1 of 2

অশ্বচরিত – ৪৩

তেতাল্লিশ

মিলছে না, তবু যেন মিলছে। সাদা রংটা বাদামি হতে হতে থেমে গেছে আচমকা। লেজে আর ঘাড়ে রয়েই গেছে সাদা ভাবটি। বড় বড় চোখদুটি যেন সেই ঘোড়াটির। ভানু গায়ে হাত দেবে বলে এগিয়ে যেতে ঘোড়াটি অন্ধকারে গ্রীবা ঊর্ধ্বমুখী করে চিঁহি রব তুলল। নগেন গিরি বললেন, যাও ভানুবাবু, ভয় কোরো না।

ভানু হালকা অন্ধকারে হাত বাড়িয়ে ঘোড়ার পিঠটা ছুঁয়ে ফেলতেই পা থেকে মাথা পর্যন্ত যেন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলো। এ যে সেই ঘোড়া, একেবারে সেই রকম! ছদ্মবেশে লুকিয়েছে গিরিমশায়ের বাড়ি, বয়সও লুকিয়েছে মনে হয়।

গিরিমশায় বললেন, তোমার তাই মনে হচ্ছে?

হ্যাঁ, ভানু বিহ্বল হলো, আমার ঘোড়াই যেন।

তখন আখ ছিঁড়তে ছিঁড়তে সতীশ এসে দাঁড়িয়েছে দুজনের পিছনে, খদ্দের এলা নাকি বাবা, বিচে দিবে ঘোটনটারে?

থাম, যত অলক্ষুনে কথা তোর মাথাতেই আসে।

নতুন লকরে বেগ দিবে, আজও মোরে ফেলি দিবার তাল করেছিল।

নগেন গিরি বললেন, তালপাতার সিপাই হলে কী হবে, অশ্বে চাপে ভালো, কী করে যে পারে প্রথম থেকেই, আমার ঠাকুরদা নাকি ঘোড়া বশ করতি উস্তাদ ছিল, উ তাই হয়েচে।

সতীশ গিরি হাসছে, কিন্তু ঠাকুরদার মতন বডিটা হলোনি।

সব কি পাওয়া যায়! দীর্ঘশ্বাস ফেললেন গিরিমশায়, জিজ্ঞেস করলেন, দেখা হলো মিশরোবাবুর সঙ্গে?

হলো।

পরে কথা হবেখন, হ্যাঁ ভানুবাবু দেখলে তো!

ভানু জবাব দিল না। সে চেয়েই আছে ঘোড়াটার দিকে। ঘোড়া ক্রমশ অন্ধকারে মিশে যাচ্ছে, ঘাড় আর লেজের সাদা দুই টুকরো ভেসে আছে মায়াবতী অন্ধকারে, অনেকক্ষণ বাদে সে বলে, যদি মাইতিবাবু চায়, দেবেন এটি?

কেনে দিব? আচমকা ফুঁসে ওঠে সতীশ, লজর দিচ্ছ তুমি মশায়, লজরে পড়ে ঘুড়ীটা মরে গেল, নাহলে উয়ারে দিয়ে আরও কটা বাচ্চা করাতাম, ঘুড়াশাল ভত্তি হঁই যেত।

ভানু বলল, আমার ঘোড়ার রক্ত রয়েছে এর দেহে।

থাকুক, সতীশ আখের রসের স্বাদ নিচ্ছে, আছে বলে লজর দিবেন, আপনি কে কহেন দেখি, ঘুড়ার সমুখ থিকে সরে আসেন দেখি, হাত দিবেন না, আর যদি যান ইমন টুসকি দিব যে উয়ার চাঁট খাবেন, মিশরোবাবুর বেটারে এমন লাথ ঝাড়ছে, মাসটাক লাগবে ব্যথা যেতে।

ভানু সরে এলো, বলল, আমাকে মারবে না।

কেনে মারবে না? সতীশ রুখে এলো যেন।

ভানু বোঝে নগেন গিরির বিপরীত হয়েছে তার বেটা! বদমেজাজি রাগী। সে হাসল, তোমার চেয়ে আমি বেশি বুঝি।

খিক খিক করে হেসে ওঠে সতীশ, কোনটা খচ্চোর কোনটা ঘুড়া তা কি চেনো তুমি, কহ দেখি ঘুড়ার ইংরিজি কী, ঘুড়ীর ইংরিজি বা কী?

ভানু টের পায় সে ঘোড়া জানে, ঘুড়ীটা ভুলে গেছে। তা বলে সতীশ গিরির কাছে হেরে যাবে কেন, বলল, যদি বলতে পারি তবে এটি দেবে তো, মানে কিনে নেব, রাজি আছ তুমি?

ঘাবড়ে গেল সতীশ, বাহ্ তা হবে কেন, তুমি বড় চালাক, বাবা এ লকটা কী বলে, ঘোটনরে সত্যি নিতে এলো?

নগেন গিরি মাথা নাড়লেন, ঘুরে ফিরতে লাগলেন। ভানুও ফেরে আর একবার নবীন ঘোড়াটির গায়ে হাত দিয়ে। তার পিছনে সতীশ ফেরে। সতীশ বড় সন্দেহপ্রবণ। তার সন্দেহ হলো অন্ধকারের মতো। সে পিছন থেকে ভানুর ঘাড় ধরল, ও মশায়, দীঘায় ঘর তো?

হ্যাঁ, সমুদ্রপাখি হোটেল।

দাঁড়ান, বাবা চলি যাক, মোর কথা রহিছে তুমার সহিত।

ভানু দাঁড়ায়। নগেন গিরি এগিয়ে গেলেন! সতীশ জ্বলজ্বলে চোখে তাকে দেখছে, ওই আঁধারময়ী সন্ধ্যায় যতটা পারে জরিপ করে নিল, বলল, ঘোটনের জন্য বসি রহিছ দুফর থিকে?

হ্যাঁ।

বাবায় কী কহিছে, দিবে?

ভানু মিথ্যে বলল, হ্যাঁ।

তুমি নিবে?

ভানু বলল, ঠিক করিনি।

বাবার মাথার ঠিক নাই, কী যে বলে, কী যে করে, ব্যবসাটা লাটে উঠার জুগাড় হইছে, কর্মচারীগুলান ভালো, তাই চইলছে, ঘোটনরে বিচে দিবার কী হলো, কেমন সোন্দর অশ্ব, তেজি অশ্ব, শালা ইর মধ্যে ঘুড়ী খুঁজে, অ্যাডাল ইঁই গিলা।

ভানু ডাকল, এসো সতীশ, বারান্দায় বসে কথা বলি।

তুমি রাতি রহিবে?

হ্যাঁ, তোমার বাবা তো বললেন।

বাবার অই দোষ, ঠিকুজি কোষ্ঠি জানা নাই, রেখে দিল তুমারে, যদি ভোরবেলা ঘুড়া লিয়ে পলাই যাও।

ভানু বলল, সেই প্ল্যানই তো রয়েছে।

খবদ্দার না, তা হিলা তুমি খুন ইঁই যাবা, উটার বিষয়ে সব কথা তুমি জানোনি, উ হিলা পাগলা ঘুড়া, খ্যাপা।

সেকি, কন্থক তো অমন ছিল না।

তার পূর্বপুরুষ ছিলা হয়তো।

কী বলো তুমি?

ভানুর হাত ধরল সতীশ গিরি তার কেঠো হাতে, খুব শক্ত করে চেপে ভানুকে হিড়হিড় করে টেনে উঠোনে এনে ফেলল। বারান্দার আলো উঠোনে এসে পড়েছে। খাটিয়া পড়ে ছিল একটা, তার ওপর চেপে বসিয়ে দেয় ভানুকে, নিজে তার সামনে উবু হয়ে বসে। মাথার ওপর নক্ষত্রময় অন্ধকার আকাশ, যে ক’টি তারা ফুটেছে সব কি ঝলমলে? তারার আলো এসে পড়েছে সতীশ গিরির মুখে। সে বলল, খ্যাপা, পাগল, মু ছাড়া উয়ারে কেউ শাসন করতি পারেনি, বশ মানাতি পারেনি।

ভানু নড়ে বসে, তুমি কি বানাচ্ছ?

বানাব কেনে, মোর ঘুড়া, মু কি বদনাম করতি পারি?

ঘোড়ারে দেখে তো তা মনে হয় না।

উটি ধুম পাগল! মাঝেমধ্যি উহার মাথায় পকা নড়ি উঠে, আরে মশায় তখন উ ঘোটনের কী দাপানি, বনবন করি ঘুরতি থাকে, ডাকতি থাকে, দেখি মনে হয় দুটা ডানা বাহির হিবে পিঠের দুপাশ থিকে, আরিব্বাস, সে কী রোষ, দুটি পা আকাশে তুলে লম্ফ দেয়, ঝম্প করে, ইমনকি হতি পারে, ইহার পূর্বপুরুষ পক্ষিরাজ ছিল?

তার মানে, ছিলই তো, মাইতিবাবু তো বলে তার ঘোড়া পক্ষিরাজই।

আহা, তা না ওটা তো নাম হিলা ঘুড়ার, মু কহি ডানা মেলা ঘুড়া, সি অশ্বর পাখনা থাকত পক্ষির মতন।

ভানু মাথা নাড়ে, অমন ঘোড়া ছিল না।

কে কহিছে?

কেউ না, ছিল না তো ছিল না।

তুমি জানোনি ভানুবাবু, ইহার পূর্বপুরুষ ডানা মেলা পক্ষিরাজ ছিলা।

ভানু কী বলবে, চুপ করে চেয়েই থাকে। সতীশ গিরির সিড়িঙ্গে আধখানা দেহ তার সামনে যেন মাটি ফুঁড়ে উঠেছে, বাকি অংশটা মাটির নিচে।

তার বসারই ধরনে তেমনই মনে হয় ভানুর। সতীশ বলছে, তার ঘোড়া ঘোটনটি খাঁটি পক্ষিরাজের বংশধর। এখন তার মাতৃকুল না পিতৃকুল, কোন কুলে ছিল ডানা মেলা আদিপুরুষ তা খুঁজে বের করা দরকার। ভানু কি বলতে পারবে সব ঘোড়ারই ডানা ছিল কি না পূর্বকালে।

ভানু বলে, তোমার বাবা জানেন বোধহয়।

জানেনি, বাবা যা জানে, তা না জানলেও কী হতো?

ভানু বলল, তোমার বাবা অনেক জানেন।

কুছুই জানেনি, বলে ইসব সত্যি নয়, ঘুড়ার ডানা ছিলনি।

তাই তো হবে।

না হবেনি, আমার সন্দেহ হচ্ছে ঘোটনের ডানাদুটা যেকোনো দিন বার হঁই যাবে, ডানা ফুটি যাবে, তারপর আর উয়াকে রাখা যাবেনি, উ আর রহিবেনি ই পৃথিবীতে, সাগর পার ইঁই যাবে।

সত্যি বলছ?

হাঁ সত্যি, দ্যাখো ভানুবাবু, কথাটা পাঁচকান যেন না হয়, মু অই ঘোটনকে চিনি শুধু, আর কেহ চিনেনি, মোর বাবা গিরিমশায়ও না, গিরিমশায়কে ঘোটন সহ্য করেনি, এমন চাঁট মারে, একদিন গিরিমশায় উয়ার উপরে চাপতি গেলা, ইমন ঝটকা মারলা যে তিনি চিতপটাং, পা পিছলা আলুর দম, পাগলা ঘুড়া ক্ষেপেচে, নগেন গিরি পড়েচে, কপাল ভালো হতো পা ভাঙেনি, তা ভানুবাবু, তুমি কি সত্যি খরিদ করতে এয়েচ?

ভানু হাসে, না, না, এই তো সবে দেখলাম।

দেখে কি তুমার পসন্দ হিলা?

খারাপ লাগেনি, রোষ আছে।

রংটা কেমন?

বাপের ছায়া আছে।

এত যদি পসন্দ, তবে কি খরিদ করিবে?

ভানু ‘না’ বলতেই সতীশ গিরির দুটো চোখ আনন্দে ঝকমক করে ওঠে। চোখদুটো খুব জ্বলজ্বলে অন্ধকারে, স্পষ্ট নজরে আসছে। সতীশ হাততালি দিল, বাঁচালে ভানুবাবু, খরিদ করবা কেনে, যদি বা খরিদ করবা, পুরাটা লোকসান হঁই যাবে, তুমি লিয়ে গেলে, হুটেলের সামনে রহিল ঘোটন বাবাজি, তারপর হয়তো রাত্তির বেলায় জুছনার ভিতরে ডানা ফুটি গিলা, ডানা যদি একবার ফুটে, কে উয়ারে ধরি রাখে, হাঁ, ভানুবাবু তুমি না কহিছিলে তুমার ঘুড়া ইয়ার পিতা, তা সেই বাবাটি কই?

ভানু গম্ভীর স্বরে বলে, পালিয়েছে।

তার মানে, কুথায় পালাল, কেনে পালাল?

ভানু তখন ধীরে ধীরে সব কথা বলে। বুদ্ধ পূর্ণিমার কথা বাদ দেয় না, পোখরানের বিস্ফোরণের কথা বলতে ভোলে না। তার কথা শুনে তিড়িং করে লাফ দিয়ে ওঠে নগেন গিরির সিড়িঙ্গে ছেলে সতীশ গিরি, হা ভগবান, সিই ঘুড়ারে তুমি খুঁজি বেড়াচ্ছ, তুমি ধরতি পারোনি সি ঘুড়া কুথায় গেল, ই তো প’ষ্কার ঘটনা, তুমার অশ্বর ডানা ফুটি গিইছে।

এ-এ হে, এসব কী বলো তুমি! ভানু বিহ্বল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে।

যা কহি ঠিকই কহি। দুটি লম্বা হাত ডানার মতো ভাসাতে থাকে সতীশ গিরি, খবর পাও নাই কুছু ভানুবাবু?

কী খবর?

পোখরানের বোমায় মোদের শক্তি অনেক বাড়ি গিছে, তা কেউ সহ্য করতি পারছেনি, উহার বিপক্ষে বলছে কত লক, যা পারে বলছে, তেমন একটা হলো মোর বাপ নগেন গিরি, শালা দেশের ভালো হোক ইটা তিনি চান না, অথচ অ্যাটম বোমা কী না পারে, শত্রুরে কেঁচো করি দিতি পারে, দিখো দিঁইছে কি না, ইবার বাগদাদ, রোম, চীন সব মোদের ইঁই যাবে, ইমনকি অঁই যে কহে, ভারত আবার জগৎসভায় শেরেষ্ঠ আসন লবে, তাই হবে, কিন্তু কুছু লক সহ্য করছিনি, কুকথা কহিছে, ইবার দ্যাখো, বোমার রাতে ঘুড়ার ডানা ফুটি গেলা, বিশ্বাস হিলা তো উ বোমার কত শক্তি, লকে শুধু মিথ্যা রটায় ই হচ্ছে, উ হচ্ছে।

ভানু বলল, থাক এসব, তুমি আবার এসব কথা বলো কেন?

বেশ করি, একশবার কহিব, ঘুড়ার ডানা হয় না ইটা বাবায় কহে, কিন্তু ডানা যে হয় তা পরমাণ ইঁই গেল, তুমি তো নিজি দেখিছ।

কখন দেখলাম! ভানু অবাক।

এই তো কহিলে, তুমার ঘুড়া পুন্নিমা রাতে ডানা মেলে উড়ি গেল।

সে তো তুমি বললে।

মু কেনে কহিব, মু কহিছি ঘোটনের ডানা ফুটিবে, ইখন বুঝা যাচ্ছে কবে ফুটিবে, বোমাটা শত্রু দেশের উপর পড়ুক, তখন ঠিক ঘোটনের ডানা ফুটি যাবে, তা যদি না পড়ে ফের মরুভূমির নিচয় ফাটানো হোক, ডানা মেলে উড়ি যাবে ঘোটন, মু ঠিক খবর পাই যাব, মু উয়ার পিঠে চাপি যাব, কী বুঝলা ভানুবাবু?

ভানু চুপ করে আছে। সে ভাবতে চেষ্টা করছিল তার সামনে বসে আছে। এ এক উন্মাদ! কীরকম হাসছে সতীশ! নগেন গিরি তো বলেনি এ কথাটা?

নগেন গিরি বলেছিল ছেলে তার মামার বাড়ির ধাত নিয়ে জন্মেছে! কিন্তু এ তো সম্পূর্ণ আলাদা মানুষ।

সতীশ বলল, চুপ করি রহিছ কেনে ভানুবাবু, কহ দেখি কীভাবে ডানাদুটি ফুটিলা, ও কি মরুভূমির দিকে উড়ি গেলা?

ভানু চুপ। ভানুর গা ছমছম করে ওঠে। বাড়িটা কী নিস্তব্ধ। নগেন গিরি কোথায়, তাঁর বউই বা কোথায়, কাজের মুনিষ, কাজের বউ? এত বড় প্রাঙ্গণে অন্ধকারে তাঁরা দুজনই শুধু বসে আছেন। খেয়ালই করেননি কখন বারান্দার আলোটি নিভে গেছে। লোডশেডিং। বারান্দায় দম কমানো একটি হারিকেন। হিমে ভিজে যাচ্ছে ভানু দাস।

সতীশ বলল, তুমারে একটা কথা কহি ভানুবাবু, খুব গোপন রাখবা, যখন বোমাটি ফাটল, বাবার কী তর্জন গর্জন, মনে হয় যেন বাবারই মাথায় পড়িছে, নিজের দেশ বড় হইছে তাহাতে আনন্দ নাই, মোর খুব রাগ হচ্ছিল, মু তকে তকে ছিলাম, দিলাম বিষ খাউয়ে।

সে কী! ভীত ভানু দাস বারান্দার দিকে হাঁটে। তাকে জাপটে ধরল সতীশ, যাবা কুথায়, শুনি যাও, বাবারে তো ডর লাগে, বাবারে তো দিবনি, বাবার ঘুড়ীটারে দিলাম। খিখি করে হাসে সতীশ, ঘুড়ীটারে বিষ দিয়া মারি দিলাম, বাবা বুঝুক, বোমার কত শক্তি, ঘোটনটারে মোরে দিই দিইছে বলে ঘোটন বাঁচি গিইছে, আর উয়ার তো ডানা ফুটল বলে।

ভানু ছিটকে সরে গেল। ডাকল গিরিমশায়কে। গিরিমশায় বারান্দাতেই অন্ধকারে বসে নিঝুম, হাত বাড়ালেন, আসো ভানুবাবু!

কী বলে আপনার বেটা?

জানি, উন্মাদ, উন্মাদ।

সব শুনেছেন?

হ্যাঁ, তুমি ভোরবেলা রওনা হয়ে যেও, আস্তাবলের দিকে খবদ্দার যেও না, ও পাগলের খুব সন্দেহ, হয়তো আস্তাবলে ছুরি হাতে বসে থাকবে, কী বুঝলে?

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *