প্রথম অংশ : ছন্দপতন
দ্বিতীয় অংশ : মৃত্যুহরণ

সপ্তরিপু – অধ্যায় ৩৯

অধ্যায় উনচল্লিশ – সময় : ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দ

বৃহত্তর মধুপুর এলাকা

অন্ধকারের নানা প্রকারভেদ থাকতে পারে-ব্যাপারটা ম্যাকফি প্রথমবারের মতো উপলব্ধি করেছিল যুদ্ধের সময়ে। কিছু অন্ধকার গাঢ় হয়, তার দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় যেন গিলে খাবে, কুয়াশার অন্ধকার হয় কেমন জানি নেশাচ্ছন্ন, ঠিক একইভাবে আমাবশ্যার অন্ধকার থেকে শুরু করে সন্ধ্যাবেলার অন্ধকার আর গভীর রাতের অন্ধকারের মধ্যে যোজন যোজন পার্থক্য। একেক ধরনের অন্ধকার মনের ওপরে একেক ধরনের প্রভাব সৃষ্টি করে।

এই মুহূর্তে এই মধুপুর গড়ের লালচে অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে ম্যাকফির মনে হতে লাগল এই লালচে অন্ধকার যেন বিপদ আর আতঙ্কের প্রতিনিধি হয়ে ডাকছে। তবে সত্যি কথা এই মধুপুর গড়ের মতো এরকম লালচে অন্ধকার ম্যাকফি কখনো দেখেনি। লাল মাটির কারণেই কিনা কে জানে, টিলার আড়ালে বসে খোলা প্রান্তরের দিকে তাকিয়ে ম্যাকফির মনে হচ্ছে পুরো এলাকাটাই কেমন জানি অদ্ভুত লালচে আঁধারে ভরে উঠেছে। ও আবারো লম্বা নলের মতো দেখতে ফিল্ড গ্লাসটা চোখে লাগিয়ে সামনে দেখতে যাবে তার আগেই পাশ থেকে কথা বলে উঠল জোহরা।

‘আপনার কি মনে হয়, কাজ হবে?’ কথাটা অনেকটা আনমনেই বলে ম্যাকফির দিকে বড়ো বড়ো চোখের দৃষ্টি স্থির করল জোহরা। ‘ওরা কি আসবে?’

ফিল্ড গ্লাস থেকে চোখ সরিয়ে গভীর দৃষ্টির সঙ্গে চোখ মেলাতে গিয়ে কেমন জানি অসহায় বোধ করল ম্যাকফি। এই জীবনে খুব বেশি মেয়েদের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়নি ওর। যা মিশেছে সেটাও ফরমাল পার্টিতে সাদা চামড়ার মেয়েদের সঙ্গে; যারা ঢং করে পোশাক পরা আর কায়দা করে সিগারেট টানা ছাড়া আর তেমন কিছু করতে পারে না। এসব মেয়েদের সঙ্গেই নিজেকে খুব বেশি মানাতে পারে না ও, তার ওপরে এই মহিলা আবার স্থানীয়। মহিলার বড়ো বড়ো গভীর কালো চোখগুলো ছাড়া আর সবই ঢাকা। এমনকি মুখও ঢাকা। এই লালচে অন্ধকারে রহস্যময় জঙ্গুলে পরিবেশে ততোধিক রহস্যময় নারীর সঙ্গে অসহায় বোধ করা ছাড়া আর উপায় কী?

বেশিক্ষণ জোহরার চোখের দিকে দৃষ্টি স্থির রাখতে পারল না ম্যাকফি। চোখ ফিরিয়ে প্রান্তরের দিকে তাকিয়ে জবাব দিল, ‘বলা মুশকিল। কারণ আমি যতটুকু বুঝতে পেরেছি এই ঠগীরা অত্যন্ত ধূর্ত আর নিষ্ঠুর। বিশেষ করে ওদের যে দলনেতা ফিরিঙ্গিয়া তার ব্যাপারে অনেক কথাই শোনা গেছে। সে নাকি দেবীর আর্শিবাদ পুষ্ট, তার নাকি বিশেষ ক্ষমতা আছে। যদি এসব বিশ্বাস নাও করি তবে এটা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে সে অত্যন্ত চতুর আর ভয়ংকর। তবে আমরা জাল পেতেছি যতটা সম্ভব নিখুঁতভাবে। প্রথমেই ঘোড়ার হাটে ধরা পড়া বাজিকর আর ডোংরু মহারাজের লোকদের দিয়ে তীর্থযাত্রার ভুয়া খবর ছড়ানো হয়েছে, এতে রাজা সূর্যকান্ত শামিল হবে সেটাও ঘটা করে প্রচার করা হয়েছে। কাজেই সূর্যকান্তকে ধরার এই সুযোগ ঠগীরা ছাড়বে বলে মনে হয় না,’ এই পর্যন্ত বলে ও ইশারায় মাঠের অন্যপ্রান্তে একটা বিরাট কড়ই গাছ দেখাল।

‘ওই গাছে আমার দলের এক লোক জোনাথন দূরপাল্লার বন্দুক নিয়ে প্ৰস্তুত আছে। অন্যপ্রান্তে আপনার লাল পাগড়িদের তিনভাগের এক ভাগ নিয়ে মহাবীর সিং আছে, আর আমাদের থেকে আরেকটু দূরে হেনরি আছে লাল পাগড়িদের আরেক বাহিনী নিয়ে। ডোংরু মহারাজের কিছু লোক আর রাজার বাহিনীর কিছু লোক নিয়ে তীর্থ যাত্রার ভুয়া দল সাজানো হয়েছে। ওরা বিকেলে ঘটা করে আনন্দ উৎসবের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছে ব্রহ্মপুত্রের পাড় থেকে। রাত্রির প্রথমভাগে এই মনন্তরের মাঠে এসে যাত্রাবিরতি দিবে। রাতের সময়টা এখানে কাটিয়ে সকালে রওনা দিবে তীর্থ যাত্রীর দল।’

‘এই মাঠ বেছে নেওয়ার কারণ কী?’ জোহরার কণ্ঠ যেন বহুদূর থেকে ভেসে আসছে।

‘প্রতিবার এই মাঠেই তীর্থ যাত্রীরা প্রথমবারের মতো যাত্রা বিরতি দেয়। তাই এই মাঠে যাত্রা বিরতি দেওয়াই উত্তম, তাছাড়া এই মাঠকে কভার করা আমাদের জন্যে সহজ হবে। কোনোভাবে যদি তীর্থ যাত্রীদের দলের সঙ্গে মিশে ঠগীরা একবার এই মাঠে প্রবেশ করে তাহলেই হবে। এই মাঠ ছেড়ে ওদের আর বেরুতে হবে না,’ বলে ও আনমনেই ব্রিচেসের পকেটে রাখা নারকেল পাতার বাঁশিটাতে হাত বুলিয়ে নিলো। আজ রাতে এই বাঁশির গুরুত্ব অপরিসীম। ওদের দলের প্রতিটা লোকের কাছে এই বাঁশি দেওয়া আছে। যে যেখানেই বিপদে পড়ুক এই বাঁশি একবার বেজে উঠলেই সবাই সাবধান হয়ে যাবে। এই বাঁশির আরেকটা সুবিধে হলো এই বাঁশির শব্দ অনেকটা পাখির ডাকের মতো।

আমি একটা ব্যাপার বুঝতে পারছি না, আপনি এখানে কেন?’ ম্যাকফি আবারো জোহরার সঙ্গে দৃষ্টি মেলানোর চেষ্টা করল। অনেকটা জোর করেই নিজের দৃষ্টি স্থির রাখার চেষ্টা করল জোহরার চোখের ওপরে। ‘আপনি তো চাইলে বাড়িতে আরামে বসে থাকতে পারতেন। যেখানে সাধারণ পরিবারের মেয়েরা বাড়ির বাইরে বের হয় না, সেখানে আপনার মতো অভিজাত পরিবারের মেয়েদের তো এভাবে বাইরে এসে একদল ভয়ংকর লোকের মোকাবেলা করার কোনো প্রয়োজনই ছিল না।’

ম্যাকফির কথা শুনে জোহরার মধ্যে কোনো বিকার দেখা গেল না। এবার সে ম্যাকফির চোখ থেকে দৃষ্টি সরিয়ে সামনের দিকে তাকাল। ‘প্রয়োজন আর পরিবেশ মানুষকে তার কল্পনা থেকেও অনেক বেশি ভয়ংকর পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়, বলে সে একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ল। সময়ের চেয়ে বড়ো নিয়ামক যেমন আর হয় না, ঠিক তেমনি সময়ের চেয়ে শক্তিশালী আঘাতকারীও আর কিছু হতে পারে না।’ বলে সে আবারো দৃষ্টি ফিরিয়ে আনলো ম্যাকফির দিকে।

গভীর চোখের শক্তিশালী চাহনির দিকে তাকিয়ে আবারো সেই অসহায় ভাবটা ফিরে এলো ম্যাকফির ভেতরে। ‘হ্যাঁ, চাইলেও সময়ের কষাঘাত থেকে নিজেকে বাঁচানো সম্ভব হয় না,’ বলে ও মৃদু হেসে উঠল।

‘এই জন্যেই সেই চেষ্টা বাদ দিয়েছি,’ বলে জোহরাও হেসে উঠল। ‘একারণেই আমি এখানে। যেটা অবশ্যসম্ভাবী সেটা থেকে পালিয়ে বেড়ানোর চেয়ে সেটার মুখোমুখি হয়ে মোকাবেলা করাটাই শ্রেয়। কিছু মনে না করলে আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতাম।’

জোহরার চোখের দিকে তাকিয়ে ম্যকফি জবাব দিল, ‘বলুন।’

‘আপনার কপালের ডানপাশে ওই কাটা দাগটা কীসের? আমি লক্ষ করেছি আপনি প্রায়ই ওই জায়গাটা চেপে ধরে কীকী জানি বিড়বিড় করেন।’

জোহরার কথার জবাবে ম্যাকফি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল তার আগেই অনেক মানুষের কথাবার্তা আর হট্টগোলের শব্দ শোনা গেল। ‘ওই যে, ওরা আসছে,’ উৎসুক হয়ে ফিল্ড গ্লাসে চোখ লাগাল ম্যাকফি। যদিও অন্ধকারে এই ফিল্ড গ্লাস খুব একটা কার্যকর না তাই আগে থেকেই ওদেরকে নির্দেশ দিয়ে রাখা হয়েছে বেশি আলো সঙ্গে রাখার জন্যে। কারণ যথেষ্ট পরিমাণে আলো না থাকলে দূরপাল্লার বন্দুক নিয়ে জোনাথনও কিছু করতে পারবে না। ওরা কথা রেখেছে দেখে খুশি হয়ে উঠল ম্যাকফি।

বেশ বড়ো একটা দল জঙ্গলের রাস্তা থেকে মাঠে প্রবেশ করেছে। একেবারে সঠিকভাবে গুনতে না পারলেও দলটার দিকে তাকিয়ে ম্যাকফি মনে মনে হিসেব করতে লাগল, কতজন আসার কথা দলে আর অতিরিক্ত কতজন আছে। হিসেব শেষে ওর ধারণা মিলে গেল দলটার সঙ্গে অন্তত পনেরো বিশজন মানুষ অতিরিক্ত আছে। কিন্তু এরা কি আসলে ঠগী না অন্যকিছু সেটা বোঝা প্রায় অসম্ভব যতক্ষণ পর্যন্ত ওরা আক্রমণ না করছে। ও দেখা শেষ করে গ্লাসটা এগিয়ে দিল জোহরার দিকে। দেখিয়ে দিল কীভাবে ওটার ভেতর দিয়ে তাকাতে হবে।

জোহরা ওটাতে চোখ লাগিয়ে হেসে উঠল। ‘সর্বনাশ, এইটাতে দেখি সবকিছু কাছে দেখায়।’ ম্যাকফিও হেসে উঠল।

জোহরা আনন্দের চোটে স্থানীয় ভাষায় কথা বলা শুরু করেছে। ‘এত্তো কাছে!’

‘আসলে ওরা এত কাছে না, কী করছে ওরা?’

‘তাম্বু টানাইতেছে, কিছু মানুষ রান্না-বান্নার আয়োজন করতাছে, ডোংরু মহারাজ আর রাজাও আছে, তারা চেয়ার পেতে বসে তামাক টানছে।’

‘এখন শুধুই অপেক্ষা করতে হবে,’ বলে ম্যাকফি নিজের দুইটা পিস্তল আর ছুরি পরীক্ষা করে দেখে নিয়ে ব্রিচেসের পকেট থেকে বের করে আনলো পাতার বাঁশিটা। একবার ওটার গায়ে হাত বুলিয়ে রেখে দিল পকেটে। ফিরে তাকাল মাঠের দিকে। ‘এরা কারা?’ ফিল্ড গ্লাসে চোখ লাগিয়ে জোহরা বলে উঠল 1

তার কাছ থেকে ফিল্ড গ্লাসটা নিয়ে চোখে লাগাল ম্যাকফি। আরেকটা নতুন দল যোগ দিয়েছে মাঠে। দলটা মোটামুটি বড়োই। দশ বারো জনের কম হবে না। ছেলে-বুড়ো সব প্রকারের লোক আছে। ‘মনে হচ্ছে তীর্থ যাত্রার আরেকটা দল। তীর্থের তো এটাই মনে হয় নিয়ম। পথ চলতে চলতে বড়ো একটা দলের সঙ্গে ছোটো ছোটো আরো দল যোগ হতে থাকে,’ ম্যাকফির কথা শুনে মাথা নাড়ল জোহরা। কিছুক্ষণের ভেতরেই মাঠের দিক থেকে খাবারের সুবাস আর নাচ-গানের শব্দ ভেসে আসতে লাগল।

জোহরা আবারো ফিল্ড গ্লাসটা চোখে লাগিয়ে দেখতে লাগল, ‘কী অদ্ভুত জিনিস! কত্তো দূরের জিনিস কাছে দেখা যায়। আমি এরকম জিনিস জীবনেও দেখি নাই,’ বলে সে মুগ্ধ হয়ে দেখতে লাগল। হঠাৎ অস্ফুট শব্দ করে উঠল জোহরা।

‘কী ব্যাপার? কী হলো?’ ম্যাকফি জানতে চাইল। চঞ্চল হয়ে উঠেছে জোহরা। সে ফিল্ড গ্লাসটা ম্যাকফির হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলে উঠল। ‘নতুন এই দলটার ভেতরে একজন লোক আছে, এরে আমি চিনি।’

‘আপনি চেনেন, তাহলে সমস্যা কোথায়?’ বলে ম্যাকফি গ্লাসটা চোখে লাগাল। মশালের আলোয় পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বড়ো বড়ো তিনটে তাঁবু ফেলা হয়েছে। তাঁবু তিনটের সামনের খোলা জায়গাটাতে জড় হয়েছে সবাই। সেখানে পেতে রাখা আসনে বসে আছে কয়েকজন তাদের সামনেই আয়োজন চলছে। ‘কোন লোকটা?’

‘নতুন দলটার একেবারে পেছনে একজন তবলচি আছে। তবলচির পেছনে একটা লোক একেবারে মুখ মাথা মুড়িয়ে বসে আছে।’ ওই লোকটা,

ম্যাকফি লোকটাকে খুঁজে বের করল। ‘কী সমস্যা ওই লোকটার? আপনি তাকে চিনতেই পারেন। কত লোকই তো আছে এই এলাকায়…’ জোহরা কাঁধ চেপে ধরল ম্যাকফির ‘এই লোকটা সাধারণ কেউ না। এই লোকটাই সূর্যকান্ত আচার্যের বড়ো ভাই রমাকান্ত আচার্য, যার কাছ থেকে জমিদারি দখল করে সূর্যকান্ত জমিদার হইছে। এই লোকই পশ্চিমের ঠগীদের পথ দেখিয়ে এদিকে নিয়ে এসেছে।

‘সর্বনাশ, কিন্তু আপনি চিনলেন কীভাবে তাকে?’ ম্যাকফি এখনো লোকটাকে ভালোভাবে দেখার চেষ্টা করছে। কাপড়ে মুড়িয়ে প্রায় একটা পুটলির মতো হয়ে আছে মানুষটা। বসেও আছে সবার থেকে দূরে।

‘লোকটার ডান চোখের ওপরে একটা মোটা আঁচিল আছে। অনেকটা দ্বিতীয় ভ্রুরুর মতো দেখায়। আমি বহুবার এরে বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেখেছি। না চেনার কোনো কারণই নেই। সে মুখ ঢাকলেও চোখ তো আর ঢাকেনি, তাই আঁচিলটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।’

ম্যাকফি মনোযোগ দিয়ে দেখে আঁতকে উঠল। এই লোকের এখানে উপস্থিতি প্রমাণ করে কিছু একটা গড়বড়। ও পকেট থেকে পাতার বাঁশি বের করে আনলো। বাঁশিটাকে মুখে লাগিয়েও থেমে গেল। তারচেয়ে এখান থেকে হেনরির বা মহাবীর সিংয়ের দলের অবস্থান খুব বেশি দূরে না। সরাসরি গিয়ে সাবধান করে দেওয়াই ভালো। আর পরিস্থিতির বিবেচনায় কী করতে হবে সেটাও পরামর্শ করা দরকার। ম্যাকফি জোহরাকে এখানেই থাকতে বলে, একটু দূরেই মাটিতে বসে থাকা লাল পাগড়ি দলের দলনেতাকে বলল কী করতে হবে। সেই সঙ্গে এটাও বলে দিল যেকোনো অবস্থায় যেন জোহরাকে ছেড়ে ওরা সরে না পড়ে। বলে ও জোহরাকে দলটার সঙ্গে রেখে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে ছুটতে লাগল হেনরির দল যেদিকে আছে সেদিকে।

জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ছুটতে ছুটতে হঠাৎ থেমে গেল ও।

পেছন দিয়ে কি কেউ গেল? চট করে ঘুরে গেল ও পিস্তল বেরিয়ে এসেছে ওর হাতে। মনোযোগ দিয়ে পেছন দিকে তাকিয়ে কাউকেই দেখতে পেল না। ঘুরে রওনা দিতে যাবে জঙ্গলের পায়ে চলা পথে দুটো ছায়া মূর্তিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল। সঙ্গে সঙ্গে ও অনুধাবন করল কিছু একটা গণ্ডগোল হয়েছে।

ভীষণ গণ্ডগোল। হেনরিকে সাবধান করতে হবে, মহাবীর সিংকে সাবধান করে দিতে হবে। ওরা ফাঁদে পড়ে গেছে। ভাবতে ভাবতেই ও ছায়া মূর্তি দুটোর দিকে পিস্তল তুললো। কিন্তু ও গুলি করার আগেই গাছের ওপর থেকে ওর পেছনে লাফিয়ে পড়ল তৃতীয় মূর্তি। ম্যাকফি পিস্তল ধরা হাত ঘোরানোর আগেই ওর গলায় এঁটে বসল শক্ত ফাঁস।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *