চায়ের দোকানে ব’সে ঘেঁষাঘেঁষি তিনজন বুড়ো
অতীতের পাহাড়ের ঢালু বেয়ে তুষারের চূড়ো
ছুঁল আর ভাসাল শরীর হ্রদে, প্রজাপতি-ছাওয়া
মাঠে ছুটোছুটো করে ক্লান্ত হল। যেন নাওয়া-খাওয়া
নেই কারো এভাবে রয়েছে ব’সে ওরা তিনজন
ছারপোকা কবলিত বিবর্ণ বেঞ্চিতে। ভন ভন
ওড়ে মাছি নাকের ডগায়, বুঝি ওরা এককাট্রা
গাইছে কাওয়ালি। নাড়ে, ওরা মাথা নাড়ে আর ঠাট্রা
মস্করা কথার ফাঁকে ফাঁকে চলে। কেউ তার উড়ো
কথাকে চিঞ্চিৎ নকশি করে তোলার আশায় গুঁড়ো
গুঁড়ো রঙ বর্ণনায় দিল তোফা ছড়িয়ে ছিটিয়ে।
বলল সে, শোনা ভাই খুঁটিনাটি ফ্যাসাদ মিটিয়ে
বদলেছি বউ আমি জুতোর পাটির চেয়ে ঘন
ঘন। ধোয়া ছেড়ে অন্যজন বলে, ‘আমি গত গণ-
অভ্যুত্থানে অহরহ দেখেছি তাসের রাজা কত
গেছেন চকিতে ভেসে ম্লান বিশীর্ণ কুটোর মতো
বানের প্রবল তোড়ে, ঘটনার গলগ্রহ। বাকি
যে থাকে সে বলে না কিছুই, যেন সে দ্বিতীয় পাখি
উপনিষদের, দেখে শুধু দেখে গভীরে একাকী।