অনেকদিন থেকেই ভাবছি একটা কিছু তাড়াতাড়ি
অদলবদল হওয়া চাই, অথচ এটাও জানি তাড়াহুড়ো
মানে খুব পাকাপোক্ত বাড়ি
বানানোর পুরো
পরিকল্পনায় খুঁত রেখে দেওয়া। তাছাড়া ব্যাপার
হলো এই : এ তো জামা নয়,
অথবা র্যায়পার
তা-ও নয় যে ইচ্ছে হলেই বিন্দুমাত্র কালক্ষয়
না করে পালটিয়ে ফেলা যাবে
ঋতুর চাহিদা মেনে, প্রচলিত রুচির প্রভাবে।
অন্ধকারে মাথা গুঁজে যে ফুল ফোটাচ্ছে, আমি তার
ফুলে ঘ্রাণ পেতে গিয়ে বস্তুত কেবলি
প্রতিহত হই আর
যে ভাবছে আঁধারকে ব্যর্থ করে দিয়ে তারাঞ্জলি
সাজাচ্ছে নিপুণ মুদ্রা এ’কে শূন্যতায়,-
আমি তার অঞ্জলিতে একরাশ রাংতার চকমকি দেখে
লজ্জানত ফিরে যাই। মুগ্ধাবেশে যে বাঁশি বাজায়
ক্রমাগত প্রকৃত নিজস্ব কোনো সুর ব্যতিরেকে,
কী করে বোঝাই তাকে একটা কিছু অদলবদল হওয়া চাই
এক্ষুণি? নইলে ধু-ধু দশদিকে উড়বে শুধু শ্মশানের ছাই।
আমি একটু ভিন্ন ধরনের ফুল ফোটানোর আশা
জ্বেলে প্রতীক্ষায় থাকি। চরাচরে প্রকৃতই তারা
নিমেষে উঠবে জ্বলে, এরকম ভাষা
নিয়ত প্রার্থনা করি। প্রতিদিন উচ্চাকাঙ্ক্ষী আমার দোতারা
বাজাবে আলাদা সুর, আনবে নিকটে
ডেকে বন্য পশুপাখি নুড়ি ও পাথর
করি দাবি; কত কিছু ঘটে-
শূন্যতায় করে ভর অলৌকিক ঘর।
যেখানে ছিলাম ঠিক সেখানে আছি,
যে রকম শুনেছি বিখ্যাত গল্পে মাঝি
গাছে বেঁধে কাছি
সারারাত দাঁড় টেনে গেছে অবিরত
তাহলে কি আজই
শুরু করতে হবে ফের প্রাথমিক বিদ্যার্থীর মতো?
পুরনো গয়নাগাটি খর নদীতে গচ্ছিত রেখে
যে-নারী নির্ভার হেঁটে যায় দেখি তার কাছ থেকে
কতটুকু শিখে নিতে পারি।
পারব কি? আমার বুকের মধ্যে আছে চিরনারী!