• Skip to main content
  • Skip to header right navigation
  • Skip to site footer

Bangla Library

Read Bengali Books Online (বাংলা বই পড়ুন)

  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • নতুন সব বই
  • লেখক
  • সিরিজ
  • বইয়ের ধরণ
  • পুরানো সব ক্যাটাগরি
  • My Account →
  • বাংলা ডিকশনারি
  • বাংলা কৌতুক
  • বাংলা লিরিক
  • বাংলা রেসিপি
  • হেলথ টিপস এন্ড নিউজ

বাংলা নতুন/পুরাতন বইয়ের পিডিএফ ডাউনলোড/সন্ধান করতে আমাদের বাংলা পিফিএফ সাইটে ক্লিক করুন।

Bangla PDF

ঋগ্বেদ ০৯।০৯৬

লাইব্রেরি » বাংলা বেদ » ঋগ্বেদ সংহিতা (রমেশচন্দ্র দত্ত) » ০৯. নবম মণ্ডল » ঋগ্বেদ ০৯।০৯৬

ঋগ্বেদ ০৯।০৯৬
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ৯৬
পবমান সোম দেবতা। প্রতর্দন ঋষি।

১। এই দেখ সোম বীরপুরুষ ও সেনাপতির ন্যায় বিপক্ষদিগের গোধন হরণ করিবার জন্য রথের অগ্রে অগ্রে যাইতেছেন, ইহাক সেনা ইহাকে দেখিয়া উৎসাহিত হইতেছে। যজ্ঞকর্তা ব্যক্তিরা ইহার সখা, তাহারা ইন্দ্রেরআহ্বান করী, ইনি তাহাদিগের সেই কাৰ্য্য সুসম্পন্ন করেন, যে সকল দুগ্ধ আদি বস্তু দেখিয়া ইন্দ্র শীঘ্র আসিবেন, ইনি সেই সকল বস্তুর সহিত মিশ্রিত হইতেছেন।

২। অঙ্গুলিগণ ইহার হরিতবর্ণ অংশু নিষ্পীড়িত করিতেছ। ইহার নিষ্পীড়িত রস পবিত্রের সর্বব্যাপী হইয়াও সংলগ্ন থাকিতেছে না, (অর্থাৎ অক্লেশে ছাঁকা হইতেছে)। সোম সেই পৰিত্ৰস্বরূপ রথে আরোহণ করিতেছেন। সেই রথে আরোহণপূর্বক সুপণ্ডিত সোম ইন্দ্রের সহিত স্তুতিবাক্যের দিকে যাইতেছেন(১)।

৩। হে সোম! এই যজ্ঞ দেবতাদিগের দ্বারা আকীর্ণ হইয়াছে, ইন্দ্র তোমাকে পান করিবেন, যাহাতে প্রচুররূপে তোমাকে তাহাৱা পান করেন, তদর্থে তুমি দীপ্যমান মূর্তিতে ক্ষরিত হও। তুমি জল সৃষ্টি কর, দ্যুলোক ও ভূলোক অভিষিক্ত কর। আকাশ হইতে আসিয়া শোধিত হও এবং আমাদিগের উপকার কর।

৪। হে ক্ষরণশীল সোম! যাহাতে আমরা পরাজয় বা নিধন না হই, যাহাতে আমাদিগের মঙ্গল এবং সকল বিষয়ের বিশিষ্ট বৃদ্ধি হয়, তুমি তদর্থে ক্ষরিত হও। এই সকল বন্ধুবৰ্গ তাহাই কামনা করিতেছেন। আমিও তাহাই কামনা করিতেছি।

৫। সোম ক্ষরিত হইতেছেন। ইহা হইতেই স্তুতিবাক্য সমূহের উৎপত্তি ইহা হইতেই দ্যুলোক ও ভূলোক ও অগ্নি ও সূৰ্য্য ও ইন্দ্র ও বিষ্ণুর উৎপত্তি।

৬। এই সোম শব্দ করিতে করিতে পবিত্রকে অতিক্রম করিতেছেন, ইনি দেবতাদিগের মধ্যে ব্রহ্মা, ইনি কবিদিগের শব্দবিন্যাস স্ফূৰ্তি করিয়া দেন, ইনি মেধাবীদিগের মধ্যে ঋষি তুল্য, ইনি বনচারী পশুদিগের মধ্যে মহিষবৎ; গৃধ্রদিগের পক্ষে পক্ষিরাজ স্বরূপ, অস্ত্রের মধ্যে স্বধিতি নামক সর্বপ্রধান অস্ত্র।

৭। যেরূপ সমুদ্র তরঙ্গকে প্রেরণ করে, তদ্রুপ সোম ক্ষরিত হইতে হইতে পুরোহিত মুখোচ্চারিত অতি চমৎকার স্তুতিবাক্য প্রেরণ করিতেছেন, ইনি অন্তর্যামী; ইনি দুর্নিবার বীর্য ধারণপূর্বক শব্দ করিতে করিতে বিপক্ষের গোধন লইবার উদ্দেশে শত্রু সৈন্যে প্রবেশ করিতেছেন।

৮। হে সোম! তুমি মত্ততার উৎপাদক; তোমার সহ্স্রধারা ক্ষরিতেছে; তুমি শত্রুদিগকে সংহার কর। তোমার নিকটে কেহ যাইতে পারে না; এতাদৃশ তুমি বিপক্ষ সৈন্যের দিকে গমন কর। হে ক্ষরণশীল সোম! তুমি পন্ডিত;তুমি গাভীদিগকে প্রেরণ করিতে করিতে তোমার অংশুর তরঙ্গ ইন্দ্রের প্রতি প্রেরণ কর।

৯। সোম প্রীতি উৎপাদন করেন। তিনি চমৎকার; দেবতারা তাহার নিকটে যান; তিনি ইন্দ্রকে মত্ত করিবার জন্য সহস্রধারা ধারণপূর্বক মহাবেগে যুদ্ধস্থলগামী ঘোটকের ন্যায় যাইতেছেন।

১০। সেই সোম আমাদিগের পূর্বপুরুষদিগের উপার্জিত বস্তু; তাহার অশেষ ধন আছে; তিনি জন্ম মাত্র জলে শোধিত হয়েন; প্রস্তরফলকে তাহাকে নিষ্পীড়িত করে। তিনি হিংসকদিগের হস্ত হইতে রক্ষা করেন। তিনি তাবৎ প্রাণীর রাজা। তিনি শোধিত হইতে হইতে যজ্ঞানুষ্ঠানের পদ্ধতি দেখাইয়া দিতেছেন।

১১। হে ক্ষরণশীল সোম! আমাদিগের সুবোধ পূর্বপুরুষেরা তোমাকে আশ্রয় করিয়া পুণ্য কাৰ্যের অনুষ্ঠান করিতেন। তুমি দুর্ধর্ষভাবে বিপক্ষদিগকে হিংসা করিতে করিতে রাক্ষসদিগকে তাড়াইয়া দেও, আমাদিগকে ঘোটক ও সৈন্য ও ধন প্রদান কর।

১২। যেরূপ তুমি মনুর জন্য ক্ষরিত হইয়াছিলে, অন্ন দিয়াছিলে, বিপক্ষ সংহার করিয়াছিলে, অশেষ প্রকার কাম্যবস্তু দিয়াছিলে এবং হোমের দ্রব্য পাইয়াছিলে; তদ্রুপ এখন ক্ষরিত হও; ধন দান কর; ইন্দ্রকে আশ্রয় কর; যুদ্ধে অস্ত্রসমূহ উৎপাদন কর।

১৩। হে সোম! তুমি যজ্ঞবান, অর্থাৎ যজ্ঞ তোমারই; তোমাতে মধু আছে; তুমি জলের বস্ত্র পরিধান করিয়া মেষলোমময় উন্নত আধারে ক্ষরিত হও। তাহার নিম্নস্থিত ঘৃতযুক্ত কলসে যাইয়া উপবেশন কর, ইন্দ্রের যত পানীয়বস্তু আছে, তুমি সর্বাপেক্ষা আনন্দকর ও মত্ততাজনক।

১৪। হে সোম! তুমি আকাশ হইতে বৃষ্টির আকারে সহস্রধারায় ক্ষরিত হও; অশেষ বস্তু আহরণ কর; অন্ন বিতরণ কর। এই দেবতাবর্গ সমাকীর্ণ যজ্ঞ মধ্যে তুমি ধারায় ধারায় কলসে গমন কর; দুগ্ধের সহিত মিশ্রিত হইয়াআমাদিগের পরমায়ু বর্ধন কর।

১৫। এই সেই সোম স্তবের সহিত ক্ষরিত হইতেছেন; বেগবান ঘোটকের ন্যায় বিপক্ষদিগকে ছাড়াইয়া যাইতেছেন। গাভীর অতি চমৎকার দুগ্ধের ন্যায় ইহা আস্বাদন; প্রশস্ত পথের ন্যায় ইনি সুবিধা করিয়া দেন; সুশিক্ষিত ও সুবশীভূত অশ্বের ন্যায় ইনি কার্যোপযোগী হয়েন।

১৬। হে সোম! তোমার যুদ্ধাস্ত্র অতি সুন্দর। নিষ্পীড়ন করিয়া তোমাকে নিষ্পীড়িত করিতেছেন; তোমার সেই যে মনোহর মূর্তি, যাহা আচ্ছাদিত আছে, তাহা ধারণ কর। যখন আমাদিগের অন্ন কামনা হয়, তখন ঘোটকের ন্যায় তুমি অন্ন আহরণ করিয়া দাও। হে দেব সোম! তুমি পরমায়ু বৃদ্ধি কর; গাভী আহরণ করিয়া দাও।

১৭। হরিতবর্ণ সোম যখন বালকের ন্যায় জন্ম গ্রহণ করেন, তখন দেবতারা ইহার গাত্র মার্জনা করিয়া দেন, ইহাকে সপ্ত প্রকার অলঙ্কারে সুশোভিত করেন। পরে বুদ্ধিমান সোম কবিতা প্রাপ্ত হইয়া নিজে কবি হইয়া শব্দ করিতে করিতে পবিত্র অতিক্রম করেন।

১৮। সোমের মন ঋষি অর্থাৎ সকলি দেখিতে পায়; সোম সকলি দেখেন, সহস্র প্রকার তাহার স্তব; কবিদিগের পদ স্খলিত হইলেই তিনি বলিয়া দেন। তিনি প্রকাণ্ড; তিনি তৃতীয় লোক অর্থাৎ স্বর্গধামে যাইতে উদ্যত হইয়াবিরাট অর্থাৎ অতি দীপ্তিশালী ইন্দ্রের সঙ্গে দীপ্তি পাইতেছেন; তাহাকে সকলে স্তব করিতেছে।

১৯। শ্যেনপক্ষীর ন্যায় সোম পানপাত্রে বসিতেছেন(২); তিনি এক পাত্র হইতে পাত্ৰান্তরে বিচরণ করিতেছেন; তাঁহার সাহায্যে গোধনের লাভ হয়, তিনি দ্রবময়; তিনি যুদ্ধের অস্ত্র ধারণ করেন । তিনি জলে তরঙ্গে মিশিয়াযাইতেছেন, তিনি প্রকাণ্ড হইয়া তাহার চতুর্থ স্থান কলসের মধ্যে যাইতেছেন।

২০। সোম সুন্দর পুরুষের ন্যায় আপনার শরীর পরিষ্কার করিতেছেন, তিনি ঘোটকের ন্যায় ধন দান করিতে ধাবিত হইতেছেন। যেমন বৃষ যূথের দিকে যায়, সেইরূপ তিনি কলসে যাইতেছেন; তিনি শব্দ করিতে করিতে নিষ্পীড়নাপযোগী প্রস্তর ফলকদ্বয়ে বিসারিত হইতেছেন।

২১। হে সোম! প্রধান ব্যক্তিরা তোমাকে প্রস্তুত করিয়াছেন, তুমি ক্ষরিত হও। শব্দ করিতে করিতে মেষলোমের সর্ব ভাগে বিস্তারিত হও, দুই ফলকের উপর ক্রীড়া করিতে করিতে কলসে প্রবেশ কর। তোমার আনন্দকররস শোধিত হইয়া ইন্দ্রকে মত্ত করুক।

২২। ইহার বৃহৎ বৃহৎ ধারাগুলি চতুর্দিকে বিস্তৃত হইল। দুগ্ধের সহিত মিলিত হইয়া ইনি ভিন্ন ভিন্ন কলসে প্রবেশ করিলেন। ইনি গান করিতে পটু, অতএব গান করিতে করিতে এই পণ্ডিত আসিতেছেন, লম্পট কোন বন্ধুব্যক্তির প্রণয়িনীর দিকে যেরূপ যায়, সেইরূপ আগ্রহের সহিত আসিতেছেন।

২৩। হে ক্ষরণশীল! শত্ৰুদিগকে সংহার করিতে করিতে আসিতেছ। যেরূপ প্রণয়ী প্রণয়িনীর নিকট যায়, সেইরূপে আসিতেছ। তোমাকে চতুর্দিকে স্তব করিতেছে। যেরূপ পক্ষী উড্ডীন হইয়া বনে যাইয়া বসে, তদ্রুপ সোমশোধিত হইতে হইতে কলসে যাইয়া বসিতেছেন।

২৪। হে সোম! ক্ষরণকালে তোমার দীপ্যমান ধারাগুলি রমণীবর্গের ন্যায় চলিতেছে; তাহারা অতি সুন্দর এবং অনায়াসে নিষ্পীড়িত হইয়া আসে। দৈবকৰ্ম্মনিষ্ঠ ব্যক্তিদিগের কলসের মধ্যে আনীত হইয়া সেই উজ্জল সর্বজনকামনীয় সোম জলের মধ্যে শব্দ করিতে লাগিলেন।

————

(১) এই ঋকের সায়ণব্যাখ্যা পরিষ্কার নহে।

(২) শ্যেনপক্ষীর সহিত তুলনা।

Category: ০৯. নবম মণ্ডল
পূর্ববর্তী:
« ঋগ্বেদ ০৯।০৯৫
পরবর্তী:
ঋগ্বেদ ০৯।০৯৭ »

Reader Interactions

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

বাংলা লাইব্রেরি : উল্লেখযোগ্য বিভাগসমূহ

লেখক ও রচনা

অনুবাদ সাহিত্য

সেবা প্রকাশনী

ডিকশনারি

কৌতু্ক / জোকস

লিরিক

রেসিপি

কোরআন

হাদিস

ত্রিপিটক

মহাভারত

রামায়ণ

পুরাণ

গীতা

বাইবেল

বিবিধ রচনা

বাংলা ওসিআর

Download Bangla PDF

হেলথ

লাইব্রেরি – ফেসবুক – PDF

top↑