মৃত্যুঘণ্টা – ৩৫

পঁয়ত্রিশ

‘এক মিনিট!’ পেছন থেকে রানাকে ডাকল মোনা, ‘এত ভারী ট্যাবলেট নিয়ে ওদিকের পাড়ে উঠতে পারব না! এটার ওজন কমপক্ষে পঞ্চাশ পাউণ্ড!’

রানা ঘুরে দেখল, হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে মেয়েটা। তুলে নিয়েছে চোখা একটা পাথর, মেঝেতে রাখা মাটির ট্যাবলেটের ওপর গায়ের জোরে নামিয়ে আনল ওটা।

ওর পাশে পৌঁছে মোনার হাত থেকে পাথরটা নিল রানা, ওটা দিয়ে ঘাই দিল মাটির নিজেট ট্যাবলেটের বুকে।

ওদিকে সিঁড়ি বেয়ে উঠে গেছে এলেনা। ওখান থেকে বলল, ‘দক্ষিণ দিগন্তে আলো। চাঁদ নয়। ওটা উঠতে এখনও কমপক্ষে এক ঘণ্টা বাকি।

আবারও ট্যাবলেটের ওপর চোখা পাথর নামিয়ে জিজ্ঞেস করল রানা, ‘আর কিছু দেখলে, এলেনা?’

‘হ্যাঁ, দক্ষিণে হেডলাইট। কয়েকটা গাড়ি। মেঘের মত ধুলোবালি তুলছে। বড়জোর কয়েক মাইল দূরে।‘

‘আবারও ট্রান্সমিট বলো। এবার ইংরেজি ভাষায়।‘

‘আমাদেরকে খুঁজে পেল কী করে?’ অবাক হয়ে বলল মোনা, ‘জানল কী করে আমরা এখানে?’

‘ওদের কাছে আছে আসল তাম্রলিপি,’ ওপর থেকে বলল এলেনা, ‘তা ছাড়া, সঙ্গে আছে আবু রশিদ।’

পরে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি ওই লোককে। বেঁচে আছে না খুন হয়ে গেছে, কেউ জানে না।

সম্ভাবনা বেশি, জরুরি কোনও কারণে তাকে আটকে রেখেছে কাল্টের লোক, ভাবল রানা এখন যারা আসছে, অত্যন্ত বিপজ্জনক, তবুও ইরানিয়ান আর্মির হামলার চেয়ে ভাল।

ওরা পেয়ে গেছে যা খুঁজতে এসেছিল, এবার দ্বীপ থেকে বেরিয়ে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে জলায় পৌঁছে গেলেই বাঁচোয়া।

‘ওদের এখানে পৌঁছুতে ক’মিনিট লাগবে, এলেনা?’ জানতে চাইল রানা। পাথরটা নামিয়ে আনল মাটির ট্যাবলেটের মাঝে।

‘বড়জোর পাঁচ মিনিট,’ জবাব দিল এলেনা। ‘মনে হয় না জানে আমরা এখানে। নইলে হেডলাইট জ্বেলে আসত না।’

‘ঠিক,’ মাটির ট্যাবলেটের ওপর আরেক ঘাই বসাল রানা। ‘আর এক মিনিট পর উঠে আসছি আমরা।’

প্রায় দৌড়ে নেমে এল এলেনা।

ফ্ল্যাশলাইটের আলো ফেলেছে মোনা ট্যাবলেটের ওপর। ওটা এত নিরেট যে পাথরের আঘাতেও ভাঙছে না। দু’হাতে ট্যাবলেট তুলে উঠে দাঁড়াল রানা, পরক্ষণে গায়ের জোরে আছাড় মারল মেঝের ওপর। ঠুং শব্দে তিনটে টুকরো হলো মাটির ত্রিকোণ মত চাপড়া। এ ছাড়া ছোট ছোট কয়েকটা ঢেলাও আছে।

ঝুঁকে মেঝে দেখছে মোনা। যেন ভাবছে, মাটির ঢেলা থেকে বেরিয়ে আসবে সোনার বল। কিন্তু তেমন কিছুই নেই। কোথাও নেই বিচি বা বীজ। মাটির একটা টুকরো তুলে নিল মোনা।

দক্ষিণ থেকে এল ইঞ্জিনের আওয়াজ।

‘পরে দেখো, এখন সবই নিয়ে যাব আমরা,’ তাড়া দিল রানা।

ওদের পাশে হাত লাগাল এলেনা। মাঝারি এক টুকরো ঢেলা তুলে রাখল প্রফেসরের জন্যে রাখা স্যাম্পলের ভেতর। আটকে দিল প্লাস্টিকের ব্যাগের যিপার। দ্বিতীয় টুকরো মোনার হাতে। মনোযোগ দিয়ে কী যেন দেখছে। তৃতীয় বড় টুকরো নিয়ে বলল রানা, ‘চলো, এবার বেরিয়ে যেতে হবে!’

সবার আগে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে লাগল মোনা। মাঝে থাকল এলেনা। শেষে রানা। মাত্র পনেরো সেকেণ্ডে দালান থেকে ছিটকে বেরিয়ে এল ওরা। ছুটে পৌছে গেল দ্বীপের কিনারায়। এখন আর সাবধান হওয়ার সময় নেই, প্রায় দৌড়ে নামতে লাগল কুপের মত জায়গায়। বালির মেঝেতে নেমে চলল উঁচু দেয়ালের দিকে। এবার দড়ি বেয়ে উঠে যেতে হবে মরুভূমির মেঝেতে।

পরিষ্কার শুনল ভারী সব ইঞ্জিনের আওয়াজ। তার ভেতর রয়েছে অদ্ভুত এক গর্জন। ওটা কী, বুঝল না রানা। মাত্র এক মিনিটে দড়ি বেয়ে পাড়ের কাছে পৌঁছুল এলেনা। নিচে থেকে শক্ত করে দড়ি ধরেছে রানা। মোনাকে বলল, ‘এবার তুমি ওঠো!’

কথা না বলে দড়ি ধরল মোনা, উঠে যেতে লাগল মরুভূমির মেঝের দিকে। তবে গতি ওর কম। মাথা ভারী হয়ে আছে নানান চিন্তায়। দড়ি ধরে উঠতে গিয়ে ভীষণ জ্বলছে দু’হাত।

মোনা প্রায় গন্তব্যে পৌঁছে যেতেই উঠতে লাগল রানা। চল্লিশ সেকেণ্ড পর শুয়ে পড়ল মরুভূমির মেঝেতে। এলেনার নির্দেশে এটিভি থেকে একটু দূরে শুয়ে আছে মোনা। চুপচাপ অপেক্ষা করল ওরা তিনজন।

খাদের দিকে আসছে শত্রুদের গাড়ি।

এবার রানা বুঝল, কেন অদ্ভুত গর্জন শুনেছিল। এসব গাড়ি স্যাণ্ড রেল বা ডিউন বাগি। কিন্তু সাইলেন্সার নেই। সবমিলে চারটে গাড়ি ও অন্য ধরনের একটা যান। ওটাকে হামভি মনে হলো ওর।

পাঁচটা গাড়ি থেমে যাওয়ার পর ওগুলো থেকে নামল কমপক্ষে আটজন লোক, প্রত্যেকের সঙ্গে অস্ত্র ও ফ্ল্যাশলাইট। খাদের পাড়ে থেমে কূপের মত জায়গাটা দেখল তারা। হামভি থেকে একজনকে নামতে দেখল রানা। কিন্তু ওখান থেকে নড়ল না লোকটা।

দূর থেকে নির্দেশ দিচ্ছে সে।

কোনও শৃঙ্খলা বজায় রাখছে না তার লোক। চলছে হৈ-চৈ। কয়েকটা ফার্সি শব্দ শুনল রানা, তারপর শুনল ইংরেজি।

‘স্থানীয়দের নেয়া হয়েছে দলে,’ নিচু স্বরে এলেনাকে বলল রানা। ‘এদেরকে ভাড়া করেছে, কাজ শেষ হলেই ঠাণ্ডা মাথায় খুন করবে। কোনও প্রমাণ থাকবে না।’

রেডিয়ো হাতে হামভির লোকটাকে আরও মন দিয়ে দেখল রানা। বুঝে গেল, সম্ভবত হামভির ভেতরে আরও কেউ আছে। সে কাল্টের বড় কোনও নেতা। তার নির্দেশ অনুযায়ী এলেনা বা ওকে পেলে সঙ্গে সঙ্গে খুন করা হবে।

‘কী করবে ভাবছ, রানা?’ জানতে চাইল এলেনা।

একবার স্যাণ্ড রেলের দিকে তাকাল রানা। ওগুলো খুব জোরে চলে, দৌড়ে পারবে না এটিভি। নিজেদের ফোর হুইল ড্রাইভ দেখল রানা। ‘এলেনা, এবার তোমার পেছনে চাপবে মোনা।

দ্বিধা নিয়ে ওকে দেখল মোনা, কিন্তু কোনও প্রশ্ন তুলল না।

ভেবে দেখেছে রানা, ওর চেয়ে অন্তত পঞ্চাশ পাউণ্ড কম ওজন এলেনার। তা ছাড়া, ওর কাছে রয়েছে মাটির ট্যাবলেটের সবচেয়ে বড় অংশ। ওটা অনেক বেশি ভারী। মোনাকে নিয়ে এলেনার রওনা হওয়াই ভাল। পেছন থেকে কাভার দেবে ও।

ওর এটিভির পাশের স্ক্যাবার্ড থেকে রাইফেল বের করে নিল, রানা। একবার দেখল কূপের মত জায়গাটা। দ্বীপে উঠবে বলে ওখানে নেমে পড়েছে বেশ কয়েকজন।

রানার দেখাদেখি রাইফেল কাঁধে ঝুলিয়ে নিল এলেনা, ঘুরিয়ে নিল এটিভি। ও সিটে বসতেই মরুভূমির মেঝে থেকে উঠল মোনা।

‘তোমরা রওনা হও,’ তাগাদা দিল রানা।

চোখে রাগ নিয়ে হামভির দিকে চেয়ে আছে মোনা। নিচু স্বরে বলল, ‘এরাই খুন করেছে আমার বাবাকে।’

‘হতে পারে,’ বলল রানা, ‘এ কারণেই এদের কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত তোমার।’

এটিভির দিকে এগোতে গিয়ে পা পিছলে গেল মোনার। পড়েই যেত, সামলে নিল শেষসময়ে। কিন্তু ওর পায়ের ধাক্কা লেগে খাদ থেকে নিচের কূপের দিকে নামল বালি ও ছোট পাথরের স্তূপ। পড়ার সময় বাড়ি খেয়ে আওয়াজ তুলল নুড়ি পাথর। নিচের বালিতে পড়ল ধুপধাপ শব্দে।

নীরব রাতে ওই আওয়াজ গোলা বর্ষণের মতই।

রানাদের দিকে ঘুরে গেল কয়েকটা ফ্ল্যাশলাইট।

‘সর্বনাশ!’ বিড়বিড় করল রানা।

দূর থেকে এল চিৎকার। শত্রুকে দেখে ফেলেছে লোকগুলো।

এটিভির পেছনের সিটে চেপে বসল মোনা। এক সেকেণ্ড পর প্রায় পিছলে রওনা হলো ওরা। পেছনে রয়ে গেল একাকী রান।

তীর বেয়ে শুকনো নদীর বুকে নামল এলেনা। পেছনে শুনল গুলির আওয়াজ।

রানা!

শত্রুপক্ষকে আটকে রাখবে বলে গুলি করছে। হয়তো ঠেকাতে পারবে মাত্র কয়েক মিনিট। একবার মরুভূমির পাড়ে উঠে এলেই উল্টো রানাকে কোনঠাসা করবে লোকগুলো। ভাল কোনও আড়াল পারে না রানা। ওদেরকে এগোবার সুযোগ করে দেয়ার জন্যে নিজের জীবনের মস্ত ঝুঁকি নিয়েছে মানুষটা।

ঝড়ের গতি তুলে এটিভি নিয়ে জলার দিকে ফিরছে এলেনা ওর কোমর জড়িয়ে ধরেছে মোনা। বিদ্যুদ্বেগে পিছনে পড়ছে নদীর মেঝে। পরের বাঁক পেরিয়ে এল ওরা। চট করে জিপিএস রিসিভার দেখল এলেনা। আধ মাইল এগিয়ে পশ্চিমে যাবে ওরা। সারি সারি বালির ঢিবি পেরোলে পৌঁছে যাবে এয়ারবোর্টের কাছে!

বুক কাঁপছে এলেনার। ভাবছে, শত্রুপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে ফিরতে পারবে তো রানা?

.

এলেনা ও মোনা রওনা হতেই শত্রুপক্ষ লক্ষ্য করে আর্মালাইটের এক পশলা গুলি পাঠাল রানা। দেখল, পড়ে গেছে এক লোক, কিন্তু তিন সেকেণ্ড পর উঠে সরে গেল। কয়েক লাফে আশপাশের বড় পাথরের আড়াল নিয়েছে অন্যরা।

এবার স্যাণ্ড রেল লক্ষ্য করে আরেক পশলা গুলি পাঠাল রানা। ভেহিকেলের গা থেকে ছিটকে উঠল আগুনের ফুলকি। কিন্তু গাড়িগুলোর ক্ষতি করতে পারার আগেই চারপাশের বালিতে এসে বিঁধল অন্তত পঞ্চাশটা বুলেট। কানের পাশ দিয়ে গেল কয়েকটা গুলি

এটিভির আড়ালে সরল রানা, স্ক্যাবার্ডে রাখল রাইফেল। লাফ দিয়ে ড্রাইভিং সিটে উঠে ইঞ্জিন চালু করেই ঘুরিয়ে নিল এটিভি, তীরের মত ছুটল সামনের নদীর খাদ লক্ষ্য করে।

মাত্র কয়েক সেকেণ্ডে অনেক পেছনে ফেলল শত্রুপক্ষকে। নেমে এল নদীর খাদে। তখনই বুঝল, ভুল করে ফেলেছে। ওর মাথায় হেলমেট নেই। চোখেও নেই গগস্‌। ওগুলো ঝুলছে পেছনের সিটের লক থেকে।

তুমুল বেগে বাতাস লাগছে চোখে-মুখে, কিন্তু সময় নেই যে থেমে হেলমেট ও গগলস্ সংগ্রহ করবে। তারার মরা আলোয় এগিয়ে যেতে হবে ওকে। সামনে ধূসর বালির প্রান্তর ও দূরে উঁচু সব ঢিবি।

.

সামনের মোড়ে পৌঁছে গতি কমাল এলেনা, ভাবছে কোন্ দিকের ঢাল বেয়ে উঠবে মরুভূমির সমতলে। ভাল একটা জায়গা বেছে মোনার উদ্দেশে চিৎকার করে বলল, ‘শক্ত করে ধরো!’

থ্রটল মুচড়ে খাড়া ঢাল বেয়ে রেসের গতি তুলে মরুভূমির বুকে উঠে এল এলেনা। মাত্র কয়েক মিনিট পর একের পর এক ঢিবির রাজ্যে ঢুকল ওরা। বালির স্তূপ যেন সাগরের মস্ত সব ঢেউ। ঢিবির মাঝের জায়গা দিয়ে এগিয়ে যেতে লাগল এলেনা। নিচের দিকে রাখছে এটিভি। পেছনে ছিটকে পড়ছে মোরগের লেজের মত বালির স্রোত। শত্রুপক্ষ ওটা দেখলে পিছু নেবে।

বালির স্তূপের নিচের অংশ দিয়ে গেলে খারাপ দিকও আছে।  বারবার বাঁক নিতে হচ্ছে, একটু পর পর দেখতে হবে জিপিএস সাধ্যমত গতি তুলছে এলেনা। কোনও দিকে দেখার সময় নেই। কিন্তু পেছনে চোখ রাখতে পারে মোনা।

‘রানাকে দেখলে?’ হাওয়ার শোঁ-শোঁ আওয়াজের ওপর দিয়ে জানতে চাইল এলেনা। টের পেল, কোমর ঘুরিয়ে পেছনে তাকাল মেয়েটা। আরও ভাল করে দেখতে দেয়ার জন্যে গতি কমিয়ে দিল এলেনা।

‘না!’ পাল্টা চিৎকার করল মোনা।

ক’সেকেণ্ড পর বাম চোখের কোণে নড়াচড়া দেখল এলেনা। বোধহয় রানা! ওদিকে চলল। কিন্তু এক শ’ ফুট যেতে না যেতেই চমকে গেল। কান ফাটিয়ে দিতে চাইছে সাইলেন্সারহীন এক গাড়ির ইঞ্জিন। উজ্জ্বল সাদা আলো জ্বেলে পাশের ঢিবি থেকে নেমে আসছে স্যাণ্ড রেল!

যে-কোনও সময়ে ধরা পড়বে ওরা!

‘শক্ত করে কোমর জড়িয়ে ধরো!’ বলল এলেনা।

উঁচু ঢিবি থেকে তুমুল গতি তুলে নামছে স্যাণ্ড বাগি, একটু দূর দিয়ে আসছে আরেকটা। ওটা পৌঁছুবে সামান্য পরে।

বাঁক নিয়ে সরে যেতে চাইল এলেনা। ছোট বেশ কিছু ঢিবির ভেতর দিকে চলেছে আঁধার চিরে। লাফিয়ে উঠছে এটিভি, পিছলে ছুটছে। হঠাৎ করেই ওদের ডানের মরুভূমি হয়ে গেল দিনের মত পরিষ্কার। কয়েক সেকেণ্ড পর এটিভির পিছু নিল আরেকটা বাগি।

হেডলাইট নয়, সার্চলাইট জ্বেলেছে শত্রুরা। গগল্স্ থাকা সত্ত্বেও চোখ কুঁচকে গেল এলেনার। বামহাতে খুলে ফেলল গগস্। দেরি করলে আছড়ে পড়ত পাথরের ছোট এক স্তূপের ওপর। আরও ডানে সরে গেল এলেনা। কাত হয়ে যেতে শুরু করেও সামলে নিল এটিভি, এড়িয়ে গেল পাথরের বাধা।

পেছনে পাথর ভাঙার কুড়মুড় আওয়াজ পেল ওরা। সেই সঙ্গে বুক কাঁপিয়ে দেয়া ধাতুর সঙ্গে ধাতুর ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ।

আবারও আঁধার হলো চারপাশ। এলেনা বুঝল, দু’দিক থেকে এসে মুখোমুখি গুঁতো দিয়েছে দুই স্যাণ্ড রেল পরস্পরকে। চিরকালের জন্যে বিকল হলো কি না, কে জানে!

ওদিকে মনোযোগ দিল না এলেনা। এখন ওর প্রথম কাজ হওয়া উচিত বহু দূরে পালিয়ে যাওয়া।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *