তোর কাছ থেকে কেড়ে নেবে ওরা এক এক করে
সকল পালক। অশ্বমেধের ঘোড়ার মতোই
দশদিক ঘুরে যখন ক্লান্ত হয়ে যাবি তুই,
তখন সবাই দুয়ো দেবে তোকে। কেউ পদাঘাত
করবে হঠাৎ, কেউ ঘামে-ভেজা নমিত কেশর
লহমায় ছেঁটে তুড়ি মেড়ে ছুটে তারিফের বুড়ি
ছোঁবে আহ্বাদে আটখানা হয়ে। কেউবা হেলায়
তোর দিকে চোখ মেলে অবেলায় পর্ষদে পেশ
করবে নিখুঁত প্রস্তাব তার : ‘এ বোঝা হটাও,
কবরে নামাও; তাহলেই চুকেবুকে যাবে সব’।
এই নিগৃহীত মুখ বুজে তুই
মেনে নিবি আজ?
এর জন্যেই ঊষর জমিনে ফোটালি গোলাপ,
জুঁই ও চামেলি? করলি শূন্যে এত কারুকাজ?
পুষলি বুকের রক্ত ঝরিয়ে সুবচনী হাঁস
এর জন্যেই? তুখোড়, চতুর কতিপয় লোক
খাঁচায় বদ্ধ জন্তুর মতো খুঁচিয়ে বেড়ায়
অসহায় তোকে যখন তখন, খুব ঝলমল
আড্ডায় তোর নিন্দা রটায় নিভাঁজ রগড়ে,
তুই শুধু পড়ে থাকবি ধুলায়। আজ পথে কাঁটা,
কাল মুখ ফের ফুল চন্দন। থোড় বড়ি খাড়া,
খাড়া বাড়ি থোড়, অবিরাম এই পুনরাবৃত্তি।