাও গো

আসি বলে গেল বন্ধু আইলো না

ভব সাগরের নাইয়া মিছা গৌরব করো রে পরার ধন লইয়া

তোমার ইচ্ছায় চলে গাড়ি দোষ কেন পরে আমার

আমি এই মিনতি করি রে সোনা বন্ধু ভুইলো না আমারে

আমার বন্ধুরে কই পাব গো সখী আমারে বলো না

মনের দুঃখ কার কাছে জানাই

মন মজালে ওরে বাউলা গান

পিরীতি করিয়া বন্ধে ছাড়িয়া গেল

কেউ বলে শাহ আবদুল করিম কেউ বলে পাগল

কোন মেস্তরি নাও বানাইল কেমন দেখা যায়

প্রাণে সহে না দারুণ জ্বালা

যে গুণে বন্ধুরে পাবো, সে গুণ আমার নাই গো

দমে দমে পড় জিকির লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ্

আমি গান গাইতে পারি না

আর জ্বালা সয় না গো সরলা

ভাবিলে কী হবে গো যা হইবার তা হইয়া গেছে

আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া

আগের বাহাদুরী এখন গেল কই

শুধু কালির লেখায় আলীম হয় না

মুর্শিদ ধন হে, কেমনে চিনিব তোমারে

আমি কুলহারা কলঙ্কিনী

আমি ফুল বন্ধু ফুলের ভ্রমরা

গাড়ি চলে না চলে না

কেন পিরিতি বাড়াইলায় রে বন্ধু ছেড়ে যাইবায় যদি

আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম