মৃত্যুঘণ্টা – ৪৬

ছেচল্লিশ

চারপাশে চোখ রেখে বিধ্বস্ত দালান, পাম্প হাউস ও ভাঙা এক হেলিপ্যাড পেরিয়ে এসেছে রানা ও এলেনা। পরের দালান ছোট। ওটার ভেতর জ্বলছে বাতি। ওই দালান পেরিয়ে গেলে সামনে পড়বে অন্ধকার ফ্রেইটার, বো উঠে এসেছে আরেক হেলিপ্যাডের দিকে।

ভাঙাচোরা, পরিত্যক্ত, নিষ্প্রাণ চারপাশ। যেন ধ্বংসের খুব কাছে পৌঁছে গেছে পৃথিবী। দূরের ওই ছোট্ট বাতি ছাড়া কোথাও কোনও আলো নেই। থমথম করছে সব।

কিন্তু ফ্রেইটারের দিকে কিছু দূর যেতেই আওয়াজ পেল ওরা। যন্ত্রের শব্দ। ওটাই বলে দিল, দ্বীপে এখনও জীবিত মানুষ আছে।

যন্ত্র দেখতে না পেলেও নাইট ভিশন স্কোপ দিয়ে একটু দূরে একটা পানকৌড়ি দেখল রানা। দীর্ঘ ডানা মেলে নীড়ের কাছে কী যেন করছে ওটা। আরও মনোযোগ দিল রানা। মনে হলো একটা পাওয়ার কর্ড বা ড্রিপ লাইন থেকে খাবার খুঁটে খাচ্ছে পাখিটা।

‘একটু দূরের ছোট দালানে তাপ,’ জানাল এলেনা।

ওদিকে কোনও মুভমেন্ট নেই,’ বলল রানা, ‘গিয়ে দেখা উচিত।’ রাইফেলের নলে সাইলেন্সার আটকে নিল। আঙুলের স্পর্শে চালু করল লেসার সাইট। খুদে দালানের দেয়ালে দেখা দিল রক্তিম ছোট এক বিন্দু।

‘বামে চার ফুট দূরে,’ নিচু স্বরে বলল এলেনা। মন দিয়ে  দেখছে লেসার বিন্দু।

তাক ঠিক করল রানা।

‘আরও এক ফুট নিচে,’ বলল এলেনা।

রাইফেলের নল সামান্য নামাল রানা।

‘ফায়ার!’

থিউট! থিউট!

রানার রাইফেল ছেড়ে বেরিয়ে গেছে দুটো বুলেট।

‘আর কিছুই দেখছি না,’ ফিসফিস করে বলল এলেনা।

‘ওটা যাই হোক, বুলেট লেগেছে,’ জানাল রানা। স্কোপের ভেতর দিয়ে দেখল। ‘কিন্তু একটুও নড়েনি।’

এক দৌড়ে দালানের সামনে পৌঁছল রানা। এই বাড়ি পুরো স্টিলের। অনেক আগেই উপড়ে গেছে জানালা। একপাশ থেকে উঁকি দিল। ভেতরে কাজ করছে নতুন পাম্প। অন্যগুলো পুরনো, জং ধরা। চলছে না। নতুন মেশিনের সামনে পড়ে আছে কাল্টের এক সদস্য। গুলি খেয়ে মারা গেছে।

রানার রাইফেলের বুলেট লেগেছে, কিন্তু ক্ষত থেকে বেরোচ্ছে খুব কম রক্ত।

রানার পাশে পৌঁছল এলেনা। ‘মারা গেছে?’

‘আমি গুলি করার আগেই,’ সংক্ষেপে বলল রানা। ‘দলের লোকই শেষ করছে এদেরকে।’

‘অস্বাভাবিক ব্যাপার,’ বিড়বিড় করল এলেনা।

রানার মনে পড়ল মোনার কথা। ওর কী করেছে কাল্টের নেতারা?

‘এসো, এলেনা। হাতে সময় নেই। ‘

দেরি না করে একটু দূরের পাথুরে সিঁড়ি বেয়ে হেলিপ্যাডে উঠল রানা, সঙ্গে এলেনা। ফাঁকা জায়গা পেরিয়ে পাঁচ ফুট উঁচু দেয়াল টপকাতেই সামনে, নিচে দেখা গেল জাহাজের বো।

প্রায় কোনও আওয়াজ না করেই ডেকে চলে এল ওরা, রওনা হয়ে গেল স্টার্নের দিকে। কোথাও থেকে এল না কোনও বাধা।

রানার মন বলল, এরই ভেতর কাল্টের বেশিরভাগ সদস্যকে খতম করেছে এরা। বেঁচে নেই মোনা বা ওর আত্মীয়রাও।

ফ্রেইটারের লম্বা ডেক পেরোলে মস্ত পাথরের মত অ্যাকোমোডেশন ব্লক। হ্যাচ খোলা পেয়ে ভেতরে ঢুকল ওরা। ঘুরে দেখল কয়েকটা কম্পার্টমেন্ট। একটার ভেতর পেল দু’জন মৃত লোক। তাদের একজন হুমড়ি খেয়ে আছে চেয়ারে, মাথা টেবিলের ওপর। অন্যজন পড়ে আছে ডেকে।

বসে থাকা মৃতদেহের মাথা পিছিয়ে নিল রানা। নীল হয়ে গেছে লোকটার মুখ। বিষ দিয়ে মারা হয়েছে।

জানার উপায় নেই জাহাজের কোথায় ল্যাব, বা কোথায় বন্দিরা। বাধ্য হয়েই একের পর এক কম্পার্টমেন্ট খুঁজতে হবে।

‘এলেনা, তুমি মিসাইলের খোঁজে যাও,’ বলল রানা, ‘ঠেকাতে হবে ওগুলোকে। ‘

মাথা দোলাল এলেনা। ‘এদিকে তুমি কী করবে?

‘ঢুকে পড়ব জাহাজের পেটে। কাল্টের লোক রয়ে গেলে তারা থাকবে অ্যাকোমোডেশন ব্লকেই। অন্যান্য জায়গা কার্গো হোল্ড।’

‘সাবধান, রানা,’ নিচু স্বরে বলে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল এলেনা।

ডেস্কের ওপর মৃত লোকটার মাথা আবারও নামিয়ে রেখে রওনা হলো রানা। প্রথম দশ ফুট খুব সতর্ক থাকল, তারপর বাধ্য হয়েই বাড়াল গতি। এক এক করে খুলে দেখছে কম্পার্টমেন্টের দরজা। কেবিন বেশিরভাগই খালি। দু’চারটার ভেতর পাওয়া গেল গুলিবিদ্ধ লাশ।

সামনের সিঁড়ি বেয়ে নামল রানা। নিচ তলাও একই রকম। লাশ ভরা জাহাজ। মনে মনে আশা করল ও, এসব লাশের ভেতর

থাকবে না মোনা, মিনতি বা মিনা ফুফুর মৃতদেহ।

.

জাহাজের ল্যাবে দাঁড়িয়ে আছে মোনা মোবারক। ওর পাশেই থামল নকল কাউণ্ট এবং ওর সহযোগী মাৰ্ডক। শক্তিশালী বাতির কারণে ঝলমল করছে ধাতব দেয়াল।

আরেকবার আই পিসে মাইক্রোস্কোপের ফলাফল দেখল মোনা। সফল হয়েছে কি না, তা বুঝতে হলে রোগীকে ইনজেক্ট করতে হবে ভাইরাস। কয়েক দিন পর আবার পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে সুস্থ হয়ে উঠছে কি না দেহের ডিএনএ। ওর অবশ্য ধারণা, এই ওষুধ ঠিকভাবেই কাজ করবে, স্বাভাবিক করে দেবে মিনতি বা ওর মত রোগীদেরকে।

‘কাজ করছে,’ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলল মোনা, ‘আলাদা হচ্ছে সেল কালচার। জায়গা মত আছে নতুন ডিএনএ।’

মরুভূমির সেই বাগান থেকে জীবন-বৃক্ষের বীজ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে সিরাম। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে পরিষ্কার দেখা গেছে, ইউএন-এর সেই বাহক ভাইরাসের ভেতর জেগে উঠেছে জীবন-গাছের বীজের ঘুমন্ত ভাইরাস। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। নতুন সব কোষে দীর্ঘ হয়ে উঠছে টেলোমারগুলো।

মোনার পাশে কয়েকটা সাদা চিহ্ন দেয়া কাঁচের টিউব। ওগুলোর ভেতর জমছে নতুন ভাইরাস। এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে, মিসাইলে করে ছড়িয়ে দেয়া যাবে বিশাল এলাকা জুড়ে।

‘ঠিকভাবে কাজ করছে তো?’ নিশ্চিত হতে চাইল কাউণ্ট।

‘আগে পরীক্ষা করে দেখা…

‘ল্যাবে ইঁদুর আছে,’ বলল কাউণ্ট। ল্যাবের পেছনে চলে গেল সে। ওখানে গার্নির ওপর হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখা হয়েছে অসুস্থ মিনতিকে। নড়ার উপায় নেই ওর।

ওকে ছেড়ে দিন,’ চমকে গিয়ে বলল মোনা।

‘বেশি কাঁদছিল, তাই ঘুমের ওষুধ দিয়েছি,’ বলল কাউন্ট, তোমার কথা ঠিক হলে মাত্র কয়েক দিনে সুস্থ হয়ে উঠবে ও।

‘দয়া করে মিনতির ওপর পরীক্ষা করবেন না,’ অনুরোধ জানাল মোনা, ‘জানোয়ারের ওপর টেস্ট করতে পারি আমরা।’

‘ওরা কী দোষ করল?’ হাসল কাউন্ট। ‘মানুষ নয় কেন? আমি চাই তারা আমাকে ভয় করুক। ‘

‘ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করতে সময় লাগবে না। আপনি চাইলে আমি…’

‘সময় নষ্ট করছ, মেয়ে!’ হঠাৎ বেদম ধমক দিল কাউণ্ট। ভাবছ তোমাদেরকে উদ্ধার করবে কেউ— গাধী একটা!’

‘এসব ভাবছি না,’ মিনমিন করে বলল মোনা। ‘কিন্তু এই ওষুধে কাজ না হলে…’

‘সেক্ষেত্রে মরবে তোমার বোন,’ বলল কাউন্ট। ‘তখন রাস্তা থেকে যাকে খুশি ধরে এনে এক্সপেরিমেন্ট করব। মরলে মরুক, ক্ষতি কী! নতুন করে গবেষণার সুযোগ পাবে তুমি! আমার কথা কানে ঢুকেছে?’

মোনা কিছু বলার আগেই তীক্ষ্ণ চিৎকার ছাড়ল দূরের একটা অ্যালার্ম।

‘মোশন সেন্সার,’ বলল মার্ডক। ‘অতিথি এসেছে।’

বিস্মিত হয়েছে কাউন্ট। প্রথমবারের মত অস্বস্তির ভেতর বাড়ল। ‘অনেক আগেই চলে এসেছে। মাসুদ রানাকে যা ভাবতাম, ব্যাটা তার চেয়ে অনেক রিসোর্সফুল লোক।’

‘রানা আপনাকে খুন করবে,’ লোকটার বুকে ভয় ও দ্বিধা __তে দিতে চাইল মোনা। ‘আমাদেরকে খুন করলে নিজেও বাঁচবেন না আপনি। নিশ্চিত থাকুন, আপনাকে ছাড়বে না রানা।’

গতকালের মত গালে চড় খাবে ভেবেছিল মোনা, তৈরিও ছিল, কিন্তু ওটা এল ঝড়ের বেগে। ছিটকে মেঝেতে পড়ল মোনা। জলে ভরে গেল চোখ।

‘ভেবেছিলে অবাক হয়েছি?’ হাসল কাউন্ট। ‘সময়ের আগে পৌঁছে গেছে সে; তাতে কোনও সমস্যা নেই। এটা বড় কিছু নয় কপাল ভাল, তৈরি হয়ে গেছে ভাইরাস। এবার আসুক রানা। ও সঙ্গে কথা আছে আমার। নিজ চোখে দেখুক কী হতে চলেছে।’

‘কী করবেন, প্রভু?’ জানতে চাইল মার্ডক। অঢেল শ্রদ্ধা তার কাউন্টের ওপর। পনেরোজন মানুষকে গুলি করে মারার কারণে আমেরিকার এক কারাগারে নিশ্চিত মৃত্যু হতো ওর, কিন্তু ওকে সরিয়ে এনেছিল মানুষটা। দীক্ষা দেয় নতুন ধর্মে। সে ভাবতে গিয়ে বুঝে গিয়েছিল, আসলেই স্রষ্টা বলে কেউ নেই।

‘ওদের মৃত্যু দেখব আমরা,’ বলল কাউণ্ট, ‘তারপর বিদায় নেব এই দ্বীপ থেকে।

মার্ডককে নার্ভাস মনে হলো মোনার। ভয়ঙ্কর নিষ্ঠুর লো সে, কিন্তু অন্তর থেকে বিশ্বাস করে কাউণ্টকে।

‘মিসাইলের দিকে যাবে ওই মেয়েটা,’ বলল কাউণ্ট, ‘ওরা কাজে দক্ষ। এদিকে মাসুদ রানা দুনিয়া সেরা এসপিয়োনাত এজেন্ট। গোপনে জাহাজে উঠে হামলা করতে চেষ্টা করবে আগেই জানি ওরা আসছে। ওকে মেরে ফেলার আগে কিছু কথা বলব।’

‘আমি আপনার পাশেই থাকতে চাই,’ বলল মাৰ্ডক।

‘তোমার জন্যে জায়গা নির্ধারণ করে রেখেছি, বলল কাউণ্ট ‘অন্যরা মারা গেছে?’

মাথা দোলাল মার্ডক। ‘জী, প্রভু।’

‘গুড,’ খুশি হলো কাউণ্ট। ‘ওদের কোনও মূল্য ছিল না পরেরবার আরও সাবধানে ভাল লোক জোগাড় করতে হবে।’

আগেরটার সঙ্গে যোগ দিল আরেকটা অ্যালার্ম।

‘আলাদা হয়ে দু’দিকে যাচ্ছে,’ বলল মার্ডক, ‘একজন ডেকে অন্যজন ঢুকে পড়েছে ভেতরে।’

‘যা ভেবেছি,’ হাসল কাউণ্ট, ‘মরতে আসছে মাসুদ রানা।’

.

নিচের ডেকে নেমে এসেছে রানা, সামনেই চওড়া বে। ওখানেই নামল ও। মেঝেতে পড়ে আছে কয়েকটা ক্রেট। সব ক’টা খালি, কিন্তু ভেতরে কী ছিল ভাল করেই বুঝে গেছে। আগেও এসব দেখেছে ডুক ব্রামস্ট্রির ওয়্যারহাউসে।

লোকটা বলেছিল আরেক ক্রেতার জন্যে রেখেছে ওগুলো। মোনা অবাক হয়নি, সে মিসাইল বিক্রি করেছে কাল্টের কাছে। __তি বলে কিছু নেই ওই লোকের।

চট্ করে হাতঘড়ি দেখল রানা। মাত্র পনেরো মিনিট পর লঞ্চ করা হবে আমেরিকান টমাহক মিসাইল।

বীচে সার্চ করছে রানা, ওদিকে মেইন ডেকে হেঁটে চলেছে সতর্ক এলেনা। চাঁদ না উঠলেও দিগন্তে দেখা দিয়েছে তার মৃদু আভা। তার মনে পড়ল ব্রায়ান বলেছিলেন, জাহাজের সামনে কোথাও আছে মিসাইল, বসিয়ে দেয়া হয়েছে লঞ্চ রেইলের ওপর।

অ্যাকোমোডেশন ব্লক পেছনে ফেলে নানান কার্গো হ্যাচ ও কাভারের আড়াল নিয়ে চলেছে এলেনা। প্রতিটি পদক্ষেপে টের পাচ্ছে, ও আছে একেবারে খোলা জায়গায়। অনায়াসেই ওর হৃৎপিণ্ড ফুটো করতে পারবে যে-কোনও স্নাইপার।

রাত এখনও নিকষ কালো। কিন্তু আততায়ীর কাছে নাইট ভিশন স্কোপ থাকলে যখন-তখন খুন হবে। বড়জোর এক কি দুই মিনিট, তারপর চারপাশ রুপালি আলোয় ভাসিয়ে নেবে চাঁদ, তখন পরিষ্কার দেখা যাবে ওকে।

হন-হন করে হেঁটে বো-র কাছে পৌঁছল, এলেনা। সামনেই দুটো ক্রেন বুম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে লঞ্চ র‍্যাম্প। ব্রায়ান বলেছিলেন, জাহাজের সামনে ধূসর, মাইক্রোবাসের মধ্যে কী যেন। আপাতত কাঁচা হাতে তৈরি কাভার দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে মিসাইল।

এদের কাছে কী ধরনের মিসাইল, জানে না এলেনা। তবে লঞ্চ র‍্যাম্প আছে যখন, জিনিসগুলো হবে অনেক পুরনো। মনে মনে প্রার্থনা করল এলেনা, এতই ধচাপচা হোক, যেন উড়তেই না পারে।

হাউসিঙের পাশে থেমে আড়াল নিল, বিপদের জন্যে তৈরি কাল্টের কেউ রয়ে গেলে, সে অস্ত্র হাতে থাকবে আশপাশেই।

কেউ গুলি করল না ওকে লক্ষ্য করে। ধাতব হাউসিং কেন তৈরি করেছে দরজা, ওদিক দিয়ে উঁকি দিল ও। ভেতরে লং রেইলের বুকে শুয়ে আছে টেলিফোনের থামের মত খতনা করা দুই মিসাইল। বাইরের দেয়ালে হেলান দিয়ে চট্ করে রাইফেল পরীক্ষা করে নিল এলেনা।

এক দৌড়ে দরজা দিয়ে ঢুকে বৃষ্টির মত গুলি করবে অপেক্ষার সময় নেই ওর। চারপাশে কেউ নেই বুঝলে প্রথম কাজ হবে মিসাইল স্যাবোটাজ করা। এমন ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে লঞ্চ করতে না পারে এসব ক্ষেপণাস্ত্র।

বড় করে দম নিল এলেনা, শক্ত হয়ে উঠেছে দেহের মাংসপেশি। ঝট করে উঁকি দিল দরজা দিয়ে।

সাগরের বুক থেকে উঁকি দিল চাঁদের প্রথম রুপালি আলো কেমন ফ্যাকাসে। ওই ম্লান আলোয় এমন একটা জিনিস দেখল এলেনা, যা আশা করেনি।

দরজার নিচের দিকে মাকড়সার ঝুলের মত সরু ট্রিপওয়্যার।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *