প্রথম অংশ : ছন্দপতন
দ্বিতীয় অংশ : মৃত্যুহরণ

সপ্তরিপু – অধ্যায় ২৭

অধ্যায় সাতাশ – সময় : ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ

কালন্তি বিল, মধুপুর, ময়মনসিংহ

শংকরকে বিদায় দিয়ে ম্যাকফি মনে মনে বেশ আফসোস করছিল। আসলেই চেনা আর অচেনার মধ্যে অনেক পার্থক্য। তবে প্রথমে হারিয়ে ফেললেও কিছুটা এগিয়ে সে ওদেরকে খুঁজে পায়। লোকগুলোর পিছু নিতে নিতে ম্যাকফি মনে মনে নিজের মুণ্ডুপাত করছিল কারণ এই অচেনা জায়গায় অন্ধকারের ভেতরে কিছু করা তো দূরে থাক পিছু নেওয়াই এক বিপদের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ম্যাকফি ভাবছে, কখন না সে এদের কাছে ধরা পড়ে যায়! আর লোকগুলোও চলেছে তো চলেছেই, এরা যাচ্ছে কোথায় কে জানে।

বিরক্তিকর আর ভীতিকর পিছু নেওয়া একসময় শেষ হলো। মানুষগুলো আরেকটু এগোনোর পর সামনে থেকে ভেসে আসতে লাগল গানের শব্দ। জোহরারা গানের শব্দে ঠিক যেভাবে অবাক হয়েছিল, একইরকম অবাক হলো ম্যাকফি। যদিও জোহরাদের থেকে বেশ অনেকটা পেছনে অবস্থান করার কারণে ঠিক বুঝতে পারছে না সামনের ক্যাম্পে আসলে কী ঘটছে, তবে এটা বুঝতে পারছে বেশ আনন্দ উৎসব চলছে ওখানে। মনে মনে নিজের ওপরে বিরক্ত বোধ করল ম্যাকফি। এভাবে বোকার মতো এখানে আসাটা ঠিক হয়নি I

হঠাৎ সামনে থেকে নাচ গানের আওয়াজ বন্ধ হয়ে গেল। এতক্ষণ হাঁটু গেড়ে বসে ছিল ম্যাকফি, এবার ঝোপের আড়ালে পাতার ওপরে নিচু হয়ে বসে পড়ল। কোমরে গুঁজে রাখা পিস্তলটা খুলে রেখে দিল একটা কাটা গাছের ডালের ওপরে। তারপর মনোযোগ দিয়ে কাদা পরিষ্কার করতে লাগল জুতো আর ব্রিচেস থেকে। এই অভিযানের সমাপ্তি খুবই বাজেভাবে হবে মনে হচ্ছে। সে যদি জানত তার মনের কথার সত্যতা কতটুকু তবে নিজেও অবাক হয়ে যেত।

কাদা পরিষ্কার করে পিস্তলটার দিকে হাত বাড়াবে হঠাৎ তীক্ষ্ণ চিৎকারে চমকে উঠল সে, হাত বাড়িয়ে পিস্তলটা ধরতে গিয়ে হাতের ধাক্কা লেগে ঝোপের ভেতরে পড়ে গেল ওটা। মাথা নিচু করেই ঝোপের ফাঁক দিয়ে সামনে তাকাল।

ওর অবস্থান থেকে বেশ খানিকটা সামনে এতক্ষণ চারজন বসে ছিল চোখ তুলে দুজনকে দেখতে পেল। বাকি দুজনকে দেখতে পেল না ও। সামনের ক্যাম্প, যেখান থেকে এতক্ষণ গান-বাজনার আওয়াজ ভেসে আসছিল, সেখান থেকে এখন আর্তনাদ আর হুটোপুটির আওয়াজ ভেসে আসছে। ব্যাপার কী? হচ্ছেটা কী? ম্যাকফি সামনে চোখ রেখে এখনো পিস্তলটা খুঁজছে। ‘কাহা গেয়া?’ পিস্তলটা না পেলে খবর আছে।

হঠাৎ সামনে থেকে লাঠি হাতে পুরুষটা উঠে দৌড় দিল চিৎকার করতে করতে। ম্যাকফি গলা উঁচু করে দেখতে পেল ওদের সঙ্গে আসা অল্প বয়স্ক ছেলেটাকে কেউ একজন মাটিতে চেপে ধরে ঘাড় ভেঙে দিতেই ওর সঙ্গে এই লাঠিয়ালের তুমুল মারামারি বেঁধে গেল। ও অবাক হয়ে খেয়াল করল-বিশালদেহী লাঠিয়াল, গোঁফওয়ালা লোকটার সঙ্গে মারামারিতে পাত্তাই পাচ্ছে না।

বিপদ বিপদ! মাথার ভেতরে সংকেত বেজে উঠল। ওর হাতে ঠেকলো পিস্তলটা। ওটা টান দিয়ে হাতে নিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এলো ঝোপ থেকে সামনে যেখানে ওরা সেই জায়গাটার পেছনে এসে থেমে গেল। সামনে বীভৎস দৃশ্য। মোটা লাঠিয়ালকে গলায় কিছু একটা দিয়ে চেপে ধরে খুন করছে সেই গোঁফওয়ালা। আর ওর ঠিক সামনেই সেই মহিলা—যাকে শংকর বেগম সাহেবা বলেছিল—সে বসে বসে ফোঁপাচ্ছে। লাঠিয়ালকে খুন করে উঠে দাঁড়িয়েছে সেই মোটাগোঁফ। সে ঝট করে এদিকেই ফিরে তাকাল। সম্ভবত অনুমান করেছে এখানে কেউ আছে।

যদিও হাতে পিস্তল আছে তবুও ম্যাকফি বুঝতে পারল এই দলের সঙ্গে লাগতে গেলে ও পারবে না। বরং এই মোটাগোঁফ যদি মহিলার সন্ধান পায় তবে তারও খবর আছে। মোটাগোঁফ একদৃষ্টিতে এদিকে তাকিয়ে আছে, আর ওর সামনে বসে থাকা মহিলা ভয়ে আতঙ্কে বিচিত্র সব শব্দ করছে। ম্যাকফি পেছন থেকে একটু এগিয়ে খপ করে মহিলার মুখ চেপে ধরল শক্ত করে। সঙ্গে সঙ্গে মহিলা নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করার আগেই ও কানে কানে বলে উঠল, ‘বন্ধু, চুপ রাহিয়ে।’

যদিও আতঙ্কে অস্থির, তবুও মহিলা স্থির হয়ে গেল। গোঁফওয়ালা লোকটা এদিকে তাকিয়ে হাতে ধরা হলুদ রঙের একটা রুমাল পাকাচ্ছে। ম্যাকফি মহিলার মুখ চেপে স্থির হয়ে রইল পাথরের মতো। কারণ লোকটা একা হলেও তার পেছনে দেখা যাচ্ছে তাদের একটা বেশ বড়ো দল আছে। হঠাৎ অনুচ্চ স্বরে শিস দিয়ে উঠল লোকটা। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে পেছন থেকে দৌড়ে এলো দুজন। তারা বিচিত্র এক ভাষায় কথা বলতে লাগল। বহুদিন ভারতবর্ষে থাকলেও এই ভাষা আগে ম্যাকফি শোনেনি।

লোকগুলো নিজেদের ভেতরে কথা বলছে, ম্যাকফি মহিলার মুখ ছেড়ে দিয়ে তাকে ইশারা করল পেছন দিকে সরে আসার। নিজেও পিছিয়ে আসতে লাগল ধীরে ধীরে। ওদিকে লোকগুলোর কথোপকথন আরো চড়া হয়েছে, সম্ভবত কোনো কিছু নিয়ে তর্ক করছে তারা। এই সুযোগে আরেকটু পিছিয়ে এলো ওরা। এমন সময় কথা থামিয়ে লোকগুলো ফিরে যেতে লাগল। প্রথমে রওনা দিল মোটাগোঁফ, এরপরে পেছনে লাঠিয়ালের দেহ টেনে নিয়ে যেতে লাগল দুজনে। পেছাতে গিয়ে ম্যাকফির ইউনিফর্মের হাতা আটকে গেল একটা কাঁটা ঝোপে। ওর ঠিক সামনেই ছিল সেই মহিলা, ম্যাকফি পোশাকটা কাঁটা থেকে ছাড়ানোর আগেই সে এসে পড়ল ম্যাকফির ওপরে। ফর-ফর করে ছিঁড়ে গেল ইউনিফর্ম।

সঙ্গে সঙ্গে থেমে গেল লোকগুলো। কড়া স্বরে কিছু একটা বলে উঠল সেই মোটা গোঁফওয়ালা। আবারো একইরকম অনুচ্চ স্বরে শিস দিয়ে উঠলো। প্রায় সঙ্গে সঙ্গে আরো দুজন দৌড়ে এলো। সবাই মিলে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে।

ম্যাকফি নিজের ইউনিফর্ম ছাড়ানোর জন্যে টানাটানি করছে। ওর দিকে আতঙ্কিত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মহিলা। ম্যাকফি একহাতে কাপড় টানতে টানতে নিজের পিস্তলটা বাড়িয়ে দিল মহিলার দিকে। তবে ওকে অবাক করে দিয়ে মহিলা নিজেই একটা পিস্তল বের করে আনলো কোমর থেকে। যদিও দুজনেই জানে পিস্তল দিয়ে কিছুই হবে না। দুটো পিস্তল থেকে দুটো গুলি বেরুবে। আর শত্রু অনেক। দ্বিতীয়বার গুলি ভরার আগেই সব শেষ হয়ে যাবে। ম্যাকফি শেষবারের মতো জোরে এক টান দিয়ে কাপড়টাকে ছিঁড়ে বের করে আনলো। সঙ্গে সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া লোকগুলো ওদের দিকে ইশারা করে কিছু একটা বলে উঠল। ম্যাকফি বুঝতে পারল আর লুকিয়ে লাভ নেই, ধরা পড়ে যাবে ওরা।

সে মহিলাকে একটানে দাঁড় করিয়ে দৌড়ানোর ইশারা করে নিজেও দৌড় দিল। সঙ্গে সঙ্গেই লোকগুলো দেখে ফেলল ওদেরকে। দুজনেই প্রাণপণে দৌড়াতে লাগল। ওদের পেছনে পেছনে দৌড়ে আসছে লোকগুলো। ম্যাকফি একবার পেছনে ফিরে তিনজনকে দেখতে পেল। আরো জোরে দৌড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরেকটু হলেই পড়ে যাচ্ছিল ও। আর পেছনের লোকগুলো দৌড়ে আসছে। দূরত্ব তো বাড়ছেই না বরং কমছে।

ওর সামনে মহিলা দৌড়রত অবস্থাতেই কিছু একটা বলল। ম্যাকফি বুঝতে পারল না। আরেকটু এগোতেই মহিলা দাঁড়িয়ে গেল। আরেকটু হলেই দৌড়ানোর ঝোঁকে মহিলার গায়ে ধাক্কা লাগিয়ে বসতে যাচ্ছিল ম্যাকফি।

‘কী হলো?’ হাঁপাতে হাঁপাতে জানতে চাইল ম্যাকফি। ভুলে গেছে মহিলা তার ভাষা নাও বুঝতে পারে। কিন্তু পরিস্থিতি মানুষকে সর্বোচ্চ বোঝাপড়ার দিকে ঠেলে দেয়। মহিলা তাকে হাতের ইশারায় সামনে দেখাল। ওদিকে তাকিয়েই ম্যাকফি চমকে উঠল। সামনে পানির একটা ধারা দেখা যাচ্ছে। নদী নাকি, মনে মনে ভাবল ও। পেছন ফিরে দেখল খোলা মাঠ ধরে দৌড়ে আসছে লোকগুলো।

আর কোনো উপায় নেই। মনে হচ্ছে পানিতেই লাফিয়ে পড়তে হবে। ঝট করে মহিলার একটা হাত ধরে ফেলল সে। সঙ্গে সঙ্গে অনুভব করল এই বিপদেও মহিলা শক্ত হয়ে গেছে। চাদের আলোয় মহিলার চোখ দেখে মনে হলো সে রাগের সঙ্গে হাতটা ছাড়িয়ে নিবে কিন্তু তার আগেই নদীর পাড়ের আলগা মাটি ভেঙে দুজনেই গড়িয়ে পড়ে গেল নিচে।

বালুর ওপরে স্থির হবার আগেই একজোড়া শক্ত হাত টান দিয়ে দাঁড় করিয়ে দিল দুজনকে। ম্যাকফি দেখতে পেল আগাগোড়া কালো পোশাক পরা একটা মূর্তি, এমনকি মুখের ওপরেও কালো আবরণ। ম্যাকফি কিছু বলার আগেই হাতের ইশারায় দুজনকেই চুপ থাকতে বলে সামনে এগোতে বলল। নদী পাড় থেকে বড়ো একটা মাটির চাঙর তুলে নিয়ে গড়িয়ে দিল পানিতে তারপর দৌড়ে চলল দুজনকে নিয়ে। সামনেই নদীর পানিতে ঝুঁকে রয়েছে একটা বড়ো গাছ। কালো মূর্তিটা দুজনকেই টেনে নিয়ে ওটার আলগা হয়ে থাকা শিকড়ের নিচে ঢুকে গেল। অর্ধেক শরীর পানিতে, আর অর্ধেক শরীর শিকড়ের আড়ালে লুকিয়ে ওদেরকে ইশারায় চুপ থাকার নির্দেশ দিল মূর্তিটা।

নদীর কিনারা থেকে মানুষের গলা ভেসে আসছে। শিকড়ের ফাঁক দিয়ে দেখতে পেল নদী পাড়ে পাঁচজন দাঁড়িয়ে পানির দিকে তাকিয়ে কথা বলছে। যদিও অন্ধকার তবুও সেই গোঁফওয়ালা লোকটাকে দেখতে পেল দুইহাতে এখনো ধরে আছে সেই হলুদ রুমালটা। ম্যাকফি মনে মনে প্রার্থনা করল লোকগুলো যেন নদীতীরের বালুতে ওদের পায়ের ছাপ দেখতে না পায়। একটু পরেই সবার উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের মাঝে গোঁফওয়ালা লোকটা একটা হাত তুলতেই সবাই থেমে গেল। লোকটা কী যেন বলল, এরপরেই একে একে অদৃশ্য হয়ে গেল সবগুলো মাথা।

পানি আর আলগা শিকড়ের আড়ালে আরো অনেকক্ষণ স্থির হয়ে রইল ওরা। ভয়ের চোটে কেউ নড়তেও সাহস পাচ্ছে না। হঠাৎ আগাগোড়া কালো পোশাকের মানুষটা কথা বলে উঠল। ‘মনে হয়, ওরা চলে গেছে।’

লোকটার মৃদু স্বরে বলা কথাগুলো শুনে চমকে উঠল ম্যাকফি। একেবারে নেটিভ ইংরেজি। কথার মধ্যে ইংল্যান্ডের ব্র্যাডফোর্ডশায়ার এলাকার টান পরিষ্কার। ‘আপনি ইংরেজ?’ অবাক হয়ে জানতে চাইল ম্যাকফি?’

ওর প্রশ্নের জবাবে মৃদু হেসে উঠল লোকটা। মুখের আবরণ সরাতেই তার রোদে পোড়া দুধ সাদা চামড়া দেখা গেল। যদিও অন্ধকার, তবু নীল চোখ দেখা যাচ্ছে পরিষ্কার।

‘ক্যাপ্টেন ম্যাকফি, আমি উইলিয়াম হেনরি স্লিম্যান,’ বলে সে একটা হাত বাড়িয়ে দিল ম্যাকফির দিকে। ম্যাকফি নিজের হাত বাড়ানোর আগেই পাশ থেকে জোহরা উছলে ওঠার মতো করে বলে উঠল।

‘ওখানে কী হচ্ছিল? এই লোকগুলো কারা, আর এভাবে সবাইকে মেরে ফেলল কেন ওরা?’ জোহরার বড়ো বড়ো চোখে এখনো চরম আতঙ্ক। মহিলাও ইংরেজিতে প্রশ্ন করেছে শুনে একটু অবাক হয়ে গেল ম্যাকফি আর স্লিম্যান দুজনেই। যদিও তার ইংরেজি ভাঙা ভাঙা তবুও এই প্রত্যন্ত এলাকার একজন মহিলা এভাবে ইংরেজি বলবে সেটা তো ভাবনাতীত।

জোহরার প্রশ্ন শুনে আঁতকে উঠল স্লিম্যান। ‘আস্তে, মাই লেডি। লোকগুলো যদি আশপাশে থেকে থাকে তবে বিপদ হতে পারে।’

‘কিন্তু, এরা কারা, ওখানে হলোটা কী, আর আপনিই বা এখানে এভাবে এলেন কীভাবে?’ এবার প্রশ্ন করেছে ম্যাকফি।

‘বলছি, আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তরই দিবো। তবে তার আগে আমাদের এখান থেকে পালাতে হবে।’

‘না, আগে আমি জানতে চাই ওরা কারা, এভাবে আমার লোকদেরকে, মেঘালয়াদেরকে মেরে ফেলল কেন, আরেকটু হলে তো আমাদেরকেও…’ এইটুকু বলেই জোহরা শিউরে উঠল।

‘অস্থির হবেন না, মাই লেডি। ব্যাপারটা ভয়ংকর। কারণ আপনারা ভারতবর্ষের সবচেয়ে কুখ্যাত খুনে দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন। এরাই ইংরেজ অফিসারকে খুন করে গুম করেছে, সেই সঙ্গে আপনার স্বামী আর আপনার পরিবারের অন্য মানুষটাকেও,’ শেষ কথাটা স্লিম্যান জোহরাকে উদ্দেশ্য করে বলল।

‘মানে, এরা কারা?’ আর আপনিই বা এদের সন্ধান পেলেন কীভাবে?’

‘সে এক লম্বা গল্প,’ বলে স্লিম্যান তিক্ত হাসি দিল। ‘তবে এটুকু বলে রাখি এরা ভারতবর্ষের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্নভিন্ন নামে পরিচিত কিন্তু এদের সবচেয়ে পরিচিত নাম ঠগী। আপনারা আজ ঠগী নামেরই এক দুর্ধর্ষ খুনে ডাকাত দলের মুখোমুখি হয়েছিলেন।’

ঠগী আবার কী? আর আপনিই বা এদের ব্যাপারে জানলেন কীভাবে? সবচেয়ে বড়ো কথা একেবারে সঠিক সময়ে আমাদের কাছে এভাবে পৌঁছালেনই বা কীভাবে?’ ম্যাকফি জানতে চাইল।

‘ক্যাপ্টেন, আমি কীভাবে ঠগীদের ব্যাপারে জানতে পারলাম আর এখানেই বা কীভাবে এলাম সেটা বলতে হলে বেশ আগে থেকে শুরু করতে হবে,’ বলে সে ওদের দুজনার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসি দিল। ‘আপনাদেরকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা বুঝতে হবে।’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *