তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়

তরীতে পা দিই নি আমি

তরুণ প্রাতের অরুণ আকাশ শিশির-ছলোছলো

তরুতলে ছিন্নবৃন্ত মালতীর ফুল

তাঁহারে আরতি করে চন্দ্র তপন, দেব মানব বন্দে চরণ

তাই তোমার আনন্দ আমার ‘পর

তার অন্ত নাই গো যে আনন্দে গড়া আমার অঙ্গ

তার বিদায়বেলার মালাখানি

তার হাতে ছিল হাসির ফুলের হার

তারে কেমনে ধরিবে সখী যদি ধরা দিলে

তারে দেখাতে পারি নে কেন প্রাণ খুলে গো

তারে দেহো গো আনি

তিমির-অবগুণ্ঠনে বদন তব ঢাকি

তিমিরদুয়ার খোলো– এসো, এসো নীরবচরণে

তিমিরবিভাবরী কাটে কেমনে

তিমিরময় নিবিড় নিশা

তুই কেবল থাকিস সরে সরে

তুই ফেলে এসেছিস কারে

তুই রে বসন্তসমীরণ

তুমি এবার আমায় লহো হে নাথ

তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে

তুমি একলা ঘরে বসে বসে কী সুর বাজালে

তুমি খুশি থাক আমার পানে চেয়ে চেয়ে

তুমি এ-পার ও-পার কর কে গো ওগো খেয়ার নেয়ে

তুমি একটু কেবল বসতে দিয়ো কাছে

তুমি কোন্‌ পথে যে এলে পথিক

তুমি কোন্‌ ভাঙনের পথে এলে সুপ্তরাতে

তুমি ডাক দিয়েছ কোন্‌ সকালে কেউ তা জানে না

তুমি বাহির থেকে দিলে বিষম তাড়া

তুমি যেয়ো না এখনি

তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা

তুমি কোন্‌ কাননের ফুল

তুমি হঠাৎ-হাওয়ায় ভেসে-আসা ধন

তুমি আছ কোন্‌ পাড়া ? তোমার পাই নে যে সাড়া

তুমি আপনি জাগাও মোরে তব সুধাপরশে

তুমি আমাদের পিতা

তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে

তুমি উষার সোনার বিন্দু প্রাণের সিন্ধুকূলে

তুমি কি এসেছ মোর দ্বারে

তুমি কি কেবলই ছবি

তুমি কিছু দিয়ে যাও

তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী

তুমি ছেড়ে ছিলে, ভুলে ছিলে ব’লে হেরো গো কী দশা হয়েছে

তুমি জাগিছ কে

তুমি জানো, ওগো অন্তর্যামী

তুমি তো সেই যাবেই চ’লে

তুমি ধন্য ধন্য হে, ধন্য তব প্রেম

তুমি পড়িতেছ হেসে তরঙ্গের মতো এসে

তুমি বন্ধু তুমি নাথ নিশিদিন তুমি আমার

তুমি মোর পাও নাই পরিচয়

তুমি যত ভার দিয়েছ সে ভার করিয়া দিয়েছ সোজা

তুমি যে চেয়ে আছ আকাশ ভ’রে

তুমি যে আমারে চাও আমি সে জানি

তুমি যে এসেছ মোর ভবনে

তুমি যে সুরের আগুন লাগিয়ে দিলে

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম

তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা

তুমি সুন্দর, যৌবনঘন রসময় তব মূর্তি

তৃষ্ণার শান্তি সুন্দরকান্তি

তোমরা যা বলো তাই বলো