বিস্ফোরণে ভয়ংকর ফুল হিরোশিমা আর মায়া
সভ্যতার পাথুরে নৈঃশব্দ
আমাদের চতুষ্পার্শ্বে অগণিত হাড়
পচা মাংসে পোকার মিছিল
কাদায় খণ্ডিত কত বেনামি শরীর ইতস্তত
ভিয়েতনামে কি বাংলাদেশে
জীর্ণ জুতো পদহীন এই পটভূমি
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ সে আকাশ যেখানে সর্বদা
সূর্যাস্তের মূক কলরোল
তুমি কি দেখতে পাচ্ছ দুই
বিপরীত দিকে দুটি হাত
পড়ে আছে মধ্যে ভস্মস্তূপ রুক্ষ পথে
প্রান্তরে বিষণ্ন ক্লান্ত উদ্বাস্তুর ভিড় বিশ্বময়
হঠাৎ কোত্থেকে এক বিশীর্ণ বালক
মৃত্যুর মুখোশ এঁটে মাতে মূকাভিনয়ে এখানে
নৈঃসঙ্গের হুহু ঠোঁট ঘেঁষে কত লোক
শূন্যতায় এলোমেলো করে বিচরণ
তাদের ললাটে ঝোলে দুঃখের ফলক
আমরা দু’জন আছি পাশাপাশি যেমন দু’ফোটা
জল থাকে বেদনার্ত দুটি চোখে এ নৈরাশ্যে
আমি রাখি ব্যগ্র ওষ্ঠ থরোথরো অধরে তোমার
সে চুম্বন থেকে জন্ম নেয় অলৌকিক পদ্ধতিতে
অজস্র নক্ষত্র
এবং জীবন ওঠে নেচে বাঁশি হাতে ভস্মের আড়াল থেকে
নতুন গোলাপ নিয়ে যেন অর্ফিয়ুস