প্রথম অংশ : ছন্দপতন
দ্বিতীয় অংশ : মৃত্যুহরণ

সপ্তরিপু – অধ্যায় ৬

অধ্যায় ছয় – সময় : ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ

বেগুনবাড়ি, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ

‘খুন হোক আর ডাকাতিই হোক একটা দেহাবশেষ পর্যন্ত নেই, এটা কেমন কথা?’ খুবই চিন্তিত মুখে তার সামনে বসে থাকা জোনাথনের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করল ম্যাকফি।

‘এই ব্যাপারটাই তো অবাক করছে আমাকেও,’ নিজের ধূসর চোখের মণি নাচিয়ে জবাব দিল জোনাথন। ‘অন্তত আমি তো কিছুই পেলাম না।’

‘জোনাথন, তুমি কতটা গভীরভাবে পরীক্ষা করে দেখেছো?’ ম্যাকফি ঘোড়ার গাড়ির জানালা দিয়ে বাইরের জঙ্গল দেখছে। রাস্তার দুপাশে গভীর অরণ্য সবুজ দেওয়ালের মতো গভীর হয়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে।

‘বস, আমি জায়গাটা খুব গভীরভাবে দেখতে পারিনি, জায়গাটার সন্ধান বের করার পর মনে হলো একবার অন্তত চোখ বুলানো উচিত; তাই ওখানে গেলাম। একে তো জায়গাটা যতটা দূরে হবে বলে ভেবেছিলাম তারচেয়ে বেশি দূরে ছিল তাই যেতে সময় লাগল। তার ওপরে ওখানে পৌঁছানোর পর মনে হলো আর দেরি করলে রাজার বাড়ি পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাবে, তাই বেশি দেরি করিনি।’

‘হুম, ম্যাকফি চিন্তিত মুখে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে। কোম্পানির সৈন্যদের হারিয়ে যাবার ব্যাপারটা ঠিক যতবার মাথার ভেতরে নেওয়ার চেষ্টা করছে ঠিক ততোবারই পুরো ব্যাপারটা ঘোলাটে মনে হচ্ছে।

‘বস, যদি কিছু মনে না করো তবে পুরো ব্যাপারটা আমি একবার বিস্তারিত শুনতে চাই। আসলে ঘটেছিল কী এখানে? এভাবে কোম্পানির সৈন্যরা কখনো হারিয়ে যায় না। অন্তত আমি শুনিনি।

স্যারজি, আমিও শুনতে চাই,’ মহাবীর সিং গোঁফে মোচড় দিতে দিতে মাথা নেড়ে জানতে চাইল।

পাইপে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলতে শুরু করল ম্যাকফি, ‘আমি নিজেও খুব বেশি বিস্তারিত কিছু জানি না। মাদ্রাজের দুর্গে কর্নেল আমাকে খুব বেশি কিছু বলার সময় পাননি। আর এরপর তো এখানেই চলে এলাম। তবে কর্নেলের দেওয়া রিপোর্টে খুব সংক্ষেপে যা লেখা ছিল তাই জানি। আর সেটাই শোনাচ্ছি তোমাদের। বাকিটা আমাদেরকে রাজাসাহেবের কাছ থেকে শুনে নিতে হবে।’

‘বস, তুমি কথারে এত প্যাচাইতে পারো। আসল কথা শুরু করো,’ যথারীতি কথা শুরু করার আগেই জোনাথনের তীক্ষ্ণ খোঁচা। ব্রিটিশ আর্মি তো বটেই এমনকি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতেও কেউ ভাবতেও পারবে না একজন জুনিয়র এভাবে একজন সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলছে। তবে ম্যাকফির দল যেমন আলাদা ঠিক তেমনি ওদের অভ্যন্তরীণ নিয়মনীতিও আলাদা।

‘ঠিক আছে, মূল কথায় আসছি,’ জোনাথনের উত্তর শুনে মুচকি হাসি দিল ম্যাকফি। ‘মুক্তাগাছার জমিদার পরিবার, যাকে আমরা রাজা বলে ডাকছি, এদের পারিবারিক উপাধি আচার্য। তারা এখানে বসতি স্থাপন করেছে শ’খানেক বছর যাবৎ। মনে হয় তারা বাঙাল প্রদেশের বগুড়া অঞ্চল থেকে মোঘলদের শাসনামলের সময়ে স্থানান্তরিত হয়ে এখানে এসেছে। এই অঞ্চলের একটা বড়ো অংশ তাদের অধীনে। সত্যিকার অর্থে এই অঞ্চলে বেগুনবাড়ি, মুক্তাগাছা এসব অঞ্চলে যাবতীয় স্থাপনা থেকে শুরু করে ব্যবসার একটা বড়ো অংশ তাদেরই গড়ে তোলা। এই এলাকাতে দুটো প্রধান পরিবার আছে; তালুকদার পরিবার আর আচার্য পরিবার।’

‘এই দুই পরিবারের বিবাদ বহু পুরনো। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই এলাকাতে নিজেদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে চাইলে বর্তমান রাজার বাবা আর তালুকদার পরিবারের কর্তা নিজেদের বিবাদ ভুলে একসঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ তৈরি করে কোম্পানিকে এই এলাকায় ঢুকতে দেয়নি। রাজ্যটা খুব বেশি বড়ো না হওয়াতে আর অন্যান্য এলাকায় যুদ্ধ শুরু হয়ে যাবার কারণে কোম্পানি তখন এইদিকে খুব বেশি নজর দেয়নি, পাইপের আগুন নিভে যাওয়াতে আবারো ওটাকে ধরাতে ধরাতে বলতে লাগল ম্যাকফি।

‘তো মারাঠাদের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ হয়েছে সেই সঙ্গে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ততোদিনে নিজেদের ছোটো ছোটো রাজ্যগুলোর দিকে নজর দেওয়া শুরু করেছে। হঠাৎই এই রাজ্যের দিকে কোম্পানির নজর পড়ে একটা বিশেষ কারণে। ব্রহ্মপুত্র নদ। মেঘালয় রাজ্য ততোদিনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির দখলে এসেছে। সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক পণ্য তারা এই মুলুকে আনতে পারলে চট্টগ্রাম কিংবা অন্যান্য বন্দর দিয়ে রপ্তানি করে বড়ো আকারের ব্যবসা করতে পারবে। সেটা করতে হলে ব্রহ্মপুত্র নদ তাদের জন্যে হতে পারে সরাসরি যোগাযোগের দারুণ একটা মাধ্যম। কিন্তু ব্রহ্মপুত্রের পাশেই ভাওয়াল গড়ের এই একটি বিশেষ অঞ্চল পুরোপুরি এখানকার জমিদার পরিবার আর তালুকদার পরিবারের দখলে। তো এখান দিয়ে নদী পথে পণ্য পারাপার করতে হলে, হয় তাদের অনুমতি লাগবে আর না হয় তাদের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে হবে…আর না হয় তাদের রাজ্য দখল করতে হবে। কোম্পানি এই তিনটের কোনোটাই করতে পারেনি এতদিন। এইদিকটায় কোম্পানির নজর পড়ার আরেকটা কারণ হলো এই অঞ্চল ভালোমানের কাঠের জন্যে খুবই বিখ্যাত। এতদিন সুযোগ না পেলেও যুদ্ধ শেষ হবার পর আবারো কোম্পানি এদিকে নজর দেওয়া শুরু করে। সেই সঙ্গে তারা একটা সুযোগও পেয়ে যায়।’

‘কী সুযোগ?’ জোনাথন প্রশ্ন করল।

‘সুযোগটা হলো, ততোদিনে এই রাজ্য পূর্ববর্তী রাজার আয়ত্ত থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই রাজ্যের শাসন কর্তা হয়েছে আগের রাজার ছেলে। বর্তমান রাজা। এই লোক ক্ষমতায় বসতেই তার সমস্যা দেখা দেয় এলাকার অন্যতম প্রভাবশালী তালুকদার পরিবারের সঙ্গে। এই পরিবারের সঙ্গে বিবাদ মোকাবেলা করার জন্যে সেই সঙ্গে নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যে বর্তমান রাজা নিজে থেকেই আগ বাড়িয়ে ইংরেজদের সঙ্গে একটা সমঝোতায় আসতে ইচ্ছুক হয়ে ওঠে। কোম্পানির জন্যে তখন ব্যাপারটা হয়ে দাঁড়ায় মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। কারণ বহুদিন যাবৎ তারা এই এলাকাতে ঢোকার চেষ্টা করছিল কিন্তু পারছিল না। তাই সুযোগ পেতেই তারা শুভেচ্ছা স্বরূপ তাদের অফিসার আর সৈন্যদের একটা দলকে এখানে প্রেরণ করে রাজার সঙ্গে কথা বলার জন্যে। এই দলটার সঙ্গে উপহার হিসেবে বেশ কিছু অস্ত্রসহ আরো অনেক কিছুও পাঠায় তারা। অফিসারদের এই দলটা নাকি রাজাসাহেবের সঙ্গে দেখাও করেছিল কিন্তু এরপর হঠাৎ করেই তারা হারিয়ে যায়। হারিয়ে যায় মানে একেবারেই গায়েব হয়ে যায়। তাদের আর কোনো নাম-গন্ধ- নিশানা কিছুই নেই,’ বলে সে একটু থামলো। ‘আমাদের পাঠানো হয়েছে এদের আসলে কী হয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জন্যে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো প্রশ্ন আছে।’

‘আচ্ছা সেগুলো শোনার আগে আমার একটা প্রশ্ন আছে স্যারজি, হঠাৎ মহাবীর সিং বলে উঠল।

‘বলো, মহাবীর।’

‘এই স্যৈন্যরা যে হারিয়ে গেছে সেটা কোম্পানি জানলো কীভাবে? তাদেরকে জানিয়েছে কে?’

‘এখানকার রাজাসাহেব। প্রথমত সৈন্যরা এখানে পৌছানোর পর রাজার সঙ্গে মোলাকাত ও প্রাথমিক আলোচনা শেষ করে তারা এখানকার স্থানীয় কুঠিতে দূতের মাধ্যমে কী কী আলোচনা হয়েছে সেগুলো জানিয়ে খবর পাঠায়। সেখানে তারা উল্লেখ করেছিল রাজাসাহেব কী একটা ব্যাপারে তাদের কাছে সাহায্য কামনা করেছে। এই বিষয়ে তারা রাজার সঙ্গে আরো কয়েক দফা আলোচনা সেরে ফিরতি পথে রওনা দেওয়ার কথা। কিন্তু এরপর তাদের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।’

‘এরপরে দুইদিন চলে যাবার পর রাজাসাহেবের কাছে খবর পাঠানো হলে উনি জানান : কোম্পানির সৈন্যরা আগেই চলে গেছে। তখন চারপাশে খোঁজ-খোঁজ রব ওঠে। রাজাসাহেব কোম্পানির দূতকে নিয়ে চারপাশে খবর লাগানোর পর জানা যায় কোম্পানির সৈন্যরা এখান থেকে রওনা দেওয়ার পর তাদেরকে শেষবারের মতো বেগুনবাড়ির জঙ্গলের কাছে ক্যাম্প করতে দেখা গেছিল এরপর তাদের আর কোনো খোঁজ নেই। সেই ক্যাম্পের জায়গাতেই তুমি আজ গেছিলে, ‘ ম্যাকফি জোনাথনের দিকে ইশারা করল।

‘এরপর কোম্পানির ছোটো একটা দল এসে তাদের খোঁজ লাগানোর পরও তাদের আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি। এরপরেই পাঠানো হয় আমাদের। আচ্ছা, আগে যা বলছিলাম। এই পুরো ব্যাপারটাতে বড়ো বড়ো কয়েকটা ঘাপলা আছে। প্রথম ঘাপলা হলো, কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করার জন্যে এখানকার রাজাসাহেবই নিজে থেকে আগ্রহ দেখিয়েছিল। এরপর সে নিজেই কোম্পানির সৈন্যদের আমন্ত্রণ জানায়। তার আয়ত্বের ভেতর থেকেই কোম্পানির সৈন্যরা গায়েব হয়েছে। এরা গায়েব হবার পর সে অনেক খোঁজ খবর করেছে। একটা পর্যায়ে ওদেরকে খুঁজে বের করতে না পেরে আমাদের এই বিশেষ দলের জন্যে সেই আবেদন করেছে। তবে এখানে প্রশ্ন হলো এই রাজা কি আসলেই জানে না ওদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, নাকি মুখে যতই বলুক সে ও আসলে বাপের পদাঙ্ক অনুসরণ করে কোম্পানির বিরোধিতাই করতে চাইছে, এই ব্যাপারটা বোঝা যাচ্ছে না।

‘অন্যদিকে কোম্পানির সৈন্যদের হারিয়ে যাবার পেছনে সত্যি-সত্যি যদি রাজার কোনো হাত না থেকে থাকে তবে তাদেরকে এভাবে কে গায়েব করে দিল এইটা বের করাটা একটা জটিল ব্যাপার হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের হাতে প্রতিপক্ষ আছে তিনজন,’ বলে ম্যাকফি একটা হাত তুললো। ‘প্রথমত, রাজাসাহেব নিজেই এদেরকে গায়েব করে থাকতে পারে। দ্বিতীয়ত, এই এলাকার দ্বিতীয় প্রভাবশালী তালুকদার পরিবার। তাদের সঙ্গে স্থানীয় রাজার সম্পর্ক খুবই খারাপ। আচার্য আর তালুকদারদের ভেতরে শক্তির ভারাসাম্য এখন সমানে সমান। কোম্পানি যদি আচার্যদের সঙ্গে হাত মেলায় তবে তালুকদারদের শক্তি অনেকটাই কমে যাবে। তাই এটা ঠেকানোর জন্যে তারাও এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে। যদি এই দুই প্রতিপক্ষের ভেতরে কেউ ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবুও আমাদের কাজ কঠিন হবে কিন্তু সম্ভব হবে। আমাদের তৃতীয় সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে পারে কোনো স্থানীয় ডাকাত কিংবা জলদস্যুদের দল। যদি এরকম কেউ কাজটা করে থাকে তবে তাদেরকে খুঁজে বের করে মোকাবেলা করাটা অনেক কঠিন হবে। কারণ যারা কোম্পানির সৈন্যদের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস রাখে তাদের মোকাবেলা করাটা সহজ হবে না। এবার, জোনাথন, বলো তুমি কী বের করেছ?’

‘তুমি যা বললে মোটামুটি এইরকমই খবর রটেছে চারপাশে। তবে মানুষজন আতঙ্কে আছে। এতদিন আচার্য আর তালুকদাররা নিজেদের ভেতরে বিবাদ করেছে। এখন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির লোকজন, স্থানীয়রা এটা নিয়ে খুবই শঙ্কায় আছে। বিশেষ করে এই এলাকাতে ইংরেজদের প্রবেশ কেউই ভালোভাবে দেখছে না,’ বলে সে একটু থেমে যোগ করল। ‘তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে। আমাদের কাজটা আসলে কী? সৈন্যদের পরিণতি খুঁজে বের করা, তাদের সন্ধান বের করা, নাকি যারা তাদের ক্ষতি করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করা? নাকি তাদের মোকাবেলা করা?

‘এই ব্যাপারটা আমার কাছেও পরিষ্কার না। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে মনে রেখো এখানে আমরাই সবদিক থেকে বিপদে আছি। কারণ আমরা জানি না কেন ডেকে আনা হয়েছে বিশেষ এই দলটাকে। আমাদেরকে কী শিকারি হিসেবে ডেকে পাঠানো হয়েছে নাকি শিকার হিসেবে সেটাই প্রথমত পরিষ্কার না। দ্বিতীয়ত, যদি সত্যি-সত্যি শিকারি হিসেবে ডেকে আনা হয়ে থাকে তবে আমরা আমাদের শিকারকে কীভাবে খুঁজে বের করব সেটাও আমরা জানি না। এটা হলো স্থানীয় সমস্যা। এরপর মনে রেখো আমাদেরকে যারা পাঠিয়েছে তারা মাদ্রাজ থেকে বিদায় করে বেঁচেছে আমাদের। কাজেই এরা খুব বেশি সহায়তাও করবে না। আবার ভারতবর্ষে এই প্রথম যুদ্ধাবস্থা ছাড়া এভাবে কোম্পানির সৈন্যদেরকে গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারটা এখন পুরো ভারতবর্ষ তো বটেই এমনকি ইংল্যান্ডের রাজ প্রশাসন পর্যন্ত চলে গেছে। কাজেই এতে ব্যর্থ হলে আমাদের মুণ্ডু চিবিয়ে খাবার মতো লোকের অভাব হবে না। কাজেই বুঝতেই পারছ পরিস্থিতি খুবই ঘোলাটে।’

‘সর্বনাশ! আমি তো এতকিছু ভাবিইনি। এখন তো বেশ ভয়-ভয় লাগছে,’ বলে খিক খিক করে হাসতে লাগল জোনাথন। তার হাসির সঙ্গে সঙ্গে সুর মেলালো মহাবীর সিং। জোনাথন হাসাতে কোনো সমস্যা হয়নি কিন্তু মহাবীর সিং হাসতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির কাঠের একটা অংশ মৃদু কাঁপতে লাগল। ওদের হাসি দেখে পাইপ নামিয়ে রেখে তাতে সুর মেলালো ম্যাকফি।

তিনজনের হাসি দেখলে যে কেউ ভাববে তারা কোনো উৎসবে চলেছে। আরো কিছুক্ষণ চলার পর কোচোয়ান চিৎকার করে জানাল সামনে এক ঘোড় সওয়ার গাড়ি থামাতে বলছে। ম্যাকফি ইশারা করতেই মহাবীর সিং তাকে চিৎকার করে গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিল।

মহাবীর সিং আর জোনাথনের দিকে তাকিয়ে ম্যাকফি বলে উঠল, ‘চলো দেখি, সামনের পথ আমাদের জন্যে কী অপেক্ষায় রেখেছে।’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *