সবকিছু খুব শান্ত আশেপাশে; বারান্দায় হাঁটি
একা একা; গৃহকোণে নিমগ্ন গৃহিণী
ভোরের নিঃসীম প্রার্থনায়। কয়েকটি কবুতর
পাশের বাড়ির ছাদে ঘোরে ইতস্তত কিছু আহার্যের খোঁজে।
আকাশে অস্পষ্ট চাঁদ, নিঝুম প্রশান্তি শুয়ে আছে
মেষ পালকের মতো। যেন কেউ দিচ্ছে উপহার
স্মিত হাসি দূর থেকে, একটি তরুণী
খোলা ছাদে, মুখের ভেতরে তার সঞ্চরণশীল টুথব্রাশ।
অকস্মাৎ কি-যে হলো, কবুতরগুলি লহমায়
চৌদিকে ছড়িয়ে পড়ে কিসের ঝাপটায়,
কাকের চিৎকারে চিড় ধরে পরিবেশে;
দেখি, প্রতিবেশী ছাদে খাদ্যান্বেষী বানরের তুমুল দঙ্গল।
দালানের নিভৃত ফোকরে পায়রার গেরস্থালি
তছনছ, সাঁড়াশির মতো হাত ঢুকিয়ে বানর আনে ডিম,
খায় ক্ষিপ্ত ব্যস্ততায়। মনে হলো, আমার আহত কবিতাকে
গিলছে ক্ষুধার্ত কাল কী ব্যাপক লোভে!