রজনীর শেষ তারা, গোপনে আঁধারে আধো-ঘুমে

মধুর, তোমার শেষ যে না পাই প্রহর হল শেষ

কেমনে রাখিবি তোরা তাঁরে লুকায়ে

কে গো অন্তরতর সে

প্রভাতে বিমল আনন্দে বিকশিত কুসুমগন্ধে

কোন্‌ আলোতে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে তুমি ধরায় আস

আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন

কোন্‌ খেলা যে খেলব কখন ভাবি বসে সেই কথাটাই

দিন অবসান হল

হে নিখিলভারধারণ বিশ্ববিধাতা

এই-যে তোমার প্রেম, ওগো হৃদয়হরণ

একি সুগন্ধহিল্লোল বহিল

আমারে কে নিবি ভাই, সঁপিতে চাই আপনারে

পাতার ভেলা ভাসাই নীরে

অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে

শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে

দেবাধিদেব মহাদেব

তোমারি মধুর রূপে ভরেছ ভুবন

একি এ সুন্দর শোভা ! কী মুখ হেরি এ

আমার এই পথ-চাওয়াতেই আনন্দ

আমাদের খেপিয়ে বেড়ায় যে কোথায় লুকিয়ে থাকে রে

আবার যদি ইচ্ছা কর আবার আসি ফিরে

রূপসাগরে ডুব দিয়েছি অরূপরতন আশা করি

দিন ফুরালো হে সংসারী

লহো লহো, তুলে লহো নীরব বীণাখানি

মধুর রূপে বিরাজ হে বিশ্বরাজ

হাওয়া লাগে গানের পালে

চলি গো, চলি গো, যাই গো চলে

পুষ্প দিয়ে মারো যারে চিনল না সে মরণকে

কেন রে এই দুয়ারটুকু পার হতে সংশয়

জরজর প্রাণে, নাথ, বরিষন করো তব প্রেমসুধা

ডাকিল মোরে জাগার সাথি

রহি রহি আনন্দতরঙ্গ জাগে

পথ দিয়ে কে যায় গো চলে

এখন আমার সময় হল

মেঘ বলেছে ‘যাব যাব’, রাত বলেছে ‘যাই

জয় ভৈরব, জয় শঙ্কর

কোথায় তুমি, আমি কোথায়

ওহে সুন্দর, মরি মরি

আমি কান পেতে রই ও আমার আপন হৃদয়গহন-দ্বারে বারে বারে

এই আসা-যাওয়ার খেয়ার কূলে আমার বাড়ি

ওরে পথিক, ওরে প্রেমিক

জানি গো, দিন যাবে এ দিন যাবে

আগুনে হল আগুনময়

সকল গর্ব দূর করি দিব

তোমায় চেয়ে আছি বসে পথের ধারে সুন্দর হে

আমি তারেই খুঁজে বেড়াই যে রয় মনে আমার মনে

আমার আর হবে না দেরি

মোর পথিকেরে বুঝি এনেছ এবার মোর করুণ রঙিন পথ

অল্প লইয়া থাকি, তাই মোর যাহা যায় তাহা যায়

ওরে, আগুন আমার ভাই

এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর

তুমি সুন্দর, যৌবনঘন রসময় তব মূর্তি

সে যে মনের মানুষ, কেন তারে বসিয়ে রাখিস নয়নদ্বারে

পান্থ তুমি, পান্থজনের সখা হে

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা

তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যত দূরে আমি ধাই

দুঃখ যে তোর নয় রে চিরন্তন

সুন্দর বটে তব অঙ্গদখানি তারায় তারায় খচিত

ওই মরণের সাগরপারে চুপে চুপে