বর্বর জর্মন

বর্বর জর্মন

ন্যুরনবের্গের মকদ্দমা এগিয়ে চলেছে, চতুর্দিকে আটঘাট বেঁধে তরিবত করে তামাম দুনিয়ায় ঢাকঢোল বাজিয়ে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ওহ্, কী বাঁচনটাই না বেঁচে গেছে! এয়সা দুশমনের জাত যদি লড়াই জিতত, তা হলে তোমাদের দমটি পর্যন্ত ফেলতে দিত না। ভাগ্যিস আমরা ছিলাম, বাঁচিয়ে দিলাম।

বিলেতি কাগজগুলো যে দাপাদাপি করে, তাতে আশ্চর্য হবার বিশেষ কিছু নেই। তারা মার খেয়েছে, এখন শুধু মার দিয়েই খুশি হবে না, হরেকরকমে দুশমনকে অপমান করবে, তাতে ডবল সুখ; সেসব কথা সবাইকে ইনিয়ে-বিনিয়ে শোনাবে, তাতে তেহাই সুখ; তার পর দেশটার কলকজা অর্থাৎ তার জিগর-কলিজা, নাড়িভুঁড়ি বিনা ক্লোরফর্মে টেনে টেনে বের করে তাকে আচ্ছা করে বুঝিয়ে দেবে, বেলজেন কাকে বলে।

কিন্তু এ দেশের ইংরেজি কাগজগুলো যখন ফেউ লাগে, তখন আর বরদাস্ত হয় না। ছিলি তো বাবা যুদ্ধের বাজারে বেশ, না হয় স্কচ না খেয়ে সোলান খেয়েছিস, না হয় এসপেরেগাস আরটিচোক খেতে পাসনি, না হয় তুলতুলে ফ্ল্যানেল আর নানারকমের হ্যাট ও ক্যাপ পাসনি বলে সর্দি ও গর্মির ভয়ে একটুখানি পা সামলে চলেছিলি, তাই বলে যা বুঝিসনে, মালুম নেই, তা নিয়ে এত চেল্লাচেল্লি করিস কেন? টু পাইস তো করেছিস, সেকথাটা ভুলে যাস কেন, তাই নিয়ে দেশে যা, দু দিন ফুর্তি কর, যে জায়গা নাগাল পাসনে, সেখানে চুলকোতে যাসনে। কিন্তু শোনে কে! সেই জিগির– জর্মন বর্বর, ‘বশ’, ‘হান’।

পরশুদিন জর্মন বর্বরতার প্রমাণ পেলুম, পুরনো বইয়ের দোকানে– একখানা কেতাব, আজকালকার জলের চেয়েও সস্তা দরে কিনলাম। তার নামধাম–

Bengalische Erzaehler / Der sieg der seele / aus dem indisghen / ins deutsch uebertagen / von / Reinhardt Wagner /

অর্থাৎ ‘বাঙালি কথক।’ (Erzaehler ধাতুর অর্থ কাহিনী বলা) ‘আত্মার জয়, ভারতীয় ভাষা হইতে জর্মনে রাইনহার্ট ভাগনার কর্তৃক অনূদিত।’

চমৎকার লাল মলাটের উপর সোনালি লাইনে একটি অজন্তা ঢঙের সুন্দরী বাঁশি বাজাচ্ছে। ছবিখানি এঁকেছেন, কেউ-কেটা নয়, স্বয়ং অধ্যাপক এডমুনড শেফার।

কেতাবখানা যত্রতত্র বিক্রির জন্য পাওয়া যাবে না– এস্তেহার রয়েছে। ‘ব্যুশারফ্রয়েভে’ সংঘের সভ্যরা কিনতে পাবেন। বর্বর জর্মন বটতলা ছাপিয়ে, পেঙ্গুইন বেচে পয়সা করতে চায় না, তার বিশ্বাস– দেশে যথেষ্ট সত্যিকারের রসিক পাঠক আছে, তারা সংঘের সদস্য হয়ে বাছা বাছা বই কিনবে। আর যদি তেমনটা নাই হয়, হল না, চুকে গেল বাংলা কথা।

‘বাংলা কথা’ ইচ্ছে করেই বললাম, কারণ স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, ভাগনার সাহেব খাসা বাংলা জানেন। প্রথম আলাপে জিগ্যেস করেছিলাম, মহাশয় কোন ভাষার অধ্যাপক?

বাংলার।

বাংলার? বার্লিন ইউনিভার্সিটিতে?

 আজ্ঞে।

ছাত্র কটি?

গেল পাঁচ বছরের হিসাব নিলে গড়পড়তা ৩৫।

গর্বে আমার বুক ফুলে উঠল। আমি যে ইউনিভার্সিটিতে পড়েছি, সেখানে ফ্রি-ক্লাসে নিদেনপক্ষে দেড়শটা বাঁদর ঝামেলা লাগাত। আদর্শ ছিল–৩০০ আপন ওয়ান প্রফেসারের। বললাম, ৩/৫ একটু কম নয়?

ভাগনার বিরক্ত হয়ে বললেন, রবিবাবুর লেখা পড়েননি– The rose which is single need not envy the thorns which are many?

উঠে গিয়ে ধনধান্যে পুষ্পে ভরা রেকর্ডখানি লাগালেন। ভাব হয়ে গেল। কিন্তু মনে মনে বললাম, কুল্লে ৩/৫-এর জন্যে একটা আস্ত প্রফেসার। জর্মনরা বর্বর।

অবতরণিকাটি ভাগনার সাহেব নিজেই লিখেছেন; আগাগোড়া তর্জমা করে দিলুম।

‘সঙ্কলনটি আরম্ভ স্বর্গীয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিখ্যাত জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে। অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ গদ্য রচনাগুলোকে বাংলার tschota galpa (ছোট গল্প) বলা হয়। ছোট গল্পগুলোকে একরকমের ছোটখাটো উপন্যাস বলা যেতে পারে; শুধু নায়কনায়িকার সংখ্যা কম। গল্পগুলোর কাঠামো পশ্চিম থেকে নেওয়া হয়েছে, ভিতরকার প্রাণবস্তু কিন্তু খাঁটি ভারতীয়। মাঝে মাঝে দেখা যায়, সমস্ত গল্পটার আবহাওয়া একটিমাত্র মূল সুরের চতুর্দিকে গড়া। কতকগুলো আবার গীতিরসে ভেজানো। আবার এ-ও দেখা যায়, ভারতবাসীর ধর্ম তার আচার-ব্যবহারের সঙ্গে এমনই বাধা যে গল্পের বিকাশ ও সমস্যা সমাধান এমন সব কারণের ওপর নির্ভর করে, যেগুলো পশ্চিমে নভেলে থাকে না। আশা-নিরাশার দোলা-খাওয়া কাতর হৃদয় এইসব গল্পে কখনও-বা ধর্মের কঠিন কঠোর আচারের সঙ্গে আঘাত খেয়ে টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে, কখনও-বা তার ছোট গণ্ডির ভিতর শান্তি খুঁজে পায়; সেই ধুকধুক হৃদয়ের কঠোর দুঃখ; চরম শান্তির বর্ণনা করা হয়েছে গভীর অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে। আন্দ্রেয়াস হয়েসলারের সঙ্গে আমরা সুর মিলিয়ে বলতে পারি, “মানুষের আত্মার ভাজে ভাজে যেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছি।”

‘ভারতীয়দের প্রেম বড় উদার, তাতে গণিকারও স্থান আছে। গণিকাদের কেউ কেউ আবার জন্মেছে বেশ্যার ঘরে, বদ খেয়ালে বেশ্যা হয়নি। গ্যেটের গণিকাকে ভগবান অবহেলা করেননি, এঁদেরও হয়তো অবহেলা করবেন না।

‘সঙ্কলনটি সুখ-দুঃখের গল্পেই ভর্তি করা হয়েছে; হাস্যরসের গল্প নিতান্ত কম দেওয়া হয়েছে। তার কারণও আছে; দুঃখ-যন্ত্রণা সব দেশের সব মানুষেরই একরকম, কিন্তু হাস্যরস প্রত্যেক জাতিরই কিছু না কিছু ভিন্ন প্রকৃতির। করুণ রসে মানুষ মানুষকে কাছে টানে, হাস্যরস আলাদা করে। তবু তিনটি হাস্যরসের গল্প দেওয়া হল; হয়তো পশ্চিম দেশবাসীরা সেগুলোতে আনন্দ পাবেন।

‘বিশ্বসাহিত্যের সেবা যেখানে উদ্দেশ্য, সেখানে সবচেয়ে ভালো রচনা বাদ দেওয়া অন্যায়। কাজেই রবীন্দ্রনাথকে বাদ দেওয়া চলে না। তাঁর “লিপিকা’ থেকে তাই কয়েকটি সবচেয়ে ভালো লিখন দেওয়া হল; এগুলোকে ছোট ছোট গল্প বলা ভুল হবে।(১) লেখাগুলো সহজেই দু ভাগে আলাদা করা যায়, কতকগুলো মহাকাব্যের কাঠামোয় গড়া বলে গভীর সত্যের রূপ প্রকাশ করে তোলে, আর কতকগুলো ছবির মতো কিসের যেন প্রতীক, কেমন যেন অস্বচ্ছ অর্ধ-অবগুণ্ঠিত অনাদি অনন্তের আস্বাদ দেয়, অথবা যেন নিগূঢ় আত্মার অন্তর্নিহিত কোমল নিশ্বাস আমাদের সর্বাঙ্গে স্পর্শ দিয়ে যায়।

সর্বশেষে যাঁরা তাঁদের লেখার অনুবাদ করবার অনুমতি দিয়েছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, বিশেষ করে যাঁরা এই সঙ্কলনের গোড়াপত্তন ও সম্পূর্ণ করাতে সাহায্য করেছেন। সদুপদেশ দিয়েছেন ও অনুবাদে যাতে ভুলত্রুটি না থাকে তার জন্য নিম্নলিখিত মহাশয়দের কাছে কৃতজ্ঞ– হের দ.প. রায়চৌধুরী, ডি.ফিল, (গ্যোটিঙেন), ইঞ্জিনিয়র বিদ্যার্থী অ, ভাদুড়ী; য, চ. হুই, এম.এস-সি.; য. ভ. বসু, ডি. ফিল. (বার্লিন) এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমাধারী স. চ. ভট্টাচার্য।(২) সুরসিক, বহু ভাষার সুপণ্ডিত ল, ভ, রামস্বামী আইয়ার(৩) এম.এ.বি.এল, বেশির ভাগ মূল লেখাগুলো পাঠিয়েছেন ও সঙ্কলন আরম্ভ করার জন্য উৎসাহিত করে শেষ পর্যন্ত সাহায্য করেছেন। পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করার জন্য গৃহিণীকে ধন্যবাদ।’

অবতরণিকাটি নিয়ে অনেক জল্পনাকল্পনা করা যায়, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য পাঠক যেন নিজেই ভাগনার সাহেবের মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষণ করেন। আমার শুধু একটি বক্তব্য যে অবতরণিকার ভাষ্যটি সরল, যারা মূল জর্মনে কানট-হেগেল এমনকি টমাস মাও পড়েছেন তারাই জানেন। জর্মনে কীরকম আড়াইগজি সব বাক্য হয়। ভাগনারের জর্মন অনেকটা বাংলা ছন্দের কিছুটা প্রমথ চৌধুরীর মতো। বাক্যগুলো ছোট ছোট; সাদামাটা খাস জর্মন কথার ব্যবহার বেশি, কিন্তু দরকারমতো শক্ত লাতিন কথা লাগাতে সায়েব পিছুপা হননি। জর্মন গুরুচণ্ডালীর সম্বন্ধে বাংলার মতো ভয়ঙ্কর সচেতন নয়। ভাগনার আবার সাধারণ জর্মনের চেয়েও অচেতন।

পাঠকের সবচেয়ে জানার কৌতূহল হবে যে, কার লেখা ভাগনার সাহেব নিয়েছেন। তার ফিরিস্তি দিচ্ছি;–

১. আমার দেশ (কবিতা) : শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রলাল রায়(৪) (Schridvidschendralal Raj)

২. সন্ন্যাস; শ্রীযতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত (বিল্বদল)

 ৩. অঙ্কিত; গোলাপ; চোর; কুসুম; শিউলি : শ্ৰীহেমেন্দ্রকুমার রায় (সিঁদুর চুপড়ি, মধুপর্ক)।

 ৪. দেবতার ক্রোধ; রত্নপ্রদীপ : শ্রীমণিলাল গঙ্গোপাধ্যায় (আল্পনা ও জলছবি)

৫. পদ্মফুল; জন্ম-মৃত্যু শৃঙখল (আংশিক অনূদিত) : শ্রীমণীন্দ্র-লাল বসু (মায়াপুরী)

৬. একাকী; প্রেমের প্রথম কলি : শ্রীনলিনীকান্ত ভট্টশালী (হাসি ও অশ্রু)

৭. বউ চোর, রসময়ীর রসিকতা : শ্রীপ্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় (ষোড়শী, গল্পাঞ্জলি)

 ৮. গলি; পরীর পরিচয়; নূতন পুতুল; ছবি; সুয়োরানীর সাধ; সমাপ্তি; সমাধান; লক্ষ্যের দিকে; সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়; পায়ে চলার পথ; কণ্ঠস্বর; প্রথম শোক; একটি দিবস : শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর Schrirabindranath Thakur (লিপিকা)

 ৯. আঁধারে আলো : শ্ৰীশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (মেজদিদি)

১০. পাষাণ হৃদয় : শ্ৰীমতী সুনীতি দেবী (বঙ্গবাণী)

এখনই বলে দেওয়া ভালো যে পুস্তকখানি প্রকাশিত হয়েছে ১৯২৬ সালে। তার মানে এই নয় যে, এই কজনই তখন নামজাদা লেখক ছিলেন। বরঞ্চ মনে হয় ভাগনার। ১৯১২-২০-এর সময় বাংলা শিখতে আরম্ভ করেন ও সে যুগে এঁদের যে খুব প্রতিপত্তি ছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে চারু বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেন বাদ পড়লেন ঠিক বোঝা গেল না। অবশ্য মনে রাখতে হবে যে, নির্বাচনটা ঠিক ভাগনারের হাতে ছিল না। এ দেশ থেকে যেসব বই পাঠানো হয়েছিল, তা থেকে ভালো হোক, মন্দ হোক তাঁকে বাছতে হয়েছে।

রবীন্দ্রনাথের নাম ভাগনার চলতি জর্মন কায়দায় ‘টেগোর’ লেখেননি।

নানা টীকা-টিপ্পনী করা যেত, কিন্তু সেটা পাঠকের কাছে ছেড়ে দেওয়াই ভালো। জর্মন-মন এই গল্পগুলোতেই কেন সাড়া দিল, তার কারণ অনুসন্ধান তারাই করুন।

সাধারণ জর্মনের পক্ষে দুর্বোধ্য কতকগুলো শব্দ পরিশিষ্টে দেওয়া হয়েছে; যেমন– অগ্নি (দেবতা), অলকা, অন্নপূর্ণা, আরতি, আষাঢ় B.A., বেলপাতা, ভৈরবী, রাগিণী, ভর্তৃহরিম ফুলশয্যা, চোরা বাগান, দোয়েল, জয়দেব, যোগাসন, হাতের নোয়া, একতারা, হোলি, হুলুধ্বনি, কৃত্তিবাস, কাশীরাম দাসের মহাভারত, মেদিনীপুর, শালিগ্রাম, সমুদ্রমন্থন, পয়সা, পানি কৌড়ি, রজনীগন্ধা, রাসলীলা, সাহানা, শুভদৃষ্টি, রথযাত্রা, ব্রাহ্ম সমাজ, ইংরেজি, উড়িয়া বামুন।

সবগুলোর মানে, সব কটাই অতি সংক্ষেপ ঠিক ঠিক দেওয়া হয়েছে। মাত্র একটি ভুল মেঘদূতকে Epos বা মহাকাব্য বলা হয়েছে। উড়ে বামুনরা যে গঙ্গাস্নানের সময় ডলাই-মলাই ও ফোঁটা-তিলক কেটে দেন সে কথাটি বলা হয়েছে, কিন্তু আমাদের যে রান্নার নামে কী বিষ খেতে দেন, সেটা বলতে ভাগনার ভুলে গিয়েছেন। B.A. উপাধি ভাগনার জর্মনদের বুঝিয়ে দিয়েছেন এবং M.A. যে লাতিন Magister Aritum সেটা বলতে ভোলেননি। আশা করতে পারি আমাদের প্রতি জর্মনদের ভক্তি বেড়েছে।

আম-কাঁঠাল, শিউলি-বকুল বহু গল্পে বারবার এসেছে, কিন্তু ফুল আর ফলের ছয়লাপে ভাগনার ঘাবড়ে গিয়ে সেগুলো বোঝাবার চেষ্টা করেননি। তবে তিনি রজনীগন্ধার প্রতি কিঞ্চিৎ পক্ষপাতদুষ্ট।

অনুবাদ কীরকম হয়েছে? অতি উৎকৃষ্ট সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। শুধু এইটুকু বললেই যথেষ্ট হবে যে, পদে পদে ছত্রে ছত্রে এই কথাটি বারবার বোঝা যায় যে, দূর বার্লিনে বসে কী গভীর ভালোবাসা দিয়ে ভাগনার অনুবাদগুলো করেছেন এবং সেই ভালোবাসাই তাঁকে বাংলার ছোট গল্পের অন্তস্তলে নিয়ে গিয়েছে।

ভৈরবী কোন সময় গাওয়া হয়, ফুলশয্যাতে কে শোয়, মেদিনীপুর কোন দিকে, হাতের নোয়া আর হুলুধ্বনি কাদের একচেটে, কৃত্তিবাস কাশিরাম দাস কে এইসব বিস্তর বায়নাক্কা বরদাস্ত করে জর্মন ১৯২৮ সালে এই বই পড়েছে আর সুদূর বাংলার হৃদিরস আস্বাদন করবার চেষ্টা করেছে।

বর্বর নয় তো কী!!

————

১. রবীন্দ্রনাথের ‘গল্পগুচ্ছ’ থাকতে ভাগনার কেন যে সেগুলো কাজে লাগালেন না, তা বোঝা গেল না।

২. D. P. Roy Chowdhury.; A. Bhadhuri.; J.C. Huii. J. Bose; S.C. Bhattacharjya.

 ৩. ইনি শব্দতাত্ত্বিকদের সুপরিচিত।

 ৪. জীবিত মৃত সকলের নামের পূর্বেই ভাগনার শ্রী ব্যবহার করেছেন। বাংলা ‘শ’ বুঝাতে হলে জর্মনে sch (ইংরাজিতে Schedule-এর sch), ‘জ’ বুঝতে হলে dsch,’ ‘চ’ বুঝাতে হলে ‘tsch,’ ‘য়’ বুঝাতে হলে ‘j’ ব্যবহার করা হয়েছে।