মারণাস্ত্র – ১৩

তেরো

মে এগারো

পরদিন সকালে মর্মান্তিক দুঃসংবাদটা পেলাম। রানা জানাল, গত রাতে খুন করা হয়েছে আলেন্দেকে। রানাকে বলেছে হোটেলের বেয়ারা, সকালের খাবার দেয়ার সময়। লোকে সম্মান করত আলেন্দেকে, ফলে নিন্দায় ফেটে পড়ল সবাই। মনে প্রচণ্ড কষ্ট পেলাম, রাগও হলো।

রানাকে যখন আলেন্দের সঙ্গে আমার আলোচনার কথা জানালাম তখন ও বলল, ‘আলেন্দে আমাদের চেয়ে কম জানত না। সেজন্যেই কাউন্টেস কোন ঝুঁকি নেয়নি। আলেন্দেকে পথের কাঁটা মনে করে সরিয়ে দিয়েছে। ও চুপ করে বসে থাকার লোক নয় বুঝেই জান কতল করেছে। হঠাৎ কথা থামিয়ে আমার চোখে সরাসরি চাইল ও।

‘লিনফোর্ড,’ গম্ভীর শোনাল ওর কণ্ঠস্বর। ‘কোমাচিনের সঙ্গে জলদি যোগাযোগ করা দরকার।’

‘ও কোথায় থাকে জানি না তো।’

‘যেভাবেই হোক জানতে হবে। পুরো ব্যাপারটাই গোলমেলে হয়ে যাচ্ছে। আজ সকাল থেকে রবিন্সকে দেখছি না। ভোরে নাকি বেরিয়ে গেছে। বেলানভ যদি আমাকে চিনে থাকে তবে মুশকিল-বিরাট বিপদ। রবিন্সকে জানাবেই ও।’

মাইকেল অর্থাৎ আলেন্দের লোক হিসেবে পরিচিত বেয়ারাটিকে ডাকিয়ে আনা হলো। আমরা হত্যার বদলা নিতে চাই শুনেই কোমাচিনের ঠিকানা দিয়ে দিল সে। তক্ষুণি রওনা হলাম।

খানিক বাদে থেমে পড়ল রানা।

‘ওরা আমাদের ফলো করছে না,’ বিড়বিড় করে ওকে বলতে শুনলাম। ‘ব্যাপারটা ভাল ঠেকছে না আমার কাছে।’

আরও খানিক দূর হাঁটলাম। তারপর আবার থামতে হলো। ট্যাক্সি নেব ঠিক করলাম।

ট্যাক্সিতে চেপে মিনিট তিনেক চলার পর হঠাৎই চেঁচিয়ে রানা, ‘ভুল রাস্তায় যাচ্ছি আমরা!’

ট্যাক্সির জানালাগুলো বন্ধ। বড্ড ঘুম-ঘুম পাচ্ছে আমার। কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে মস্তিষ্ক। জানালা খুলতে রীতিমত কসরত করছে রানা। বৃথা। ঢলে পড়ল সীটে, আমার পাশে। জ্ঞান হারালাম আমিও।

চোখ মেলে দেখি সুসজ্জিত এক ঘরের মেঝেতে শুয়ে রয়েছি আমি। পাশেই রামার অচেতন দেহ। তবে খানিক পরেই আড়মোড়া ভেঙে চোখ মেলল ও। পিটপিট করে চাইছে। ইউনিফর্মধারী এক অফিসার চেয়ে রয়েছে আমাদের দিকে। উঠে দাঁড়াতে নির্দেশ দিল সে। আমাদের নিয়ে যাওয়া, হলো একটা ঘরে। মুহূর্তে চিনে ফেললাম আমি। এ ঘরেই গত রাতে হানা দিয়েছিলাম আমরা। একটা ডেস্কে আমাদের দিকেই মুখ করে বসে রয়েছে কাউণ্টেস। পেছনে বন্ধ হয়ে গেল দরজাটা।

নির্বাক দৃষ্টিতে দু’সেকেণ্ড চেয়ে দেখল কাউন্টেস। এত কাছ থেকে আগে আর দেখিনি তাকে। দূর থেকে সুন্দরী মনে হত, এখন দেখলাম সত্যিই অপরূপা। আলেন্দের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এই রূপসীকে জড়াতে মন টানছে না আমার।

‘হচ্ছেটা কী এখানে?’ প্রায় গর্জে উঠল রানা। ‘আমাদের ধরে এনেছেন কেন?’

ওর কথার জবাব দিল না কেউ।

‘কে আপনি? আমাদের সঙ্গে এমন ব্যবহারের কারণ কী?’ রাগে কাঁপছে রানা। ‘আপনাকে চেনা-চেনা মনে হচ্ছে। খুব সম্ভব ট্রেনে পরিচয় হয়েছিল। কই, তখন তো এতটা অভদ্র মনে হয়নি।’

‘কেমন ব্যবহার আশা করেন আপনি?’ বরফশীতল কণ্ঠ কাউন্টেসের। রাগের লেশমাত্র নেই।

‘এটা কি মগের মুল্লুক নাকি যে রাস্তা থেকে ধরে এনে আটকে রাখবেন?’ ক্রোধে ফেটে পড়েছে রানা।

রানার দিকে চাইল কাউন্টেস, ঠোঁটের কোণে বিদ্রূপের হাসি।

‘বোকা সাজছেন? লাভ হবে না। মিস্টার লিনফোর্ড, বলে দিন তো আমি কে।’

‘কাউণ্টেস ক্যারেনিনা,’ বললাম আমি।

আমোদ পাচ্ছে যেন কাউণ্টেস।

‘খুব অবাক হয়েছেন, তাই না, ডক্টর?’

‘অবশ্যই,’ দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করল রানা। ‘তবে আপনার ব্যবহারে আরও বেশি অবাক লাগছে।’

‘অনেক হয়েছে। আর নাটক দেখতে চাই না, ঠাণ্ডা গলায় বলল কাউণ্টেস। একটা কাঁটাচামচের মত কী যেন বার করল ডেস্ক থেকে। তলপেট খালি-খালি লাগছে আমার। বেলানভের সঙ্গে মারামারি করার সময় ওটা নির্ঘাত পড়ে গেছে রানার পকেট থেকে।

‘জানেন নিশ্চয়ই,’ বলল কাউণ্টেস, ‘কাল রাতে এখানে হামলা হয়েছিল। এই কাঁটাচামচটা পাওয়া গেছে মেঝেতে। হোটেল কন্টিনেন্টালের জিনিস। আপনি ওই হোটেলেই উঠেছেন। গতকাল বিকেলে আপনার সঙ্গে হোটেলে দেখা করেছেন মিস্টার লিনফোর্ড। রাত দেড়টার দিকে চোর ঢুকেছিল এখানে। আমিই বাধা দিই ওদের। রাত আড়াইটার আগে আপনারা কেউই হোটেলে ফেরেননি। এ সময়টায় কোথায় ছিলেন আপনারা দু’জন?’

জবাব দিতে পারলাম না। জবাব বোধহয় আশাও করেনি কাউণ্টেস। বলে চলেছে: ‘আপনাকে সাবধান করে দিচ্ছি, ডক্টর, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আপনি ডক্টর, শ্রদ্ধেয় লোক। ল্যাবোরেটরি হচ্ছে আপনার জায়গা; অথচ আপনি কিনা পরের ব্যাপারে নাক গলাতে চাইছেন। আপনাকে পরামর্শ দিচ্ছি, শীঘ্রি ইংল্যাণ্ডে ফিরে যান। চব্বিশ ঘণ্টা সময় পাবেন। তারপরও যদি এ দেশ না ছাড়েন তবে তার পরিণতির জন্যে কিন্তু আমি দায়ী থাকব না। আর মিস্টার লিনফোর্ড, আপনি জোভোগোরোডে থাকতে পারবেন, তবে এক শর্তে। নিজের পেশার বাইরের অন্য কোন ব্যাপারে আগ্রহ দেখানো চলবে না।’

একটা সুইচ টিপল কাউণ্টেস। খুলে গেল দরজা। জনৈক অফিসারকে ইক্সানিয়ান ভাষায় কী যেন আদেশ করল সে। আবার বন্ধ হলো দরজা। আমার দিকে আবার ফিরল কাউন্টেস।

‘যদ্দূর জানি আলেন্দে আপনার বন্ধু ছিল, তাই না?’

মাথা ঝাঁকালাম। কথা সরল না মুখে।

‘বেচারা অকালে মরল। খুব বুদ্ধিমান লোক ছিল-আমার সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথাবার্তা হয়েছে।’

চুপ করে রইলাম।

পেছনে খুলে গেছে দরজা। ফিরে চাইলাম। চৌকাঠে দাঁড়িয়ে রয়েছে লম্বা মত পাতলা এক লোক। চোখ দুটো বিষণ্ন। তবে পুরুষ্টু গোঁফটা তার চেহারার নিষ্ঠুরতাকে ঢাকতে পারেনি এতটুকু। ডান চোখের ওপরে দুটো পুরানো কাটা দাগ। বীভৎস।

‘এই ভদ্রলোক হচ্ছেন,’ বলল কাউন্টেস, ‘কর্নেল ইগর-আমার চীফ অফিসার।’

সামান্য বাউ করল লোকটা।

‘ডক্টর পাশা আর মিস্টার লিনফোর্ডকে দেখার জন্যে ডেকেছিলাম আপনাকে,’ ফ্রেঞ্চ ভাষায় বলল কাউন্টেস। ‘যাতে দরকার পড়লে এঁদের আবার চিনতে পারেন।’

ইগরের বিষণ্ন চোখ দুটো একে-একে জরিপ করল দু’জনকে।

উঠে দাঁড়িয়ে রানার উদ্দেশে বলল কাউন্টেস, ‘কাল সকাল দশটায় কর্নেল ইগরের সঙ্গে দেখা হচ্ছে আপনার। স্টেশনে। সীমান্ত পর্যন্ত উনি এগিয়ে দেবেন আপনাকে। গুডবাই, ডক্টর।’

এক ঘণ্টা পরে লাঞ্চ সারতে সারতে পুরো ঘটনাটা নিয়ে আলাপ করলাম আমরা। রানা নিশ্চিত যে মিনস্কি আর আলেন্দের খুনের পেছনে কর্নেল ইগরের হাত আছে।

‘পরের টার্গেটটা আমি,’ বলল ও। ‘আমি এ দেশ ছাড়লেও নিশ্চিন্ত হতে পারবে না ওরা। ওদের ভয়, আমি তো মুখ বন্ধ রাখব না। তা ছাড়া রবিন্স আমাকে কদ্দূর বলেছে এখনও জানে না ওরা। কাউণ্টেসের বাড়িতে আজ সকালেই খতম হয়ে যেতাম হয়তো। কিন্তু বেঁচে গেছি আপনার কল্যাণে। সাংবাদিকের সামনে কাজটা করতে চায়নি। আমার ধারণা, যখনই ওরা বুঝতে পারবে আপনার সঙ্গে আমার আর কোন যোগাযোগ নেই তখনই জানে মেরে দেবে আমাকে।’

অকাট্য যুক্তি।

‘তবে আপনাকে বোধহয় ইক্সানিয়া ছাড়তেই হবে।’

‘ছাড়ব না, মাটি কামড়ে পড়ে থাকব। এখানকার কাজ শেষ হয়নি আমার।’

চুপ করে গেছে রানা। বিহ্বল দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে সামনের দিকে। এবার আমার দিকে ফিরল।

‘আমাকে গা ঢাকা দিতে হবে; এ ছাড়া আর কোন পথ দেখছি না। এ দেশ ত্যাগ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক কাজ বাকি এখনও।’

‘কিন্তু লুকোবেন কোথায়?’

‘কোমাচিনের সঙ্গে এক্ষুণি দেখা করা দরকার,’ বলল ও। ‘সে হয়তো সাহায্য করতে পারবে।’

ওকে অনেক করে বোঝাতে চাইলাম ব্যাপারটা বিপজ্জনক। কিন্তু আমার কথা কানে তোলার পাত্র নয় ও।

‘আমি বলছি না আপনি জীবনের ঝুঁকি নিন। তবে যদি আমাকে সাহায্য করতে চান তাতে আপত্তিও করব না।’

তর্ক করতে চাইলাম। কিন্তু ও আলেন্দের খুনের কথা ওঠাতেই বুঝলাম ওকে বুঝিয়ে লাভ হবে না। সেটিই শেষবার। এরপর আর তর্ক করিনি ওর সঙ্গে।

কোমাচিনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হলাম। আমাদের পেছনে আর ফেউ নেই, সরিয়ে দেয়া হয়েছে।

কোমাচিনের বাড়িটা পুরানো শহরের সরু এক গলির মধ্যে। বেল বাজালাম। খাট, গাঁট্টাগোট্টা এক লোক দরজা খুলল, হাতে রাইফেল। খানিকক্ষণ ধরে আমাদের আইডেন্টিটি কার্ড পরীক্ষা করল সে। তারপর চারতলার একটা ঘরে নিয়ে গেল। আসবাবপত্র বলতে তেমন কিছুই নেই ঘরে। শুধু একটা খাট, টেবিল আর ক’টা চেয়ার। টেবিলে পিস্তল হাতে বসে রয়েছে কোমাচিন।

আমরা ঢুকতেই উঠে দাঁড়াল সে। আমাকে চিনতে পেরে পিস্তল নামাল। এগিয়ে এসে ফরাসি ভাষায় অভ্যর্থনা জানাল। ওর সঙ্গে রানার পরিচয় করিয়ে দিয়ে বসলাম সবাই।

‘আলেন্দের বন্ধু হিসেবে এসেছি আমরা,’ কথা শুরু করলাম আমি।

‘এখানে আসতে হবে বুঝলেন কীভাবে?’

‘আলেন্দের এক বন্ধু বলেছে।’

মাথা ঝাঁকাল কোমাচিন।

‘আলেন্দে আপনার কথা অনেক বলেছে,’ বলল ও। ভ্রূ উঁচিয়ে রানাকে দেখাল। কিন্তু এ লোক তো বন্ধু নয়। একে রবিন্সের সঙ্গে দেখা গেছে।

‘তা ঠিক, তবে আপনাকে বুঝিয়ে বললেই আপনি ব্যাপারটা বুঝবেন,’ বলল রানা।

‘আপনার কাছে আসার প্রধান কারণ,’ বললাম আমি, ‘আমাদের বিশ্বাস আমরা আপনাকে সাহায্য করতে পারব। আর দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে আমাদের নিজেদেরও সাহায্য প্রয়োজন। আপনি আলেন্দের বন্ধু বলেই আশা করে আপনার কাছে এসেছি।’

লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল কোমাচিন। হেঁটে চলে গেল ঘরের কোণে। গাঢ় নীল চোখ দুটোয় জল টলমল করছে। ওকে চোখ মুছতে দেখলাম। আমরা নিশ্চুপ বসে রয়েছি। শেষ পর্যন্ত আমাদের দিকে ফিরল ও। চেহারা আবার স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

‘কী সাহায্য চান শুনি,’ বলল ও।

পুরো ঘটনাই খুলে বললাম। প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় পার হয়ে গেল এতে।

চিন্তিত ভঙ্গিতে চিবুকে হাত বুলাচ্ছে কোমাচিন।

‘মঁসিয়ে লিনফোর্ড, আপনি যা বললেন তার বেশিরভাগটাই আমাদের জানা। তবে আমরা আরও কিছু ব্যাপার জেনেছি। এখন যেটা জানতে চাই সেটা হচ্ছে: ডক্টর কী চান? ভিজিলের ফর্মুলা হাতিয়ে কি উনি নিজের কাজে লাগাবেন?’

ঠাণ্ডা চোখে রানাকে দেখছে ও।

জবাব দিল রানা।

‘আমি শুধু চাই ভিজিলের ফর্মুলা চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাক। চাই গানস অ্যাণ্ড ব্লিস বা অন্য কেউ যাতে বিজ্ঞানের আর কোন অপব্যবহার করতে না পারে। কিন্তু এ-ও জানি এভাবে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। কোন না কোন কোম্পানি কোন না কোনভাবে বোমা তৈরি করবেই। তবে গানস অ্যাণ্ড ব্লিসের মত কোম্পানিদের যত দেরি করিয়ে দেয়া যায় ততই মঙ্গল।’

‘এতই যদি বোঝেন তবে রবিন্সের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কেন?’ প্রশ্ন করল কোমাচিন।

‘ওটা একটা চাল। রবিন্সের দলে ঢোকার ভান করায় অনেক কিছু সহজে জানা হয়ে গেছে।

‘হয়তো যুক্তি আছে আপনার কথায়,’ বলল কোমাচিন। ‘আমিও চাই ধ্বংস হয়ে যাক ভিজিলের ফর্মুলা। আমার দেশে নিউক্লিয়ার বোমা তৈরি হোক তা আমি বা আমার দল কখনওই চাইনি।’

চিবুকে ঘন-ঘন হাত বুলাচ্ছে কোমাচিন। এবার ফিরল আমাদের দিকে।

‘আপনারা দু’জন যথেষ্ট সাহস দেখিয়েছেন। সেজন্যে ইয়াং ওয়ার্কার্স পার্টির তরফ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ।’

আমাদের আলোচনা এরপর ভিন্ন প্রসঙ্গে মোড় নিল। কোমাচিনের পার্টি যে বিপ্লব ঘটানোর চিন্তাভাবনা করছে তাও সে জানাল আমাদের। বুঝতে পারলাম, বিশ্বাস করছে সে আমাদের দু’জনকে। সরকারের কঠোর সমালোচনা করল ও। ওর মতে, কাউণ্টেস ক্যারেনিনা দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। সে চায় কেবল ক্ষমতা আর সম্মান। ওদিকে সাধারণ মানুষের পেটে খাবার নেই। দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের নিশ্চয়তা চায় তারা। খুব দ্রুত সংগঠিত হচ্ছে পার্টি, তৈরি হচ্ছে অভ্যুত্থানের জন্য।

বিকেল নাগাদ আমি বেরিয়ে পড়লাম কোমাচিনের বাড়ি থেকে। রানা রয়ে গেছে ও বাড়িতে, একটা খালি ঘরে। ওটাই এখন থেকে ওর গোপন ঠিকানা। বলা যায় কোমাচিনই একরকম ধরে-বেঁধে রেখে দিয়েছে ওকে। আমি অবশ্য ঠিক করলাম, স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগে কোমাচিন আর তার দলকে খবর জোগান দেব। কোমাচিনও অবশ্য রবিন্সের ওপর নজর রাখার ব্যবস্থা করেছে।