কেবল সে-ই তা পারে। আমার বুকের রানওয়ে থেকে দ্রুত
ছুটে দূর নীলিমায় উড়ে যায় মেঘেদের স্তরে,
অন্ধকারে ক্লান্তিমান, রৌদ্রে ঝলসিত
দ্যাখো, কী সুন্দর উড়োজাহাজ আমার।
দ্যাখো, উড়োজাহাজ আমার
বাণিজ্যিক এলাকার মসৃণ পাথুরে অরণ্যের
অনেক ওপর দিয়ে মন্দিরের চূড়ো, মসজিদের
একলা মিনার থেকে বহুদূর শূন্যে উড়ে যায়,
আবার চকিতে আসে ফিরে
আমার নিজস্ব করতলে।
লাল নীল কাগজের টুকরো গেঁথে কেমন মায়াবী
পদ্ধতিতে বানিয়েছি এই উড়োজাহাজ গোপনে।
অনেকে তাকিয়ে দেখি ঈর্ষাতুর চোখে; ওরা আসে
দলে দলে, একজন অপরের পুনরুক্তি অবিকল, আর
বলে একই তপ্ত স্বরে,-‘কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেল
এ জাহাজ’, যেন ছাত্রদল সরব মুখস্থ করে পাঠ।
কেউ এই উড়োজাহাজের পাখা ছিঁড়ে ফেলে, কেউবা হঠাৎ
নখ নিয়ে ফুটো করে পেট। ‘আমার নিকট থেকে
তোমরা নিয়েছ কেড়ে বহু কিছু, উড়োজাহাজটা
একান্ত আমার থাক’ বলে দিলাম উড়িয়ে প্লেন।
আহত সে অনুপম উড়ে যায়, ছায়া পড়ে থাকে,
মাটিতে লুটিয়ে ছায়াটিকে দিই অধীর চুম্বন।