মৃত্যুঘণ্টা – ৪৮

আটচল্লিশ

গাইডেড মিসাইল জুয়ার ইউএসএস লিংকনের ব্রিজ থেকে অফিসারদের ব্যস্ততা দেখছেন ক্যাপ্টেন ক্যাণ্ডেল। গাইডেন্স কমফার্ম করার পর আর্ম করা হবে ওয়ারহেড। এরপর সরিয়ে ফেলা হবে সেফটিগুলো।

‘প্রিপারেশন সিকিউয়েন্স কমপ্লিট,’ ট্যাকটিকাল স্টেশন থেকে জানাল এক অফিসার। ‘রেডি ভার্টিকাল সিস্টেম। টিম ফোর, সেভেন, এইট ও এলেভেন রেডি টু ফায়ার। টিম ইউনিট টুয়েল্ভ, ফরটিন, ফিফটিন অ্যাণ্ড নাইনটিন স্ট্যাণ্ডবাই।’

জাহাজের ঘড়ি দেখলেন ক্যাপ্টেন ক্যাণ্ডেল। তাঁরা প্রায় তৈরি। একটু পর প্রতিটি বোর্ড হবে সবুজ।

‘সব সেফটি সরিয়ে ফেলবে দশ মিনিট পর,’ বললেন তিনি।

লঞ্চ ট্রিগারের ওপর থেকে প্লাস্টিকের গার্ড সরানো হলে দেখা দেবে লাল ফায়ার সুইচ।

তিল তিল করে এগিয়ে চলেছে সময়।

আর মাত্র দশ মিনিট!

এরপর ক্যাপ্টেন নির্দেশ দিলেই ফায়ার করা হবে একের পর এক মিসাইল। কালো আকাশ লাল করে দিয়ে ঘন ধোঁয়ায় সব ঢেকে জাহাজ থেকে রওনা হবে টমাহক। ওটা টিউব ত্যাগ করলে মাত্র কয়েক সেকেণ্ড পর রওনা হবে পরের মিসাইল।

ওই একই সময়ে পারস্য উপসাগরের দুটো জাহাজ থেকে লঞ্চ করা হবে আরও মিসাইল। মোটামুটি ষাট মাইল দূরের দ্বীপ লক্ষ্য করে ছুটবে চব্বিশটা ক্ষেপণাস্ত্র।

অর্থাৎ, চোদ্দ মিনিট পর ছাই হয়ে যাবে ওই দ্বীপ!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *