চতুষ্পার্শ্বে বয়সের ছায়া দীর্ঘ হতে থাকে ক্রমে।
আমার হৃদয়ে পাতা ঝরে, পাখি
শব্দহীন ফেলে যায় অনেক পালক। আজকাল
ব’সে থাকি প্রায়শই বারান্দায় পুরোনো চেয়ারে,
হাওয়া সাদা-কালো চুলে বুলোয় আদর খেলাচ্ছলে,
কয়েকটা কাক দূর থেকে
তাকায় আমার দিকে। ছেলেমেয়ে স্কুলে,
অসুস্থ ছেলেটা স্তব্ধ দেয়ালের দিকে
মুখ রেখে, গৃহিণী হেঁসেলে, মাঝে-মধ্যে
বেজে ওঠে ব্যস্ততার বোল। আশেপাশে নেই কেউ,
নিঃসঙ্গতা বয়সের নিত্যসঙ্গী ইদানীং, নাকি
যুগচিহ্ন এই?
অথচ এও তো জানি, হঠাৎ অসুস্থ হলে আমি
আমার স্বাস্থ্যের জন্যে কেউ অগোচরে
ব্যাকুল প্রার্থনা করে, আমার আনন্দে উল্লসিত
হয়, শোকে অত্যন্ত কাতর। যারা আমার কবিতা
ভালোবাসে তাদের শুভেচ্ছা ফুল হয়ে ঝরে পথে,
চলতি পথে কেউ নাড়ে হাত, কেউ হাবি দেয় উপহার।
তবু কি বলব আমি একা, এই চেনা বিশ্বে?