তোমরা হাসিয়া বহিয়া চলিয়া যাও

তোমা লাগি, নাথ, জাগি জাগি হে

তোমা-হীন কাটে দিবস হে প্রভু

তোমাদের দান যশের ডালায়

তোমার এই মাধুরী ছাপিয়ে আকাশ ঝরবে

তোমার সুর শুনায়ে যে ঘুম ভাঙাও

তোমার বৈশাখে ছিল প্রখর রৌদ্রের জ্বালা

তোমার মনের একটি কথা আমায় বলো বলো

তোমার খোলা হাওয়া লাগিয়ে পালে টুকরো করে কাছি

তোমার বাস কোথা-যে পথিক

তোমার রঙিন পাতায় লিখব প্রাণের কোন্‌ বারতা

তোমার আনন্দ ওই গো

তোমার নাম জানি নে

তোমার মোহন রূপে কে রয় ভুলে

তোমার আনন্দ ওই এল দ্বারে

তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যত দূরে আমি ধাই

তোমার আমার এই বিরহের অন্তরালে

তোমার আসন পাতব কোথায় হে অতিথি

তোমার আসন শূন্য আজি

তোমার কটি-তটের ধটি কে দিল রাঙিয়া

তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না

তোমার কাছে এ বর মাগি

তোমার কাছে শান্তি চাব না

তোমার গীতি জাগালো স্মৃতি

তোমার গোপন কথাটি সখী রেখো না মনে

তোমার দুয়ার খোলার ধ্বনি ওই গো বাজে হৃদয়মাঝে

তোমার দেখা পাব ব’লে এসেছি-যে সখা

তোমার দ্বারে কেন আসি ভুলেই যে যাই

তোমার নয়ন আমায় বারে বারে

তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি

তোমার পায়ের তলায় যেন গো রঙ লাগে

তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি

তোমার প্রেমে ধন্য কর যারে

তোমার বীণা আমার মনোমাঝে

তোমার বীণায় গান ছিল

তোমার শেষের গানের রেশ নিয়ে কানে চলে এসেছি

তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায় তারি পারে

তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ দুখের অশ্রুধার

তোমার সোনার থালায় সাজাব আজ দুখের অশ্রুধার

তোমার হল শুরু আমার হল সারা

তোমার হাতের অরুণলেখা পাবার লাগি রাতারাতি

তোমার হাতের রাখীখানি বাঁধো আমার দখিন-হাতে

তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে

তোমারি ইচ্ছা হউক পূর্ণ করুণাময় স্বামী

তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে, তুমি ধন্য ধন্য হে

তোমারি নাম বলব নানা ছলে

তোমারি নামে নয়ন মেলিনু পুণ্যপ্রভাতে আজি

তোমারি মধুর রূপে ভরেছ ভুবন

তোমারি রাগিণী জীবনকুঞ্জে

তোমারি সেবক করো হে আজি হতে আমারে

তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা

তোমায় নতুন করেই পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণ

তোমায় আমায় মিলন হবে ব’লে আলোয় আকাশ ভরা

তোমায় কিছু দেব ব’লে চায় যে আমার মন

তোমায় গান শোনাব তাই

তোমায় চেয়ে আছি বসে পথের ধারে সুন্দর হে

তোমায় সাজাব যতনে কুসুমে রতনে

তোর প্রাণের রস তো শুকিয়ে গেল ওরে

তোর ভিতরে জাগিয়া কে যে

তোর শিকল আমায় বিকল করবে না