একদিন চিনে নেবে তারে

নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি

তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা

মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি

আরো একটু বসো তুমি আরো একটু বলো

কেন বাজাও কাঁকন কনকন কত ছলভরে

আহা জাগি পোহালো বিভাবরী

বর্ষণমন্দ্রিত অন্ধকারে এসেছি তোমারি এ দ্বারে

কেন যামিনী না যেতে জাগালে না

সে আসে ধীরে

মেঘছায়ে সজল বায়ে মন আমার

নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জ্বালাইয়া যাও প্রিয়া

পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

গোধূলিগগনে মেঘে ঢেকেছিল তারা

অলকে কুসুম না দিয়ো

আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই

আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে চাও কি

নিশীথে কী কয়ে গেল মনে

দিয়ে গেনু বসন্তের এই গানখানি

আমার পরান লয়ে কী খেলা খেলাবে ওগো

আমি যে আর সইতে পারি নে

তোমার গোপন কথাটি সখী রেখো না মনে

বিজয়মালা এনো আমার লাগি

তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে

গান আমার যায় ভেসে যায়

সুন্দর হৃদিরঞ্জন তুমি নন্দনফুলহার

আমার নয়ন তব নয়নের নিবিড় ছায়ায়

এসো আমার ঘরে

আন্‌মনা আন্‌মনা

ওগো তোমার চক্ষু দিয়ে মেলে সত্য দৃষ্টি

সময় কারো যে নাই

আমারে করো তোমার বীণা

আমরা দুজনা স্বর্গ-খেলনা গড়িব না ধরণীতে

ঘুমের ঘন গহন হতে যেমন আসে স্বপ্ন

ওলো সই ওলো সই

হে নবীনা প্রতিদিনের পথের ধুলায় যায় না চিনা

চিত্ত পিপাসিত রে

এই কথাটি মনে রেখো

ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে

আরো কিছুখন নাহয় বসিয়ো পাশে

মম রুদ্ধমুকুলদলে এসো সৌরভ-অমৃতে

হৃদয়ের এ কূল ও কূল দু কূল ভেসে যায়

ওগো শান্ত পাষাণমুরতি সুন্দরী

আমার মনের মাঝে যে গান বাজে

আসা-যাওয়ার পথের ধারে গান গেয়ে মোর কেটেছে দিন

ওগো কাঙাল আমারে কাঙাল করেছ

এখনো কেন সময় নাহি হল

এসো এসো পুরুষোত্তম এসো এসো বীর মম

না বলে যেয়ো না চলে মিনতি করি

তোমার পায়ের তলায় যেন গো রঙ লাগে

কাহার গলায় পরাবি গানের রতনহার

গানের ভেলায় বেলা অবেলায় প্রাণের আশা

তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা

আজি গোধূলিলগনে এই বাদলগগনে

আমার নিশীথরাতের বাদলধারা

আর নাই রে বেলা নামল ছায়া ধরণীতে

অনেক পাওয়ার মাঝে মাঝে কবে কখন একটুখানি পাওয়া

যে ছায়ারে ধরব বলে করেছিলেম পণ

অনেক দিনের আমার যে গান

কত কথা তারে ছিল বলিতে