২
গ্রীষ্মের সকাল, এর মধ্যেই চড়া রোদ উঠে খাঁ খাঁ করছে। তবু তারই মধ্যে পুরো জায়গাটায় অন্তত হাজারখানেক লোকের সমাগম হয়েছে। গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা একমাত্র নদীর পাশেই এই শ্মশান, তবে এখন দূর থেকে শ্মশান না ভেবে কোনো আঞ্চলিক মেলা বলে ভ্রম হতে পারে। ঢাক, ঢোল, কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজে পাশের জনের কথাও ভালোভাবে শোনা যাচ্ছে না। তার ওপর অগুরু জাতীয় এক উৎকট উগ্র গন্ধযুক্ত সাদা ধোঁয়ায় চোখ জ্বলছে, দেখাও যাচ্ছে না বিশেষ। তার মধ্যে মন্ত্রোচ্চারণ চলছে, একাধিক ব্রাহ্মণ বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি করে ওর স্বামীর স্বর্গারোহণের পথকে সুগম করে তুলছেন।
সঙ্গে ওরও।
ওকে সিদ্ধি জাতীয় কিছু একটা বেটে খাইয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। ফলে, মাথাটা ঝিমঝিম করছিল বেশ, চোখ ঢুলে আসছিল অনবরত, সামনের মাটিটা হঠাৎ যেন উঁচু পাহাড়ের মতো ঠেকছিল। চোখটা জ্বালাও করছে বেশ।
এখানে আসার আগে ওর মাথায় অন্তত পাঁচ থেকে সাত ঘড়া জল ঢালা হয়েছে যথেচ্ছভাবে, সেই জল মোছানোর তাগিদও অনুভব করেনি কেউ। তবে তাতে এই গরমের মধ্যে ওর বেশ ঠান্ডাই লাগছে, শিরশিরে একটা কাঁপুনিও হচ্ছে মাঝে মাঝেই।
ওর এগারো বছর তিন মাসের অক্ষতযোনি দেহটায় লম্বা চুল থেকে জলের বড়ো বড়ো ফোঁটা গড়িয়ে পড়ে ভিজিয়ে দিচ্ছিল। কপাল থেকে নেমে আসা একটা জলের ধারাকে হাত দিয়ে মুছতে যেতেই ওর গোটা হাত সিঁদুরে মাখামাখি হয়ে গেল।
ওর মনে পড়ল স্নানের পর ওর সারা মুখে সিঁদুর লেপে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামের প্রধান পুরোহিতের কথাটা আবার মনে পড়ল- মাথায় সিঁদুর নিয়ে কুলীন স্বামীর চিতায় সহমৃতা হওয়া ভীষণ পুণ্যের কাজ।
তার মধ্যেই ও বেশ বুঝতে পারছিল, শরীরের ভেতরে আজ সকালেই প্রথম আবির্ভূত হওয়া ঝর্ণাধারাটা অন্তঃসলিলা ফল্গুর মতোই রজঃস্রাবের প্রথম রক্ত নিয়ে বয়ে চলেছে ওর শরীরের নিম্নাঙ্গে। মা-কে মৃদু গলায় জানিয়েছিল ও ঘটনাটা।
শুনে মায়ের বিলাপ চতুর্গুণ বেড়ে গিয়েছিল।
প্রকৃতির কী অদ্ভুত পরিহাস! যে মেয়ে এগারো বছর বয়সে বিধবা হল, যে মেয়ে কখনো স্বামীসঙ্গই পেল না, যাকে আর কয়েক ঘণ্টা বাদে ষাটোর্ধ্ব কুলীন শিরোমণি স্বামীর সঙ্গে একই চিতায় উঠে সহমৃতা হয়ে এই ধরাধাম পরিত্যাগ করতে হবে, তাকেও কেন ঋতুমতী হতে হয়?
চোখ জুড়ে আসছিল, তবু অনেক কষ্টে সামনে চেয়ে দেখল কিছু প্রতিবেশিনী উচ্চৈঃস্বরে কেঁদে চলেছেন, তারই মধ্যে সমান্তরাল ক্ষিপ্রতায় হাতে হাতে এগিয়ে দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। তাঁদের বাড়িতে ছোটো ছেলে-মেয়েগুলো হয়তো এখনও খাবার খায়নি, কিন্তু তাতে খুব একটা ভ্রূক্ষেপ নেই কারুর। সতী হতে দেখাটাও মহাপুণ্যের কাজ, আর সেই পুণ্যের ভাগীদার হতে সবাই চায়।
ওর স্বামীর চিতা সাজানো হচ্ছে। সঙ্গে ওরও।
এতদূর থেকে ও শুধু চিতার কাঠের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে থাকা ওর স্বামীর পা দুটো দেখতে পাচ্ছিল। সে-দুটো দেখে ওর কোনোরকম ভাবান্তর হল না। স্বামীকে দেখেছেই বা ক-দিন? গোটা অঞ্চলের নানা গ্রামে তাঁর এত স্ত্রী ছিলেন, প্রত্যেকের কাছেই যেতে হত সেবা করার সুযোগ দিতে। নিয়মমাফিক হাজিরা দিতে দিতেই বছর ঘুরে যেত। ও সবচেয়ে ছোটো হওয়ায় কোনোদিন কথা বলেছে বলেও মনে পড়ে না। বিয়ে হয়েও তো ছিল আট মাস হল। স্বামীর স্পর্শও কোনোদিন পায়নি। তবু নিয়ম অনুযায়ী ওকেই সহমৃতা হতে হবে। সর্বকনিষ্ঠা ভার্যাই আদর্শ এই কাজে, এমনিতেই এই বয়সের বিধবা সমাজে সকলের সঙ্গে বসবাস করা খুবই অহিতকর, সকালে বলা গ্রামের প্রধান পুরোহিতের কথা আবার মনে পড়ল ওর। তার ওপর ওর স্বামী নিজেও মৃত্যুর আগে ওকেই সহমৃতা হওয়ার আদেশ দিয়ে গিয়েছেন।
মাদক মেশানো সিদ্ধি খাওয়ানোর জন্যই হোক, বা এই সাদা ধোঁয়ার জন্য, ওর মনে হল খুব শিগগিরই ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলবে।
ওর স্বামীর দেহ সাজানো, তার পাশে ওকে যাতে ঠিকমতো শুইয়ে মৃত স্বামীর সঙ্গে একই চিতানলে জীবন্ত দগ্ধ করে স্বর্গে পাঠানো যায়, সেই নিয়ে লোকজন এতই ব্যস্ত, ওর দিকে আর তেমন কারুর ভ্রূক্ষেপ নেই।
এখন আবার এসব ব্যাপারে বেশি হইচই বা দেরি করা যায় না, ইংরেজ সরকারের পুলিশ খবর পেলেই ছুটে আসে। গ্রামের মান্যগণ্য ব্যক্তিরা গালাগাল দেয়, ম্লেচ্ছের দল, ওরা আর কী বুঝবে সনাতন হিন্দু ধর্মের পাপপুণ্য!
নদীর একদম পাড়েই ও বসে ছিল, ওকে একটু আগে পর্যন্ত ঘিরে থাকা মহিলামহল এখন চিতার দিকে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, ও এমনিই নেতিয়ে পড়ছে, ওকে দেখার তেমন কৌতূহল এখন আর তাদের নেই।
আর দেরি করা ঠিক নয়।
ও সন্তর্পণে উঠে দাঁড়াল, সঙ্গেসঙ্গে ওর মনে হল মাথা এতটাই টলছে, ও পড়ে যাবে মাটিতে। তবু শরীরের সমস্ত শক্তি একত্র করে নিজেকে ঘষটাতে ঘষটাতে ও জলের একদম কিনারায় নিয়ে গেল, তারপর একটা লম্বা নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে হাত-পা বাঁধা মৃতদেহের মতো ফেলে দিল নদীতে।
ওর নিজের শরীরটা যেন আর নিজের নয়, অন্যের হয়ে গেছে।
একটা হালকা ঝুপ করে শব্দ হল, তারপর সব চুপচাপ।
পাকা সাঁতারু সে, নিজেকে তলিয়ে যেতে দিল অনেকটা, তারপর নদীর অনেকটা গভীরে গিয়ে ডুবসাঁতার দিতে শুরু করল। নদীর ওইপারের জঙ্গলে গিয়ে একবার উঠতে পারলেই মুক্তি!
অন্যসময় এই নদী সে এক দমে কতবার এপার ওপার করেছে, ডাকাবুকো হিসেবে ওর নাম ছিল বেশ, কিন্তু আজ এই নেশার ঘোরে যেন মনে হচ্ছিল ওর হৃৎপিণ্ডটা কাঁপতে কাঁপতে গলার ওপরে উঠে আসছে। আর একটু হলেই বেরিয়ে পড়বে সেটা, জ্ঞান হারাবে ও।
অসীম মনের জোর নিয়ে ও ডুবসাঁতার দিতে দিতে অনেকটা এগোতে অবশেষে ওপারের মাটির স্পর্শ পেল। গায়ের কাপড়টা বুনোলতার মতোই পায়ের সঙ্গে জড়িয়ে ধরছে, তলপেটের চিনচিনে ব্যথা নিয়েও ও আস্তে আস্তে হাত দুটোকে পাখির মতো ঝাপটাতে ঝাপটাতে জলের ওপরদিকে উঠে এল, তারপর ডাঙায় উঠতে লাগল বড়ো বড়ো ঘাসগুলোকে ধরে। এদিকটায় কোনো ঘাট নেই। বুনো জঙ্গল, আসেও না কেউ।
অনেক কষ্টে ডাঙায় উঠতেই ওদিকে চোখ পড়ল ওর। জলের তলা থেকে হুলুস্থুলুটা তাহলে ঠিকই শুনেছিল।
ইতিমধ্যেই সবাই টের পেয়ে গেছে ও পালিয়েছে। একটা বড়ো ঝোপের পেছনে লুকিয়ে ও দেখতে পেল পুরোহিতদের মন্ত্রোচ্চারণ বন্ধ হয়ে গেছে, গ্রামের জোয়ানরা চিতা সাজানো থামিয়ে দিয়েছে, এমনকী ডোমেরা অবধি পাগলের মতো খুঁজে চলেছে তাকে। মহিলারা সরু গলায় নিজেদের মধ্যে এত বড়ো সর্বনাশ নিয়ে আলোড়ন তুলেছে।
ভয়ে ওর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে এল, মনে পড়ে গেল মাস ছয়েক আগে ওর একমাত্র প্রাণের সই ফুলরেণুর জ্যান্ত পুড়ে মরার সময়কার আর্তনাদ। চিতায় উঠিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়ার পর ঢাকঢোল সংকীর্তন হাজার গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে কিশোরী বিধবার আর্তচিৎকার কারুর কানে না পৌঁছোয়, তবু ও ঠিক শুনতে পেয়েছিল।
ফুলরেণু মরে যাওয়ার পর ও বাড়ির পেছনে গিয়ে হাতে জ্বলন্ত একটা কাঠকয়লা চেপে ধরে দেখেছিল। সেই পোড়ার মারাত্মক জ্বালা ওর এখনও মনে আছে।
ও আর ভাবতে পারল না।
পরিশ্রান্ত দেহেও ও আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগল যাতে ওকে কেউ দেখতে না পায় এদিকে। একে শরীরে প্রথম ঋতুজনিত ক্লান্তি, তার ওপর নেশার দাপট।
কিন্তু শেষরক্ষা হল না। হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় ওর সামনের ঝোপটা যেন ওকে উপহাস করেই ভীষণভাবে দুলতে লাগল।
আর ওরা ওকে দেখতে পেয়ে গেল।
উন্মত্ত হিংস্র পশুর মতো ওপাশের সব লোকগুলো নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতরে এপারে আসতে লাগল। কুলীন স্বামীর সঙ্গে কত পুণ্য করলে একইসঙ্গে স্বর্গে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যায়, আর সেখানে এত বড়ো প্রতারণা! এ তো কুলটা পতিতার চেয়েও সাংঘাতিক!
ধর্মের বিশ্বস্ত অনুচরগুলো যেন খ্যাপা ষাঁড়ের মতো ছুটে আসতে লাগল এদিকে।
কয়েক মুহূর্তের জন্য ও দিশেহারা হয়ে গেল, তারপর আবার ঝাঁপ দিল নদীতে। স্রোতের চেয়েও বেশি গতিবেগে ও হিসেব করতে লাগল, ওরা আসছে আড়াআড়ি সাঁতার কেটে, তার আগেই নদীর পাড় বরাবর সাঁতার কেটে ওঁকে পৌঁছোতে হবে অনেক দূর।
জলের মধ্যে হাত-পা ঝাপটাতে ঝাপটাতে ওর যেন নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগল।
আর ঠিক এই সময়ে উজ্জয়িনীর ঘুমটা ভেঙে গেল।
এই নিয়ে অন্তত তিনশোবার দেখা স্বপ্নটা ভেঙে ধড়মড় করে বিছানার ওপর উঠে বসল উজ্জয়িনী। আগে ছোটোবেলায় যখন এই একই স্বপ্ন বার বার দেখে যেত, ভয় পেয়ে কেঁদে উঠত, বাকি রাতটা আর ঘুমোতে পারত না। কিন্তু এখন সয়ে গেছে। বড়ো হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছুই সওয়াতে হয়েছে আস্তে আস্তে, তার মধ্যে এটাও একটা।
উজ্জয়িনী একটা সিগারেট ধরিয়ে ওর এক কামরার ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে এল। এখন ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি হলেও ঠান্ডা এই বছর শিলং শহরে খুব একটা পড়েনি। পাহাড়ি জায়গার উঁচুনীচু ঢাল পেরিয়ে ওর দৃষ্টি অনেক দূরে চলে গেল। সামনের সুবিশাল গলফলিঙ্কের মাঠটায় চাঁদের আলো পড়ে যেন মনে হচ্ছে আফ্রিকার মরুভূমির মাঝে কোনো মরূদ্যানে এসে পড়েছে ও। এখান থেকে ওর কলেজ হেঁটে প্রায় কুড়ি মিনিট লাগলেও এখন কলেজের মেন বিল্ডিং-এর চূড়াটা এখান থেকে বেশ দেখতে পেল ও। মোবাইলের ঘড়িতে দুটো দশ। ও বিশেষ বিচলিত হল না।
প্রতিদিনই মোটামুটি ও রাত দুটোয় ঘুম থেকে ওঠে।
এমনিতেই ইঞ্জিনিয়ারিং হোস্টেল বা মেসের কালচার হল রাত করে ঘুমিয়ে দেরি করে দিন শুরু করা, কিন্তু উজ্জয়িনীর ক্ষেত্রে দিন শুরু হয় অনেক তাড়াতাড়ি। অবশ্য ওর জীবনে সব কিছুই একটু বেশিই তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে।
সেইজন্যই বোধ হয় মাত্র এই আঠেরো বছর বয়সেই জীবনটা ওর এমন ঘেঁটে গেল।
ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে ও একটা ফোন করল, ‘হ্যালো!’
ওপাশ থেকে ঘুম জড়ানো কিন্তু উদবিগ্ন একটা কণ্ঠ শোনা গেল, ‘হুঁ, বলো। কালই তো পঁচিশ তারিখ। সব গোছগাছ হয়ে গেছে?’
উজ্জয়িনী উত্তর দিল না। দূরে শিলং শহরের প্রান্তে কালো জমাট বাঁধা পাহাড়গুলোর দিকে তাকিয়ে আরেকটা পা দিয়ে পায়ের নখ খুঁটতে লাগল, চাপা গলায় বেশ কিছুক্ষণ বাদে বলল, ‘আজ আবার ওই স্বপ্নটা দেখলাম।’
ওপাশের কণ্ঠ বলল, ‘এবারে বোধ হয় অনেকদিন পর দেখলে, না? রাতে শোয়ার আগে ওষুধটা খেতে ভুলে গিয়েছিলে কি?’
উজ্জয়িনী বলল, ‘হ্যাঁ। প্রায় ছ-মাস বাদে।’ তারপর কিছুটা বিরক্ত হয়ে একটু জোরে বলল, ‘না, ওষুধ খেতে ভুলিনি। আমি কিছু ভুলি না।’
কণ্ঠ বলল, ‘বেশ। কাল সকালে ক-টায় ফ্লাইট? কখন আসবে?’
শেষ শব্দ দুটো কি একটু বেশি আকুল শোনাল উজ্জয়িনীর কানে?
উজ্জয়িনী ফোন রেখে দিল। মনে মনে ও প্রাণপণে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছিল, তবু জীবনের প্রথম পুরুষকণ্ঠের এমন আহ্বানে যেন ভেতরে ভেতরে কেঁপে উঠল।
ও জানতেও পারল না ওপাশে থাকা ওর ভালোবাসার মানুষটা ততক্ষণে ফোনে কথা বলছে অন্য আরেকজনের সঙ্গে, ‘ঠিক সময়েই আসছে। এয়ারপোর্ট থেকেই কি তুলে নেব?’
‘খবরদার না। এয়ারপোর্টে ওর বাবার লোকজন থাকবে। বাড়ি যাক, তারপর। সতর্ক থেকো, এই খুচরো ঝামেলার জন্য কাল কোনো গণ্ডগোল হলে কিন্তু পৃথিবীর যে প্রান্তেই লুকোও না কেন, বস তোমার পেট ফুটো করে ভেতরে অ্যাসিড ঢেলে দেবে।’
‘না না, ঠিক আছে। এ তো নিজেই বাড়ি ছাড়ার জন্য পা তুলে আছে, আমাকে আলাদা করে কিছু করতে হবে না। শুধু অতটা রাস্তা নিয়ে যাওয়ার সময়টা একটু কেয়ারফুল থাকতে হবে।’
‘আসল কাজ এগোচ্ছে তো?’
‘হ্যাঁ। ঠিকমতো চলছে।’
‘গুড। আর হ্যাঁ, মারধর বা রেপ-টেপ করতে যাবে না। বডিতে যেন কোনো ইনজুরি না থাকে, পরে ওর বাবা বেগড়বাঁই করলে একদম কেটে যমুনায় ভাসিয়ে দেবে।’
‘ওকে। আর আমার পেমেন্টটা?’
‘আসল কাজটা করো, ঠিক সময়ে পেয়ে যাবে।’