অকস্মাৎ একদিন দুপুরে নাকি মধ্যরাতে তোমার সহিত
দেখা হলে পর, হিতাহিত
জ্ঞানশূন্য হয়ে আমি নগ্ন দাঁড়িয়ে ছিলাম বহুক্ষণ
একা ঘরে। তোমার গহন চোখে চোখ পড়তেই একজন
বাউল আমার বুকে পদযাত্রা করলেন শুরু,
আমার গলায় তার একতারা গভীর দোলালো ছায়া,
যেন-বা অগুরু
বিলালো সুঘ্রাণ সত্তাময়।
কী মুদ্রা দেখালে তুমি শূন্যতায় বাহু মেলে, পেলাম অভয়।
রঙধনু আর মেঘেদের সঙ্গে দিব্যি দহরম করে
কেন যে আমার এই ঘরে
এলে তুমি মিছেমিছি? দেখছ না এখনও কোথাও
মেহগনি পদ্মখাট নেই কোনো, কী আনন্দ পাও
এখানে মাদুর পেতে বসে? ঝলমলে
ব্রোকেড জর্জেট আমি পারব না পরাতে তোমাকে। কোন ছলে
কী মধুর কথা বলে মন পেতে হয়, তা-ও শিখিনি কখনো।
হে দামিনী, হে ভামিনী শোনো,
আমি এক কৃশ, নষ্ট উত্তরাধিকারী, দ্যাখো, বহু দীর্ঘশ্বাসে,
দুঃখের বর্ষায় ভিজে সন্তের মতন উপবাসে
এনেছি তোমার জন্যে বুনে এই থান, কখনো আনন্দে আমি উন্মাতাল
একগাছি নিরিবিলি চিন্ময় সুতোর জন্যে আকাশ-পাতাল,
হায় রে, করেছি এক। এ নিরাভরণ
বস্ত্রে ঢেকে অমন বিদ্যুৎ শরীরের তুমি ফেলবে চরণ
আমার এ আঙিনায় তারপর, হায়,
বিলিয়ে ক্ষীণায়ু শোভা যাবে ঝরে ব্যর্থ নিরালায়।