1 of 2

কাউণ্ট কোবরা – ১২

বারো

মাঝ-দুপুরে ঘনিয়ে এসেছে সন্ধ্যার আবছা আঁধার। চারপাশে কুয়াশার গাঢ় ধূসর চাদর। ভীষণ শীত পড়েছে ভিয়েনায়। নতুন করে জমাট বাঁধছে বিশাল লেক। পানিতে ভাসছে পাউডারের মত সাদা তুষারকণা। চার শ’ গজ দূরে পাতলা বরফে ঢাকা জমির পর পাইনের জঙ্গল। ধূসর আকাশের পটভূমিতে যেন কালো ছায়া।

দু’হাত ডলে সাড়া ফেরাতে চাইছে ডিটেকটিভ সার্জেন্ট কেইলম্যান। ঘাড়ের কাছে তুলে দিল কোর্টের কলার। দাঁড়িয়ে আছে ফোর-হুইল ড্রাইভ গাড়িটার পাশে। মনে পড়ছে, শেষবার কবে এসেছে এখানে। সেদিন লেকের জমাট বরফের নিচ থেকে বিদেশি লোকটার লাশ উদ্ধার করেছিল ওরা।

এরপর পেরিয়ে গেছে প্রায় একবছর। আবারও এসেছে তুষারে ভরা হিমঠাণ্ডা শীতকাল। আজ আবারও ফিরে এল এখানে। বোধহয় ঠিকই বলেছিল তার স্ত্রী ব্ল্যাণ্ডা। একবার কিছু নিয়ে লেগে পড়লে তার শেষ না দেখে ছাড়ার লোক নয় লুদভিগ।

ওকে একা ফেলে কোথায় যেন হারিয়ে গেছে ব্ল্যাণ্ডা, আনমনে ভাবল ডিটেকটিভ সার্জেন্ট। একে একে পেরিয়ে গেছে পুরো তিনটে বছর। ব্ল্যাণ্ডা নেই ভাবতে গেলে আজও আঁকড়ে আসে ওর বুক। জল জমে চোখে। ভীষণ অভিমান হয় কার ওপর যেন। কেন এত কমবয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে ওর স্ত্রীকে?

দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবারও অ্যালেক বেকারের কেস নিয়ে ভাবতে চাইল লুদভিগ। মাসের পর মাস পেরিয়ে গেছে, তদন্ত করেনি কেউ। এটা ভাবলে অস্বস্তির ভেতর পড়ে সে। কী যেন গোলমাল ছিল ওই কেসে। বড় দ্রুত বন্ধ করে দেয়া হয় তদন্ত। অথচ, মানুষ হিসেবে খারাপ নয় অস্ট্রিয়ান পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বড় কর্তারা। আসলে গোপন কোনও কারণে আগ্রহ হারাতে বাধ্য হয় তারা। এরপর মাথা থেকে চিন্তাটা দূর করতে লুদভিগের লেগেছে কয়েক মাস। আর তারপর সব যখন ভুলতে বসেছে, সেসময়ে হঠাৎ করেই আবার দেখা দিল রহস্যময়ী ওই মেয়ে। আসলে তার নাম মেরি বার্নলে নয়।

ওই নাম নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেশি দূর এগোতে পারেনি লুদভিগ। জেনিসা ব্রোসেটের ক্রেডিট কার্ড সঠিক। কিন্তু খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল না ওই নামের কাউকে। ক্রেডিট কার্ড কোম্পানিকে ইণ্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়ায় পরিত্যক্ত এক ওয়্যারহাউসের ঠিকানা দিয়েছে মেয়েটা।

বেকারের মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে একের পর এক প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে লুদভিগ, যেগুলোর কোন জবাব নেই। মেরি বার্নলের সঙ্গে পার্টি থেকে বেরিয়ে লেকে ডুবে লোকটার মৃত্যুই একমাত্র রহস্য নয়। জোসেফ গ্রাফহসলারের মৃত্যুটাও খুবই রহস্যময়। সে ভাল করেই চিনত বেকারকে। দু’জনই মিউযিশিয়ান, পিয়ানো বাজাত। দু’জনই মারা গেছে একই রাতে। মৃত্যুস্থানের মাঝে ব্যবধান ছিল মাত্র দুই কিলোমিটার। বেকারের ঘড়িটা লেকের পানিতে তলিয়ে গিয়েই বন্ধ হয়। ফলে পরিষ্কার জানা গেছে, ঠিক কোন সময়ে মারা গেছে লোকটা। এরপর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্টুডেন্টস্ হোস্টেলে নিজের ঘরে পাওয়া গেল গ্রাফহসলারের ঝুলন্ত লাশ। পোস্টমর্টেম অনুযায়ী, মাত্র দু’ঘণ্টার ব্যবধানে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। প্রথমে মরল অ্যালেক বেকার, তারপর জোসেফ ছেলেটা।

মৃত্যুর আগে কোন চিঠি লেখেনি জোসেফ গ্রাফহসলার। ফলে জানা গেল না, কী দুঃখে আত্মহত্যা করল সে। তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে লুদভিগ। মানসিক ডিপ্রেশন বা এ জাতীয় কোন রোগবালাই নেই গ্রাফহসলারের বংশে। বেশিরভাগ ছাত্রের মতই পয়সা ছিল না তার। তবে ঋণগ্রস্তও ছিল না। আবেগজনিত কোন সমস্যাও ছিল না তার। মনেপ্রাণে ভালবাসত এক মেয়েকে। সে-মেয়েও কম করেনি ওর জন্যে। স্যালযবার্গে একটা স্কুলে মিউযিক টিচারের চাকরি পেয়েছিল জোসেফ। পরের গ্রীষ্মেই কাজে যোগ দেবার কথা ছিল। ততদিনে শেষ হতো ভিয়েনা কনসার্ভেটয়েরে তার পড়াশোনা। সহজ ও সুন্দর ছিল ছেলেটার জীবন। মাত্র কয়েক মাস পর বিয়ে করত পছন্দের মেয়েটাকে। অথচ, ঝুলে পড়ল সে গলায় দড়ি বেঁধে।

কাকতালীয় বহু কিছুই ঘটে মানুষের জীবনে। তবে আরেক মিউযিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে বলে সেই দুঃখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে না কেউ। গত বেশ কয়েক মাস এসব নিয়ে ভাবছে লুদভিগ কেইলম্যান। বাটারটোস্ট খাওয়ার সময় যেমন ছোট কিছু গুঁড়ো দাড়িতে আটকে যায়, সেভাবেই ওর মগজে গুঁজে গেছে গোটা ব্যাপারটা। জোসেফের রুমে অপেরার টিকেট পাওয়ায় ব্যাপারটা আরও জটিল বলে মনে হয়েছে তার কাছে।

কুয়াশা ভরা লেকের দিকে তাকাল লুদভিগ। ওটার ওপর যদিও বরফের স্তর এখনও পাতলা, আগামী কয়েক সপ্তাহের ভেতর অনায়াসে ওখানে দাঁড়াতে পারবে যে-কেউ। আগেও এই লেকে অনেককে স্কেট করতে দেখেছে সে। কিন্তু অ্যালেক বেকার যে ওখানে স্কেটিং করতে যায়নি, এ ব্যাপারে সে শত ভাগ নিশ্চিত। আশপাশে কোথাও সে রকম কোনও আলামত পাওয়া যায়নি।

লুদভিগ ভাবতে চাইল, বরফ ভেঙে লেকে পড়লে কত কষ্ট পেয়ে একজন মানুষকে মরতে হবে। ভীষণ শীতে বন্ধ হবে হৃৎপিণ্ড। স্রোত টেনে নেবে পুরু বরফের নিচে। স্লেজ হ্যামার দিয়ে পিটিয়েও উঠে আসতে পারবে না কেউ। অথচ, মাত্র ক’ইঞ্চি ওপরেই তাজা অক্সিজেন ভরা বাতাস!

পুলিশি জীবনে মানুষের নানান ধরনের মৃত্যু দেখেছে লুদভিগ। অ্যালেক বেকারের লাশ ছিল নীলচে। জমাট বাঁধা মুখে খুব যন্ত্রণার ছাপ। আগে কখনও কোনও লাশের চেহারায় এত কষ্টের ছাপ দেখেনি লুদভিগ। কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও চোখ বুজলেই দেখতে পেত ওই লাশ। এখন লেকের তীরে দাঁড়িয়ে মনের আয়নায় আবারও দেখছে সেই একই নির্মম, জলজ্যান্ত দৃশ্য।

হাতঘড়ি দেখল লুদভিগ। বহুক্ষণ হলো এখানে এলেও নতুন কিছুই জানতে পারেনি ও। এবার ফিরতে হবে। আজ সকালে ওর মেয়ের কেয়ারটেকার ব্রিজিটাকে জানিয়ে দিয়েছে, নিজেই স্কুল থেকে আনবে এমিলিকে। খুব দ্রুত বড় হয়ে উঠছে মেয়েটা। দেখতে না দেখতে বয়স হয়ে গেছে সাড়ে নয় বছর। অথচ, কখনও ওকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেনি লুদভিগ।

আজ বাবা স্কুলে গেলে খুব খুশি হবে মেয়েটা। লুদভিগ ঠিক করেছে বিকেলে ওকে নিয়ে স্কেট করবে বা সিনেমায় যাবে। একমাত্র সন্তান এমিলির জন্যে এমন কিছু নেই, যা সে করতে পারে না। ভর্তি করেছে অভিজাত প্রাইভেট স্কুলে। ঠিকভাবে লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে এমিলি। বেহালা শিখছে নাম করা শিক্ষকের কাছে। না চাইতেই পেয়ে যাচ্ছে দামি দামি খেলনা। সবই আছে ওর, তবে ভীষণ মিস করে বাবাকে। এরপর থেকে ক্ষতিটা পুষিয়ে দেবে লুদভিগ।

বরফে জমাট বাঁধা ঘাসে থপথপ শব্দ শুনে ঘুরে তাকাল সার্জেন্ট। ‘আরে, জো! কোথায় গিয়েছিলি তুই?’

পেছনের দু’পায়ে বসে কালো মাথাটা একদিকে কাত করল বিশাল কুকুরটা। শক্তিশালী চোয়ালে কামড়ে ধরেছে রাবারের বল। অনেক বয়স হয়েছে রটওয়েইলার কুকুরটার। তবে ঠিক সময়ে ওষুধপত্র দিয়ে ওকে সুস্থ রেখেছে লুদভিগ।

‘তো দে,’ নরম সুরে বলল সে। ‘তবে এবারই শেষবার। এরপর সোজা শহরে ফিরব। এখানে আসাই উচিত হয়নি।’

লুদভিগের হাতে আস্তে করে বলটা দিল রটওয়েইলার। লালা ও কাদায় ভরে গেছে রাবারের বল। ‘তোর কপাল খুব ভাল, বুঝলি?’ কুকুরটাকে বলল লুদভিগ, ‘তোর মত সারাদিন খেলতে পারলে বেঁচে যেতাম আমিও। তুই যদি জানতি কোন্ আবর্জনার ভেতর পড়ে থাকি, কান্না আসত তোর আমার জন্যে।’ ছুঁড়ে দূরের ঘাসে বলটা ফেলল লুদভিগ। তীরবেগে ওদিকে ছুটল কুকুরটা। পেছনে ছিটিয়ে দিচ্ছে বরফমাখা কাদা।

জায়গামত পৌঁছে ফোঁসফোঁস করে শ্বাস ফেলতে ফেলতে ছোট ছোট ঝোপঝাড়ের ভেতর বল খুঁজতে লাগল রট- ওয়েইলার। খুব দ্বিধা ওটার নড়াচড়ায়। মাথা ঘুরিয়ে দেখছে এদিক-ওদিক।

‘খবরদার, বলবি না এই বলটাও হারিয়ে ফেলেছিস,’ হতাশ হয়ে বলল লুদভিগ। নিজেই নলখাগড়ার কাছে পৌঁছে বরফে জমাট ঘাস আর কাদার ভেতর খুঁজতে লাগল রাবারের নীল বল। ওটা খুঁজতে গিয়ে চারপাশের নলখাগড়া মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে কুকুরটা। ‘তুই চালিয়ে যা, জো,’ বিড়বিড় করল লুদভিগ। ‘তোর তো জানা নেই একেকটা বলের দাম আট ইউরো! এখন পর্যন্ত অন্তত দশটা বল তুই হারিয়েছিস। গাধা কোথাকার!’

কাদায় সিগারেটের শেষাংশ দেখে লুদভিগ ভাবল, এসব নোংরা ড্রাগখোরদের কাণ্ড। যেখানে যাবে, সর্বনাশ করে ছাড়বে সুন্দর প্রকৃতির।

আরেকটু ঝুঁকে একটা বাঁট তুলল সে।

তবে ওটা সিগারেটের শেষাংশ নয়।

খরচ করা কার্ট্রিজের খোসা। জায়গায় জায়গায় সবুজ হয়ে গেছে পিতল। জংধরা প্রাইমারের ঠিক মাঝে ফায়ারিং পিনের দাগ। গুলির রিমের নিচে খুদে অক্ষরে লেখা: নাইন .এম. এম. প্যারাবেলাম- সিবিসি।

কিন্তু এ জায়গায় নাইন এম. এম. পিস্তল দিয়ে গুলি করেছে কে? –ভাবল লুদভিগ। ফিরে এসে ওর দিকে আশা নিয়ে চেয়ে আছে জো। আবারও ঝুঁকে বরফ ভরা নলখাগড়ার ভেতর থেকে গুলির আরেকটা খোসা তুলল লুদভিগ। এটাও আগেরটার মতই। এরপর হলদে শেকড়গুলোর ভেতর পেল আরও দুটো। খুঁজতে শুরু করে ঘাসের মাঝে পেল বেশ ক’টা। বলপয়েন্ট কলম দিয়ে খুঁচিয়ে তুলছে বরফের ভেতর থেকে। তিন মিনিটে জড় হলো একুশটা বুলেটের খোসা। লুদভিগের সামনে জমে গেছে ছোট একটা স্তূপ।

একুশটা গুলির খোসা মুখের কথা নয়। গুলি করা হয়েছে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। সেটা করেছে মাত্র একজন লোক। বোধহয় সাধারণ পিস্তল নয়। অথবা খরচ করেছে একাধিক ম্যাগাযিন। আবার এমনও হতে পারে, ব্রাশ ফায়ার করা হয়েছে অটোমেটিক ওয়েপন থেকে। অস্ত্রটা সাবমেশিন গান হলে গুলি করতে সময় লেগেছে বড়জোর দেড় সেকেণ্ড। ব্যাপারটা খুব রহস্যময় ও জটিল মনে হচ্ছে ওর কাছে।

কলম দিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক এক করে প্রতিটা খোল দেখল সে। বুলেটের নির্দিষ্ট জায়গায় ম্যাগাযিনের স্প্রিং চেপে বসার দাগ। ইজেক্টার পোর্ট থেকে ছিটকে যাওয়ার সময় খোলের গায়ে লেগেছে হালকা চিহ্ন। এত দিন পর আর করডাইটের গন্ধ নেই খোসার ভেতর। এক এক করে একুশটা গুলির খোসা ছোট এক প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখল লুদভিগ। জ্যাকেটের পকেটে চলে গেল ব্যাগটা। ভুলে গেছে রাবারের বলের কথা। বুঝে নিল ঠিক কোথা থেকে গুলি করা হলে এখানে এসে পড়বে খোসাগুলো।

আশপাশে কেউ নেই। হাত বাড়িয়ে কুকুরটার মাথায় আদরের চাপড় দিল লুদভিগ। বিড়বিড় করে বলল, ‘ঠিক আছে, চল, জো, আমাদের কাজ এখানে শেষ।’ পাশাপাশি হেঁটে গাড়ির সামনে পৌঁছুল ওরা। হ্যাচ খুলতেই লাফিয়ে গাড়ির ভেতর ঢুকল জো। আধহাত জিভ বের করে হাঁফাতে লাগল। ভেতরে হুইল আর্চে ঝুলছে স্পেয়ার চাকা। ওটা খুলে নিয়ে লেকের তীরে পৌছে গেল লুদভিগ।

আরও ঘন হয়েছে কুয়াশা। বরফে জমাট লেকের ওপর দিয়ে স্পেয়ার চাকা গড়িয়ে দিল সে। ধূসর বরফের নিচে আবছাভাবে দেখছে কালো গভীর জল। বেশ কয়েক গজ গিয়ে কাত হয়ে পড়ল চাকা। অনায়াসেই ওটার ওজন নিচ্ছে পাতলা বরফের মেঝে।

হোলস্টার থেকে সিগ সাওয়ার পি২২৬ পিস্তলটা নিয়ে পড়ে থাকা চাকার আশপাশে গুলি ছুঁড়ল, লুদভিগ। কানে ঝিঁঝি ধরিয়ে দিয়েছে ‘নাইন এম. এম. বুলেটের গর্জন লেকের উল্টো দিকের তীর থেকে এল প্রতিধ্বনি। দ্বিতীয়বারের মত গুলি ছুঁড়ল লুদভিগ। তারপর আবারও। কী ঘটে দেখার জন্যে অপেক্ষা করছে সে।

ফাটল ধরেছে বরফের মেঝেতে। তীর থেকে পনেরো গজ দূরে বগবগ আওয়াজে পিছলে লেকে নেমে গেল ভারী চাকা।

দামি মার্সিডিযের চাকার কথা না ভেবে একজন মানুষের ওজনের কথা ভাবছে কেইলম্যান। বরফ আরও পুরু হলে চির ধরাতে লাগবে আরও ওজন। কিন্তু কতটা ওজন চাই লেকের বরফের মেঝে ফাটিয়ে দিতে? সেজন্যে কি দরকার ছিল একুশটা নাইন এম. এম. বুলেট? একটু নড়লেই পকেটে মৃদু আওয়াজ তুলছে খরচ হওয়া একুশটা গুলির খোসা। এখন লুদভিগের মনে হচ্ছে, গত বছর জানুয়ারি থেকেই ওগুলো পড়ে আছে লেকের তীরে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *