পদচিহ্নের উপাখ্যান – ৬

ছয়

‘নড়িস না, নড়িস না। তুই না কত ভাল ঘোড়া!’ ডন প্রতিটা ঘোড়াকে আপেল আর গাজর দিচ্ছে এবং মুসা ওদেরকে নরম- নরম আদরের বুলি শোনাচ্ছে। ওদিকে, ছবি তুলছে রবিন। পশ্চিম তৃণভূমিতে অল্প কটা ঘোড়া, ছেলেরা একের পর এক ফটো নিচ্ছে।

কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে, এসময় বেড়ার কাছে এসে গতি কমাল এক গাঢ় নীল পিকআপ ট্রাক। ছোটখাট, রুপোলী এক ট্রেইলার টানছে ওটা। ভেতরে দুটো ঘোড়া দু’পাশে লেজ নাড়ছে। ঘোড়াদের সামনের অর্ধেকটা ঢাকা পড়েছে ট্রেইলারের কারণে। কিন্তু ছেলেরা বড়, কালো এক ঘোড়া আর এক ছোট বাদামি টাট্টু ঘোড়ার পেছনের অংশ দেখতে পাচ্ছে।

‘এই লোকই হানি আর বানিকে ফিরিয়ে এনেছিল,’ জানাল ডন।

‘অ্যাই!’ স্ট্রাইপড্ শার্ট পরা এক কাউবয় দুলকিচালে ঘোড়া __য় এসে রাশ টানল। ‘তোমরা এখানে কী করছ, ছেলেরা?’

মৃদু হাসল রবিন।

‘ঘোড়াদের ছবি নিচ্ছি-’

‘এদেরটা নিয়ো না, ঘাউ করে উঠল লোকটা।

‘কিন্তু মেলানি নানু তো আমাদের বলেছেন,’ বলল মুসা।

‘এখানে কারও আসা নিষেধ।’

বুকের ওপর বাহুজোড়া ভাঁজ করল ডন।

‘কেন?’

‘কারণ…কারণ…’ কথা খুঁজে পেল না লোকটা মুহূর্তের জন্য। ‘কারণ নতুন-নতুন রেসকিউ হর্স আসছে। ওরা অসুস্থ। ওরা তোমাদেরকে, উম, কামড়ে দিতে পারে। আমরা ছাড়া সবার এখানে ঢোকা বারণ… আমরা, মানে স্বেচ্ছাসেবকরা আরকী।’ ওর ঘোড়াটা মাটি আঁচড়াচ্ছে খুর দিয়ে, ডনের ফেলা এক আপেলের টুকরো দেখছে জুলজুল চোখে। লোকটা কঠোর চাউনি হানল রবিনের উদ্দেশে। ‘ছবি তুলছ কেন?

মুখ উজ্জ্বল দেখাল রবিনের।

‘আমরা এগুলো ইন্টার-’

হঠাৎই, লোকটার ঘোড়াটা মাথা ঝাঁকি দিল নিচের দিকে, ফলে হ্যাঁচকা টানে সামনে নুয়ে পড়ল সে। লোকটার শার্টের পকেট থেকে বড়, হলদে এক খাম খসে পড়ল মাটিতে। ছড়িয়ে গেল টাকার নোট। লাফিয়ে ঘোড়া থেকে নেমে খামটা ছোঁ মেরে তুলে নিল লোকটা, নোটগুলো চটপট ঢুকিয়ে দিল ভেতরে। এবার পকেটে খামটা গুঁজে আবার ঘোড়ায় চাপল। রবিনের ক্যামেরার উদ্দেশে হাত বাড়াল ও।

‘আমি ছবি তুলে,’ বলল, ‘পরে দিয়ে যাব তোমাকে।’ এসময় দূরে, কাউবেল বাজল।

‘তার দরকার নেই,’ বলল রবিন, ক্যামেরাটা আঁকড়ে ধরল। অচেনা কাউকে জন্মদিনে পাওয়া উপহারটা কেন দিতে যাবে ও? আবারও ঘণ্টা বাজল।

‘চলো,’ বলল মুসা। ‘এখন রাইড করব আমরা।’

এবার পশ্চিম তৃণভূমি আড়াআড়ি পাড়ি দিয়ে ছুট দিল তিনজনে, বেড়া আর লম্বা-লম্বা খড় ভেদ করে। নিরাপদ দূরত্বে পৌঁছে তবে থামল।

‘লোকটা চায় না আমরা ছবি নিই,’ বলল রবিন

‘কারণ ঘোড়াগুলো আমাদের কামড়ে দিতে পারে, বলল ডন। থলে থেকে শেষ গাজরটা বের করে, হাঁটার ফাঁকে মজাসে চিবোতে লাগল।

‘খাইছে, কিন্তু আমি বলব,’ বলল মুসা, ‘ঘোড়াগুলো শুধু আপেল আর গাজরেই কামড় দিতে চাইছিল, আমাদেরকে নয়।’

রবিন মেলানি নানুর অফিসে ক্যামেরাটা রাখার জন্য র‍্যাঞ্চহাউসে থামল। দেরি না করে নানুর কম্পিউটারে ওটাকে প্লাগ করল ও। টাইপ করল ‘রবিন’স ফাইল’, এবং ক্যামেরা থেকে কম্পিউটারে কপি করল ওর তোলা ছবিগুলো। রাতে, ডিনার শেষে, নানুকে শিখিয়ে দেবে ডেয়ার টু ড্রিম ওয়েবসাইটে কীভাবে রেসকিউ ঘোড়াদের ছবি পোস্ট করতে হবে।

ঢং-ঢং-ঢং। ডিনারের ঘণ্টা বাজছে।

রবিন ক্যামেরাটা আনপ্লাগ করে কম্পিউটারের ওপরের তাকে সযত্নে তুলে রাখল। এবার ড্রাগনকে স্যাল্ পরাতে ছুটল করালে।

কিন্তু ঘোড়াটা করালে নেই। তৃণভূমিতে দৌড়ে গেল রবিন। দূরে, বেড়ার পাশে কয়েকটা ঘোড়া শটিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে।

‘আপনি ড্রাগনকে দেখেছেন? হেঁকে বলল রবিন।

‘সকালের পর থেকে আর দেখিনি,’ পাল্টা চেঁচাল শর্টি। পালকশোভিত হ্যাটটা খুলল। ‘ইইইহাআআআ!’ চিৎকার ছেড়ে, ঘোড়াগুলোর উদ্দেশে নাড়ল হ্যাটটা, চারণভূমিতে ফেরত পাঠাতে চাইছে। হ্যাটের গোটা দুই কমলা পালক ভাসল বাতাসে। ও হয়তো এখনও আস্তাবলেই আছে।’

রবিন দৌড়ে গেল আস্তাবলে, কিন্তু ড্রাগনের স্টলটা ফাঁকা। পেটের ভেতরটা মুচড়ে উঠল ওর। নির্ঘাত কোথাও কোন সমস্যা আছে। ডেবোরাকে করালে পেল ও, রাইডের জন্য ঘোড়াদের স্যাডল পরাচ্ছে।

‘ড্রাগনকে পাচ্ছি না,’ জানাল নথি।

‘আশপাশেই আছে,’ বলল র‍্যাংলার। ‘ও মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়ে। ঘুরে বেড়াতে ভালবাসে ঘোড়াটা। ওর নাম ড্রাগন না দিয়ে দেয়া উচিত ছিল ক্রিস্টোফার কলম্বাস।’ রবিনের মুখের চেহারায় উদ্বেগের ছায়া নজর কাড়ল মেয়েটির। ‘ও চলে আসবে, ভেবো না। সবসময় নিজে নিজেই ফিরে আসে। তুমি বরং জাম্পিং জ্যাকের পিঠে চড়ো। ও খুব লক্ষ্মী ছেলে।

.

র‍্যাঞ্চের বেড়া ঘিরে পাক খেয়ে এগনো দীর্ঘ ট্রেইলে ছেলেদেরকে পেছনে নিয়ে রাইড করছে ডেবোরা।

‘ডন,’ বলল র‍্যাংলার। ‘স্যাডল্ হর্ন ধরে থেকো না। কাউবয়রা হাতে লাগাম ধরে আর হাঁটুজোড়া দিয়ে ঘোড়াকে চেপে ধরে রাখে।’ ধীরে-ধীরে হর্নটা ছাড়ল ডন। হাঁটু দিয়ে চাপ দিল স্যাড়লে। ধরে না থাকায় বেশ ভয়-ভয় করছে ওর। তবে ও সত্যিকারের কাউবয়দের মতন ঘোড়া চালানো শিখতে চায়।

রবিনের পাশে ঘোড়া নিয়ে এল কিশোর।

‘মন খারাপ কোরো না, বলল।

রবিন জাম্পিং জ্যাকের ঘাড় চাপড়ে দিল।

‘ড্রাগনের জন্যে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। ও যদি চুরি গিয়ে থাকে?’

‘চুরি হয়নি, বলল কিশোর, রবিনকে আশ্বস্ত করতে চাইল।

‘তাহলে ও গেল কোথায়?’ রবিনের প্রশ্ন

এর জবাব জানা নেই কিশোরের

বেড়ার পাশ দিয়ে ঘোড়ায় চড়ে এগিয়ে চলল ওরা, দেখল শর্টি ঘোড়াদের তাড়ানোর চেষ্টা করছে। বাতাস শুঁকল ফুটকি। সহসা, বাঁদিকে মাথা ঝাড়া মেরে বেড়া লক্ষ্য করে দুলকিচালে ছুটল।

‘হোয়া!’ চিৎকার ছাড়ল ডন। সর্বশক্তিতে লাগাম টেনে পেছনে হেলে পড়ল ও, কিন্তু থামল না ফুটকি। টাট্টু ঘোড়াটা বেড়ার কাছে গিয়ে মাথা ঝোঁকাল মাটিতে। ডন কত টানাটানি করল, কিন্তু নড়ার নাম নেই ওর।

ফুটকি কী খুঁজে পেয়েছে দেখতে ঘোড়া থেকে নামল রবিন।

‘দেখো,’ বলে তুলে নিল এক মুঠো শস্যদানা। কে যেন ঘাসের ওপর জই ফেলে গেছে।’

ডেবোরা ঘোড়া নিয়ে কাছিয়ে এল।

‘কী ব্যাপার?’

‘ফুটকি জই খুঁজে পেয়েছে, খাবে,’ জানাল ডন।

‘বেড়ার এতটা কাছে জই রাখবে কে?’ কিশোর প্রশ্ন করল। ‘টুরিস্ট ছাড়া আর কে।’ মাথা থেকে লাল হ্যাটটা খুলে ঘোড়ার দেহ থেকে মাছি তাড়াল ডেবোরা। ‘পুরো সামার জুড়েই শহুরে মানুষজন আমাদের ঘোড়াদের খাবার দিতে থামে এখানে চিনির কিউব, গাজর, আপেল কী না দেয়! ওদের আদিখ্যেতা দেখে মনে হবে জীবনে কখনও ঘোড়া দেখেনি। তবে আগে তো কখনও কাউকে জই দিতে দেখিনি।’ ছেলেদের দিকে চাইল। ‘একটু ক্যানটারিং করবে নাকি তোমরা কেউ?’

‘হ্যাঁ!’ সোৎসাহে একসঙ্গে বলে উঠল ওরা। দ্রুতগতিতে রাইড করতে ভালবাসে ওরা এবং ক্যানটার করা প্রায় সর্বোচ্চ গতির দৌড়ের শামিল।

ফুটকির লাগাম পাকড়ে ওকে ট্রেইলে ফেরাল ডেবোরা।

‘রাইড করা যাক!’ বলল ও। গোড়ালীর গুঁতো দিল যার-যার ঘোড়াকে, এবার রওনা হলো দলটা, বিস্তীর্ণ র‍্যাঞ্চের বুক চিরে স্বচ্ছন্দে ছুটছে।

রাইডিঙের সময়, ড্রাগনকে খুঁজল রবিন। কোথাও দেখল না ওকে। ঘোড়া দাবড়ে চলেছে ওরা, তৃণভূমি আর বড়-বড় খড়ের খেত ভেদ করে, পাহাড় টপকে, উঁচু-উঁচু পাইন গাছের সারির পাশ কাটিয়ে অবশেষে দূরের এক চারণভূমিতে পৌঁছল সবাই। প্রকাণ্ড তিনটে গাছ দাঁড়িয়ে ওখানটায়।

ডেবোরা একটা হাত তুলল শূন্যে। থামার সঙ্কেত। রাশ টেনে গাছের সুশীতল ছায়াতলে ঘোড়াদের হাঁটিয়ে নিয়ে গেল ছেলেরা।

‘এখানেই ভাঙা বেড়াটা মেরামত করেছি আমরা,’ বলে, রাস্তার দিকে আঙুল দেখাল কিশোর। আমি দুটো নতুন খুঁটি বসিয়ে তার লাগিয়েছি হ্যারির সাথে।’

‘ঘোড়াগুলো একটু জিরিয়ে নিক,’ বলল ডেবোরা। ‘আর আমরাও হাত-পায়ের খিল ছাড়াই।’

স্যাডল ব্যাগ থেকে স্কেচপ্যাড আর পেন্সিল বের করল মুসা। মুরাল আরম্ভ করার আগে পরিকল্পনা ছকে নিতে উদ্‌গ্রীব ও। বার্নের পাশে আঁকলে এই গাছপালা আর ঘোড়াগুলোর ছবিটা দারুণ ফুটবে। বেড়ার কাছ থেকে, এক লম্বা বাদামি বীজকোষ কুড়িয়ে নিল ও। গতবছর, স্কুলের সায়েন্স প্রজেক্টের জন্য, পাড়া- প্রতিবেশীদের গাছ থেকে ঝরে পড়া পাতা সংগ্রহ করেছিল মুসা। কন্সট্রাকশন পেপারে আঠা দিয়ে সাঁটিয়ে, ‘রকি বিচের গাছপালা’ নামে এক বইয়ে জুড়ে দিয়েছিল পৃষ্ঠাগুলো।

‘এটা হানি লোকাস্টের শুঁটি,’ বলে, ঝাঁকাল ওটাকে। ভেতরের বীজগুলো ঘর ঘর করে উঠল।

‘বেড়া ভেঙেছে যে ডালটা ওটা থেকে পড়েছে শুঁটিটা,’ বলল কিশোর।

প্রকাণ্ড গাছ তিনটের দিকে চাইল মুসা। আশপাশে আর কোন গাছপালা নেই।

‘এগুলো ম্যাল্ গাছ,’ বলল। ‘এখানে কোন হানি লোকাস্ট নেই।

‘হ্যারি বলছিল বাতাসে আছড়ে পড়েছে ডালটা,’ জানাল কিশোর।

‘তারমানে খুব জোরাল ছিল বাতাসটা,’ বলল মুসা।

এক গাছের নিচে শুয়ে ছিল ডন, একদৃষ্টে চেয়ে রয়েছে ওপর দিকে।

‘এই গাছটায় এত গর্ত কেন?’ জিজ্ঞেস করল।

‘আমরা কানাডায় গিয়ে কী দেখেছিলাম মনে নেই?’ বলল রবিন। ‘শুগার ক্যাম্পে, ম্যাল্ গাছে মানুষ এরকম ফুটো করে, তারপর প্রতিটা গর্তের নিচে বালতি ঝুলিয়ে দেয়।’

‘গাছ থেকে সিরাপ পড়ে বালতিতে!’ বলে উঠল ডন।

মাথা ঝাঁকাল ডেবোরা।

‘ফ্ল্যাপজ্যাকের সাথে তোমরা যে ম্যাপল্ সিরাপ খেয়েছ তার খানিকটা কিন্তু এই গাছ তিনটে থেকেই পাওয়া।’

‘এবং, বলল কিশোর, কাউবয়রা ফুটোগুলোয় চির রাখে।’

হেসে উঠল ডেবোরা।

‘কই, এমন কথা তো আগে কখনও শুনিনি।’

গাছটার ওপাশে হেঁটে গেল কিশোর, কিন্তু ধূসর অ্যারাবিয়ান আর ফুটকিওয়ালা বাদামি টাট্টুকে নিয়ে লেখা চিরকুটটা পেল না।

এসময় গাছ থেকে কী যেন বাতাসে ভেসে খসে পড়ল।

‘হেলিকপ্টার!’ ‘৪’ সংখ্যার মত আদলের এক ছোট সিডপড তুলে নিল ডন। শূন্যে ছুঁড়ে দিল ওটা। ভাসতে ভাসতে পাক খেয়ে নামার সময়, হেলিকপ্টারের পাখার মতন দেখাল জিনিসটিকে। শীঘ্রি অন্যরা

শীঘ্রি অন্যরা চারপাশে ছোটাছুটি করে ‘হেলিকপ্টার কুড়োতে লাগল ওড়ানোর জন্য। ডন একটা ডাল পকেটে গুঁজল পরে খেলা করবে বলে।

.

খানিক পরে, করালের পথ ধরল দলটা। জই পেয়েছিল সেই বেড়াটার কাছে পৌঁছে ঘোড়া চালিয়ে সামনে এগোল কিশোর। ফেন্সপোস্টে পেরেক মেরে লাগানো তার পরখ করল ও।

‘দেখো,’ বলল, ‘বেড়ার তার খুব ভালমত শক্ত করে পেঁচিয়ে বাঁধতে হয় যাতে খুলে না যায়। কিন্তু বাঁকা পেরেক ঘিরে যে তার বাঁধা হয়েছে সেগুলোর প্রান্ত কেমন আলগা হয়ে রয়েছে।’ বিজলীর পিঠ থেকে হড়কে নেমে পেরেক থেকে তার তুলে ফেলল ও। পলকে গেটের মতন হাঁ হয়ে খুলে গেল বেড়া। কিশোর হাঁটু গেড়ে বসল মাটি খুঁটিয়ে নিরীখ করতে।

‘কী খুঁজছ?’ প্রশ্ন রবিনের।

‘খুরের ছাপ, বলল কিশোর। এবং সত্যিই ওরা সবাই চারণভূমি থেকে মাটিতে গিয়ে মেশা ঘোড়ার পদচিহ্ন দেখল। এবারও ট্রাকের চাকার দাগ যেখানে শুরু, ঘোড়ার নালের চিহ্ন সেখানে শেষ। মেরুদণ্ড বেয়ে হিমস্রোত নেমে গেল রবিনের। এখন পরিষ্কার বুঝতে পারছে ড্রাগনকে ও করালে কিংবা তৃণভূমিতে পায়নি কেন। উপলব্ধি করছে ড্রাগন কেন ওর স্টলে ছিল না। ডেবোরার ধারণা ভুল। ড্রাগন হাওয়া খেতে যায়নি।

ঘোড়ার একটা চৌকো পায়ের পাতার ছাপ দেখে রাগে- দুঃখে চোখে অশ্রু চলে এল রবিনের।

‘ড্রাগন,’ ফিসফিস করে বলল ও। ‘ড্রাগনকে কেউ চুরি করেছে!’