ঋগ্বেদ ০৯।০৯৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৯৪
পবমান সোম দেবতা। কণ্ব ঋষি।
১। ঘোটকের ন্যায় যখন এই সোমকে সুসজ্জিত করা হইল, কিংবা যখন সূর্যের ন্যায় ইহার কিরন নির্গত হইতে লাগিল, তখন অঙ্গুলীবর্গ পরস্পর স্পর্ধা সহকারেই শোধন করিতে যাইতেছে, ইনি জলের সহিত মিশ্রিত হইয়া কবিদিগের স্তুতিবাক্য গ্রহণ করিতে করিতে ক্ষরিত হইতেছেন, যেরূপ কোন গোপাল গোচারণের জন্য অতি সুন্দর গোষ্ঠে যায়, তদ্রুপ ইনি যাইতেছেন।
২। জলের আধারস্বরূপ যে আকাশ সোম, সেই আকাশের দুই অংশ নিজ তেজে আচ্ছাদন করিতেছেন। সেই সর্বজ্ঞ সোমের কিরণসমূহ বিস্তারিত হইবে বলিয়া সমস্ত ভুবন বিস্তীর্ণ হইতেছে। যেমন গাভীগণ গোষ্ঠে শব্দ করে, তদ্রূপ যজ্ঞের উপযোগী চমৎকার স্তুতিবাক্যগুলি সোমের উদ্দেশে শব্দ করিতেছে।
৩। বুদ্ধিমান সোম যখন স্তুতিবাক্য সমস্ত গ্রহণ করেন; তখন বীর পুরুষের রথের ন্যায় তিনি সর্বত্র গতি বিধি করেন। তিনি দেবতাদিগের ধন মনুষ্যদিগকে দেন, সেই ধনের বৃদ্ধির জন্য যজ্ঞ ভবনে সোমকে স্তব করা উচিত।
৪। সম্পত্তির জন্য সোমের জন্ম, সম্পত্তির জন্য তিনি অংশু ও লতাপ্রতান হইতে নির্গত হয়েন। স্তুতিকারী ব্যক্তিদিগকে তিনি সম্পত্তি ও অন্ন বিতরণ করেন। তার নিকট সম্পত্তি প্রাপ্ত হইয়া অমরত্ব লাভ করা যায়, তিনি শনৈঃ শনৈঃ গমন করিয়া সকল সংগ্রামে জয়ী হয়েন।
৫। হে সোম! যেন তোমার প্রসাদে সম্পত্তি ও অন্ন ও বল, বীৰ্য্য ও গো, অশ্ব প্রাপ্ত হই। তুমি প্রচুর জ্যোতিঃ বিধান কর, দেবতাদিগকে আনন্দিত কর। সকলকেই তুমি অবলীলাক্রমে পরাভব কর। হে ক্ষরণশীল সোম! শত্রুদিগকে বধ কর।