ঋগ্বেদ ০৯।০৯৩
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৯৩
পবমান সোম দেবতা। নোধা ঋষি।
১। দশ ভগ্নী, অর্থাৎ দশ অঙ্গুলি একসঙ্গে জল সেচন করিতে করিতে সোমকে শোধন করিতেছে, সেই দশ অঙ্গুলি সুস্থির সোমকে চালাইয়া দিতেছে। হরিদ্বর্ণ ধারণ পূর্বক সোম সূর্যের পত্নীর দিকে ধাবমান হইতেছেন(১), বেগবান্ ঘোটকের ন্যায় সোম কলস পূর্ণ করলেন।
২। যেমন মাতৃবৎসল শিশুকে জননীরা ধারণ করেন, তদ্রপ সর্বজনের রসবর্ষণকারী এই সোমরস জলদিগের দ্বারা ধাবিত হইতেছেন। যেমন পুরুষ যুবতীর দিকে গমন করেন, ইনি তদ্রুপ আপন স্থানে যাইতেছেন; যাইয়াকলসের মধ্যে দুগ্ধের সহিত মিশ্রিত হইতেছেন।
৩। সোম গাভীর দুগ্ধস্থান অপ্যায়িত করিয়াছেন। সেই সুপণ্ডিত সোম ধারার আকারে ক্ষরিত হইতেছেন। সেই সোম যখন উন্নত স্থানে পানপাত্রের মধ্যে সঞ্চিত হইলেন, তখন ধৌত বস্ত্রসন্নিভ শ্বেতবর্ণ দুগ্ধের দ্বারা গাভীগণ তাহাকে ঢাকিয়া দিল।
৪। হে ক্ষরণশীল সোম! তুমি আমাদিগের প্রতি বৎসল হইয়া দেবতাদিগের সঙ্গে মিলিত হইয়া আমাদিগকে ঘোটক ও ধন বিতরণ কর, তোমার বুদ্ধিতে যেন আমাদিগের প্রতি স্নেহ উপস্থিত হয় এবং আমাদিগের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করিয়া যেন প্রচুর ধন দিবার বুদ্ধি তোমার উপস্থিত হয়।
৫। হে সোম! তুমি শোধিত হইতেছ, আমাদিগের লোকবল করিয়া দাও এবং ধন মাপিয়া দাও, সকলের আহ্লাদ উৎপাদন করে, এরূপ জল আমাদিগকে দাও। তোমাকে যে স্তব করে, যেন তাহার পরমায়ু বৃদ্ধি হয়, তিনি যেন প্রাতঃকালে ধন দিবার অভিপ্রায়ে উপস্থিত হয়েন।
————
(১) সায়ণ সূর্য্যের পত্নী অর্থে দিক সমূদয় করিয়াছেন, কিন্তু সূর্য্যা ও সোম সম্বন্ধে, ১।১১৬।১৭ ঋকের টীকা দেখ।