পঁচিশ
নাক চেপে ধরে মেঝেতে বসে পড়েছে এলেনা। ধুলোর ভেতর আটকে আসতে চাইছে শ্বাস। ওর হাতে পরিষ্কার রুমাল তুলে দিল রানার বন্ধু। নাকে-মুখে কাপড় ধরার পর একটু স্বস্তি পেল এনআরআই এজেণ্ট।
‘আমরা কি বেরিয়ে যাব?’ জানতে চাইল মেহেদি।
অনিশ্চিত হয়ে উঠেছে এলেনা। বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে ওর মনে হয়েছে, দূরের করিডোরে ফেটেছে স্টান গ্রেনেড। আসার পথে ওদিকে দেখেছিল সশস্ত্র লোক।
খোলা দরজা দিয়ে এল কয়েকজনের চিৎকার। করিডোর থেকে প্রকাণ্ড ঘরে এসে ঢুকল এক গার্ড, রক্তাক্ত।
তার দিকে ছুটে গেল লম্বু, দু’জন মিলে বন্ধ করল পুরু কাঠের দরজা। আটকে দিতে গেল হুড়কো, কিন্তু তখনই প্রচণ্ড ধাক্কা দিয়ে খুলে ফেলা হলো কবাট। একহারা আর আরব গার্ড ছিটকে পড়ল ঘরের মেঝেতে।
নিলামের দুই গার্ডের একজন গুলি পাঠাল দরজা দিয়ে বাইরে। এদিকে এক লাফে ওর অ্যালকোভে ঢুকল এলেনা।
প্রকাণ্ড ঘরে চিৎকার করে কিছু বলল কেউ। ভাষা লেবানিজ। মাথার ওপর হাত তুলেছে নাসের আল মেহেদি। পৌঁছে গেল অ্যালকোভে এলেনার পাশে। ‘আমরা আত্মসমর্পণ করছি!’
‘আত্মসমর্পণ?’ চমকে গিয়ে জিজ্ঞেস করল এলেনা।
‘মনে তো হচ্ছে রেইড করা হয়েছে।’
‘পুলিশ তো আপনাদের পকেটে থাকে,’ বলল এলেনা, ‘তা হলে কী হচ্ছে?’
‘আমাদের চেয়েও বড় কোনও পার্টি টাকা দিয়েছে পুলিশের বড় অফিসারদেরকে,’ বলল মেহেদি।
অ্যালকোভে এসে ঢুকল একহারা ডিলার, মাথার ওপর দু’হাত। বাইরের ঘরের মাঝে থেমেছে ইউনিফর্ম পরা একদল ট্রুপার। হাতের অস্ত্র তাক করেছে অ্যালকোভের দিকে। তাদের কাছ থেকে পনেরো ফুট দূরে এলেনা ও মেহেদি। হামলা করা বা পালিয়ে যাওয়ার উপায় নেই। এইমাত্র বীর পায়ে ঘরে ঢুকল এক লোক, বুঝে নিতে চাইল পরিস্থিতি। এই নতুন দলের কমাণ্ডার সে। এক পলক দেখল এলেনা ও মেহেদিকে, তারপর তার চোখ স্থির হলো আর্টিফ্যাক্টগুলোর ওপর।
এলেনার মনে পড়ল, প্যারিসে পুলিশের পোশাক পরে বিজ্ঞানী আহসান মোবারককে খুন করেছিল একদল সন্ত্রাসী। বাঙালি ডক্টর চিঠিতে লিখেছিলেন: ওরা বুঝে গেছে সব। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। একবার ধরতে পারলে মেরে ফেলবে আমাকে।
সত্যিই এরা হামলা করছে ঝড়ের গতি তুলে। কেউ বুঝবে না কখন কী করবে।
‘সবকিছু গোলমেলে লাগছে,’ বলল এলেনা।
‘হ্যাঁ, তবে ঝামেলা ঠিক করে ফেলা হবে,’ বলল লম্বু।
ট্রুপারদের দিক থেকে মুখ সরিয়ে ফিসফিস করে বলল এলেনা, ‘আমার তা মনে হয় না। এটা রেইড নয়। ডাকাতি।’
‘এসব কী বলছেন!’ আঁৎকে উঠল লম্বু।
‘দেরি না করে যা করার করতে হবে, নইলে এদের হাতে খুন হব আমরা,’ সহজ সুরে বলল এলেনা।
কড়া চোখে ওকে দেখল লম্বু। ‘আপনি কি পাগল নাকি? কেন আপনার কথা শুনতে যাব?’
‘আমি পাগল হলে শুনতেন?’ বিরক্ত হয়ে বলল এলেনা।
‘না, তা নয়।’
‘তা হলে শুনুন, ভাল করেই জানি আপনি আপনাদের দলের দ্বিতীয় নেতা। আর গার্ডের ভঙ্গি নিয়ে একটু আগে যে রক্তাক্ত আরব ঘরে ঢুকল, সে প্রধান নেতা। সে ইরাকি। পুরো নিলাম চালায় সে। ভুল বললাম?’
‘হ্যাঁ, ভুল,’ বলল লম্বু। ‘আমরা দু’জন সমান পার্টনার।’
‘আপনাকে অপমান করতে চাইনি,’ বলল এলেনা। ‘কিন্তু আসল কথায় আসি, নিজ চোখে যা দেখছেন, তা কিন্তু বড় ধরনের নাটক। ট্রুপারদের পায়ের জুতো দেখুন। আপনার মনে হচ্ছে ওগুলো কোনও সৈনিকের?’
সশস্ত্র লোকগুলোর পা-র দিকে তাকাল একহারা। তাদের পায়ে পালিশ করা সৈনিকের বুটের বদলে হাইকিং বুট।
আর্টিফ্যাক্টের বাক্সের পাশ দিয়ে হেঁটে গেল নকল ট্রুপারদের নেতা, কী যেন খুঁজছে। তার পায়ে কমব্যাট বুট নেই, ব্যবসায়ীর শ্যু।
‘শালারা নকল.’ ফিসফিস করল লম্বু। ‘কিন্তু এই অবস্থায় কী করব?’
ঘরের মাঝে তার দুই সৈনিকের সামনে থামল নকল দলের নেতা। কথা বলছে ফিসফিস করে। ঠিক করছে এরপর কী করবে তারা।
‘এরা নিচে নামল কী করে?’ জানতে চাইল এলেনা।
‘চারপাশে মাটির নিচে সমাধিক্ষেত্র, নানান দিক দিয়ে ভেতরে ঢোকা যায়,’ বলল মেহেদি।
এলেনা কিছু বলার আগেই ওদের অ্যালকোভে এসে ঢুকল সন্ত্রাসীদের নেতা। কোনও কথা না বলে খপ করে ধরল এলেনার বাহু, টেনে নিয়ে গেল আর্টিফ্যাক্টের বাক্সের কাছে। বাধা দেয়ার কোনও চেষ্টাই করেনি এলেনা। ফলে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে মুঠো একটু আলগা করেছে লোকটা।
দরজার দিকে ঘুরে তাকাল সে। আর ওই একই সময়ে ঝটকা দিয়ে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে লোকটার কনুই মুচড়ে ধরল এলেনা। ওর অন্য হাত নেমে এল হাতুড়ির মত। খট্ আওয়াজ তুলে ভেঙে গেল নেতাজির বাহুর হাড়।
তখনই গায়ের জোরে এক গার্ডের দিকে লম্বুকে ঠেলে দিল মেহেদি, নিজে ঝাঁপিয়ে পড়ল তৃতীয় গার্ডের ওপর।
এদিকে ঘুরেই হোপলাইট ডোরি তুলে নিয়েছে এলেনা। অস্ত্রটার রুপালি অংশ নামল প্রথম গার্ডের ঘাড়ের ওপর। বর্শার অন্য দিক খটাস্ করে পড়ল আরেক গার্ডের মাথার তালুতে।
দলের চারজন আহত, কিন্তু গোলাগুলি শুরু করল অন্যরা।
লাফিয়ে আলাদা দুই অ্যালকোভে ঢুকল এলেনা ও মেহেদি। ওদিকে ঘরের দূর থেকে পাল্টা গুলি করল নিলামের গার্ডরা।
এলেনার পাশে পৌঁছে গেছে একহারা। প্রায় চেপে এসেছে ওর দিকে।
‘পিছনে লুকিয়ে পড়ুন,’ ধাক্কা দিয়ে তাকে অ্যালকোভের এক কোণে পাঠিয়ে দিল এলেনা। বর্শা চালাতে হলে যথেষ্ট জায়গা চাই। ‘মেহেদি!’ চিৎকার করে ডাকল।
‘আমি ঠিক আছি,’ এল জবাব। ‘পারলে বেরিয়ে যান!’
লম্বুর দিকে ফিরল এলেনা। ‘বেরিয়ে যাওয়ার পথ? আপনি এসেছিলেন কোন পথে?’
প্রকাণ্ড ঘরের শেষমাথা দেখাল লম্বু। কিন্তু উপায় নেই ওদিকে যাওয়ার। একাধিক দিক থেকে আসবে গুলি। ঝাঁঝরা হতে হবে। এমনিতেই চারপাশের দেয়ালে লাগছে গুলি। নানান দিকে ছিটকে যাচ্ছে পাথরের দেয়ালের কুচি।
অ্যালকোভ থেকে সাবধানে উঁকি দিল এলেনা। আহত সঙ্গীদেরকে সামনের দরজার দিকে সরিয়ে নিচ্ছে নকল ট্রুপারদের কয়েকজন। কিন্তু তাদের সঙ্গে আরেকটা জিনিস! ওই বাক্সের আকার ও আকৃতি দেখে ওর মনে হলো, হাত ছাড়া হচ্ছে ওর সাধের তাম্রলিপি!
‘স্ক্রল ওদের কাছে!’ চিৎকার করে জানাল এলেনা।
‘নিজের টাকা ফিরে পেতে হবে আমাকে!’ রাগী গলায় বলল মেহেদি।
দরজার কাছে পৌঁছে গেছে দলের শেষ দু’জন। ধোঁয়ার গন্ধ পেল এলেনা। সেই সঙ্গে পেট্রোলিয়ামের গন্ধ। অ্যালকোভের কিনারা থেকে দেখল, লোকগুলো দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যাওয়ার আগে মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলেছে ম্যাচের বেশ কয়েকটা জ্বলন্ত কাঠি।
মেঝেতে অগভীর পেট্রোলিয়ামের ডোবায় দপ করে জ্বলে উঠেছে আগুন। প্রকাণ্ড ঘরের সামনের দিক চাটছে লেলিহান নীল শিখা।
থেমে গেল গোলাগুলি। বদ্ধ ঘরে অসহ্য হয়ে উঠতে লাগল ধোঁয়া ও তাপ। দম আটকে মরার পরিবেশ
‘বেরিয়ে যেতে হবে!’ চেঁচিয়ে বলল এলেনা।
খোঁড়াতে খোঁড়াতে নিজের অ্যালকোভ থেকে বেরোল কন্ট্রাক্টর মেহেদি, প্যান্টের ঊরুতে রক্ত।
সামনে বেড়ে এক হাতে তার ওজন নিল এলেনা।
‘আমি ঠিক আছি,’ বলল মেহেদি। ‘কোনও সমস্যা নেই।’
‘আপনি দেখান কীভাবে এখান থেকে বেরোতে হবে,’ কড়া সুরে লম্বুকে বলল এলেনা।
‘আসুন!’ এলেনা ও মেহেদির সামনে সামনে চলল একহারা। চলেছে ঘরের পেছনের দিকে।
এখনও এক হাতে এলেনার বর্শা। এগোবার সময় সুস্থ ও আহতদেরকে সঙ্গে নিল ওরা।
পেছনের ঘরের পাশের দেয়ালে একটা ট্র্যাপডোর সরাতেই দেখা গেল স্টেয়ারওয়েল। সদলবলে সিঁড়ি বেয়ে নামতে লাগল সবাই, শহরের ওঅটার টেবিলের খুব কাছে পৌঁছে গেছে। সামনেই পড়ল সরু ওয়াকওয়ে। পাশেই পানিতে ভরা মস্ত এক গভীর দিঘি।
একটা সিঁড়ি বেয়ে নামার পর সামনে পড়ল আরেকটা স্টেয়ারওয়েল। ওটা গেছে ওপরে। বিপদের গন্ধ পেল এলেনা। চাপা স্বরে বলল, ‘ওরা এদিকে চোখ রাখবে। অন্য পথ ব্যবহার করুন।’
‘অন্য কোনও পথ চিনি না,’ বলল লম্বু।
নাসের আল মেহেদির দিকে তাকাল এলেনা।
মাথা নাড়ল কন্ট্রাক্টর।
‘খুঁজে বের করে নেব, চলুন,’ বলল এলেনা।
নিকষ অন্ধকারে হেঁটে চলল ওরা। কিছুক্ষণ পর একদম হারিয়ে গেল সরু পথ, আছে অগভীর পাথরের নালা। পা ভিজিয়ে আধ মাইল হাঁটল ওরা। ওপরে উঠছে নালা। আরও কিছুক্ষণ চলার পর গাঢ় অন্ধকারে দেখা গেল একটা শাফট। ওখানেই পাওয়া গেল নতুন স্টেয়ারওয়েল। ওপর থেকে এল আবছা আলো। তাতেই খুশিতে হৈ-হৈ করে উঠল সবাই।
কিছুক্ষণের ভেতর সিঁড়ি বেয়ে ওপরের রাস্তার কাছে পৌঁছে গেল ওরা। একহারা ও এলেনা মিলে ঠেলে তুলল ভারী ঝাঁঝরির মত গ্রেট। অন্যরা উঠে এল গলিতে। নাসের আল মেহেদি ছাড়া কেউ গুরুতরভাবে আহত নয়, নিলামের অন্য সদস্যরা যে যার মত হারিয়ে গেল রাতের আঁধারে।
লম্বু ও তার পার্টনার রয়ে গেল গলির ভেতর ঝাঁঝরির পাশে। নীলচে আলোয় তাদেরকে দেখাল ভিন গ্রহের প্রাণীর মত।
‘আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ,’ বলল লম্বু, ‘আগেই বোঝা উচিত ছিল, ওটা রেইড হতে পারে না। সব জায়গায় ঠিকমত ঘুষ দিই আমরা।’
‘জরুরি তথ্য দিয়ে শোধ করতে পারেন ঋণ,’ বলল এলেনা। ‘যেমন, ওই পার্টিতে কারা এসেছিল।’
‘বলার উপায় নেই,’ বলল লম্বু। ‘বললে খুন হয়ে যাব।’
‘তা হলে জানাতে পারেন কোন ঠিকানায় এদের আর্টিফ্যাক্ট পৌঁছে দেন,’ বলল এলেনা. ‘এমন তো নয় যে আপনাদের নিলাম থেকে পঞ্চাশ পাউণ্ড ওজনের মূর্তি, কাদার ট্যাবলেট বা পাঁচ ফুটি বর্ণা বয়ে নিয়ে বাড়ি ফিরবে এরা।
‘এসব পৌঁছে দেয়া হয় লণ্ডনে বা কায়রোর ব্যাঙ্কে। বা আবু ধাবির কোনও অফিস দালানে।’ মাথা নাড়ল লম্বু। ‘এসব জেনে কোনও লাভ হবে না আপনাদের।’
ধরা পড়বার ভয় পাচ্ছে লোকটা, ভাবল এলেনা। ‘তা হলে একটা ইনফর্মেশন দিন: কে ছিল আপনাদের চার নম্বর বিডার।’
‘আগেই বলেছি, মাদাম…
‘আপনি কিন্তু একটা দিক খেয়াল করেননি, সৈনিকরা যখন এল তাদের সঙ্গে ছিল না ওই লোক।
দ্বিধায় পড়ল লম্বু। যেন মনের ভেতর তথ্য হাতড়ে চলেছে। আরবি ভাষায় আলাপ করল ইরাকি পার্টনারের সঙ্গে, তারপর বলল, ‘নিলামের ওই শেষ সময়ে টাকার অভাবে রেগে গিয়েছিল।’
‘সে লোকই গুণ্ডাদল পাঠিয়ে নিয়ে গেছে তাম্রলিপি,’ বলল এলেনা। ‘অন্য কিছু কিন্তু নেয়নি ওরা। আমার ভুল না হয়ে থাকলে, তাম্রলিপি দখলের ওই ব্যাকআপ প্ল্যান রেখেছিল সে-ই।’
‘শুধু জানি নাম মার্ডক, এখানে আছে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। কাজ করে এক গ্রিকের হয়ে, ডেলিভারি অ্যাড্রেস কুয়েত সিটিতে।’
‘আর ওই তামার লিপি, ওটা এসেছিল কোথা থেকে?’ জানতে চাইল এলেনা।
‘এক ব্যক্তিগত সংগ্ৰাহকের কাছ থেকে,’ বলল লম্বু। ‘শুনেছি মরুভূমিতে পেয়েছিল একদল বেদুঈন। বড় সংগ্রাহক নয় ওই লোক, কোথা থেকে পাওয়া গেছে তা-ও বলতে পারেনি।’
‘কী কারণে একদল লোকের কাছে ওটা এত জরুরি?’
মাথা নাড়ল লম্বু।
‘ওটার জন্যে এরই ভেতর খুন হয়ে গেছে কমপক্ষে হাফ ডজন লোক,’ বলল এলেনা। ‘ওটা এত বড় শিল্প হয়ে ওঠেনি যে মানুষ খুন করতে হবে।’
‘কী কারণে এত দামি, জানি না,’ বলল লম্বু। ‘আবু রশিদ ছাড়া কেউ অত আগ্রহ দেখাননি। তারপর আজ রাতে পাগল হয়ে গেল ওরা। ওই তামার লিপির সঙ্গে বিক্রির কথা ছিল পারস্যের দেবীর মুখ। পরে আলাদা করে ফেলা হয়।’
নাসের আল মেহেদির দিকে তাকাল এলেনা’। লোকটার ঊরু থেকে দরদর করে পড়ছে রক্ত। বুলেটের ক্ষতটা গভীর। দেরি করা ঠিক হবে না, তাকে পৌঁছে দেয়া উচিত হাসপাতালে।
লম্বুর দিকে আবারও তাকাল এলেনা। ‘আপনাদের কাছে ওই তামার লিপির ছবি আছে। যেগুলো দিয়েছেন, যথেষ্ট ভাল নয়। ভাল কোনও ছবি আছে?’
মাথা দোলাল লম্বু।
‘ওগুলো আমার দরকার,’ বলল এলেনা। ‘পেয়ে গেলে ধরে নেব আপনারা ঋণ শোধ করে দিয়েছেন।
ইরাকি পার্টনারের সঙ্গে আরবিতে আলাপ করল লম্বু, তারপর মাথা দোলাল। ‘কোথায় পাঠিয়ে দেব?’
আহত নাসের আল মেহেদিকে দেখিয়ে দিল এলেনা। ‘আমি ওঁকে নিচ্ছি হাসপাতালে। তাঁর হাতে দিয়ে দেবেন ছবি। তিনি জানবেন কোথায় পাওয়া যাবে আমাকে।’